ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫শ’ মেও বিদ্যুত উৎপাদনে চীনের সঙ্গে এমওইউ সই

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ২৮ আগস্ট ২০১৯

৫শ’ মেও বিদ্যুত উৎপাদনে চীনের সঙ্গে এমওইউ সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবায়নযোগ্য জ্বালনিতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে মঙ্গলবার রাতে এমওইউটি সই হয়। রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট এ্যান্ড ইমপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। তিন বছর মেয়াদী এই উদ্যোগে ২০২১ সালের মধ্যে সৌর এবং বায়ুশক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে। অনুষ্ঠানে বলা হচ্ছে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পর সঙ্গে সমন্বিত কৃষি খামার যুক্ত করা হবে। প্রাথমিকভাবে পাবনায় ৬০ মেগাওয়াট, সিরাজগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌর এবং পায়রাতে ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে। পরবর্তীতে আরও ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এনডব্লিউপিজিসিএল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম ও সিএমসির চেয়ারম্যান রোয়ান গুয়ান স্ব স্ব পক্ষে এমওইউটি সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। কোথাও এমন জমি পাওয়া যাবে না যেখানে কিছু হয় না। বিদ্যুত উৎপাদনে জমি ব্যবহার করলেও সেই জমিতে একই সঙ্গে ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য কৃষি এবং বিদ্যুতের সমন্বিত গবেষণা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এনডব্লিউপিজিসিএল এর মধ্যে বিদ্যুত উৎপাদনে নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করেছে। এবার তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে। অতীতের অন্য প্রকল্পগুলোর মতোই এই প্রকল্পটিও সফল হবে বলে মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুত উৎপাদনের চেষ্টা করছি। কিছু চরাঞ্চল চিহ্নিত হয়েছে যেখানে আমরা কাজ করতে পারি। তিনি বলেন, এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু এবং পদ্মা সেতু এলাকার অব্যবহৃত জমিতে সৌর বিদ্যুত উৎপাদনে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
×