ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দু ’শ’ মিটার রাস্তা নিয়ে দুই অফিসের রশি টানাটানি ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩১ আগস্ট ২০১৯

  দু ’শ’ মিটার রাস্তা নিয়ে দুই অফিসের রশি টানাটানি ॥ ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩০ আগস্ট ॥ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা বেহাল দশা। মাত্র ২শ’ মিটার রাস্তার কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে আসা-যাওয়া করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এদিকে সামান্য এই রাস্তাটি নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু করেছেন গণপূর্ত বিভাগ ও পৌরসভা। ফলে রাস্তাটি যেন পিতৃ-মাতৃহীন হয়ে পড়েছে। এ রাস্তাটিও দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়া অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধান সড়ক থেকে থানার পেছন দিয়ে অর্ধ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ থেকে পূর্বদিকে রাস্তাটি যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখান থেকে মাত্র ২শ’ মিটার দূরে টিটিসির ওই রাস্তাটি বেহাল। যেখানে বর্ষা মৌসুমে টিটিসির প্রধান ফটকের সামনে পানি জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়। প্রতিদিন টিটিসিতে প্রায় আড়াই থেকে তিন শ’ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে কাদা-পানি মাড়িয়ে যেতে হয়। এতে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। সামান্য এই রাস্তাটি সংস্কার নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ ও পৌরসভা রশি টানাটানি শুরু করেছে । স্থানীয় ও শিক্ষার্থীরা বলেন, টিটিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ওই রাস্তাটি টিটিসির শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রায় ২০টি পরিবারের মানুষ আসা-যাওয়া করে থাকে। রাস্তাটির কারণে দীর্ঘদিন থেকে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিটিসিতে যেতে চায় না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতনরা। নওগাঁ পৌরসভা মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, থানার মোড় থেকে বকুলতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে টিটিসির রাস্তাটি নাই। টিটিসি যেহেতু সরকারী প্রতিষ্ঠান এটা গণপূর্ত করে দেয়ার কথা। তারপরও পরবর্তীতে যদি কোন প্রজেক্টের মধ্যে ঢোকানো যায় তাহলে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। অপরদিকে, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমসান গনি বলেন, যেহেতু ওই এলাকাটি পৌরসভার। গত তিন বছর থেকে মেয়রকে অনুরোধ করা হচ্ছে রাস্তাটি সংস্কার করে দেয়ার জন্য। কিন্তু কোন ভ্রুক্ষেপ করছেন না মেয়র। আমরা শুধু প্রতিষ্ঠানের ভেতরের রাস্তাটি করতে পারি এবং করেও দিয়েছে, যা প্রজেক্টে ছিল। এর বাইরে কোন কিছু করার এখতিয়ার আমাদের নেই।
×