ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মশক নিধনে ফাইনাল চিরুনি অভিযান শুরু ॥ মেয়র আতিক

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মশক নিধনে ফাইনাল চিরুনি অভিযান শুরু ॥ মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশক নিধনে দ্বিতীয়বারের মতো চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য চিরুনি অভিযানের প্রথম পর্যায় ছিল সেমিফাইনাল। আজ (রবিবার) থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু হলো, এবার হবে ফাইনাল। প্রথম পর্যায়ে বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেও ছাড় দেয়া হয়েছে, এবার আর কোন ছাড় নয়, জরিমানা হবে এমন হুঁশিয়ারি দেন মেয়র। রবিবার চিরুনি অভিযান উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসের এ অভিযান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রীবড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, মোবাশ্বর হোসেন, রজব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সময় প্রায় ৬৫ হাজার বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। তখন সেসব বাড়িতে স্টিকার লাগানোসহ তাদের সাবধান করা হয়েছে। ওসব বাড়িতে আমরা আবার যাব, তখন যদি লার্ভা বা জমে থাকা পানি অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া যায় তাহলে জরিমানা করা হবে। আজ থেকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করলাম। এবার আর কোন মাফ নয়। মেয়র আতিক বলেন, আমরা এ শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। কিন্তু এত বড় পরিসরে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ একটু সচেতন হলেই এটা করা সম্ভব। এ চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশ ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা এবং এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব। এছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার দশটি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০ ব্লকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করেছি। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম দফা চিরুনি অভিযানের মতো দ্বিতীয় দফার অভিযানকালেও পরিছন্নতাকর্মীরা প্রতিটি বাড়ি ও স্থাপনায় গিয়ে এডিস মশার লার্ভা বা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখবে। মশা মারতে গত ২৫ আগস্ট থেকে চিরুনি অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। অভিযানের ১২ দিনে ৩৬ ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ লাখ ২১ হাজার ৫৬০ বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৯৫৭ বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ৬৭ হাজার ৩০৬ বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পায় অভিযানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
×