ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এক বছরেও ৬৭০ মিটার ড্রেন নির্মাণ শেষ হয়নি

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৮ আগস্ট ২০১৯

এক বছরেও ৬৭০ মিটার ড্রেন নির্মাণ শেষ হয়নি

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১৭ আগস্ট ॥ নান্দাইল পৌরসভার চারিআনিপাড়া মহল্লায় ৬৭০ মিটার একটি ড্রেন নির্মাণের কাজ এক বছরেও সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে বার বার তাগাদা দেয়ার পরও অদৃশ্য কারণে বন্ধ রয়েছে কাজ। ফলে ড্রেনে জমে থাকা নোংরা পানিতে ময়লা আর্বজনা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি ছড়াচ্ছে রোগ-বালাই। ড্রেনের উপর বাঁশ বা কাঠ ফেলে কোন মতে চলাচল করলেও ঢাকনা বিহীন ড্রেনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা বলছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পেয়ে অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করার কারণে এই দুর্ভোগ। জানা গেছে, চারিআনিপাড়া মহল্লার জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য গত বছর ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট গভীরতা সম্পন্ন ৬৭০ মিটার পাকা ড্রেন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ড্রেনটি আঃ হাকিম ভূইয়ার বাড়ির থেকে শুরু হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিলিত হওয়ার কথা। জানা যায়, ড্রেন নির্মাণের দায়িত্ব পান ময়মনসিংহের আঃ কদ্দুছ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদার কাজ না করে বিক্রি করে দেন স্থানীয় ঠিকাদার আঃ লতিফ, রেজাউল করিম রিপন ও আঃ গনীর কাছে। এলাকাবাসীরা জানায়, গত বছর ড্রেনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু ২শ’ ৫০ ফুট ড্রেন নির্মাণের পর হঠাৎ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অর্ধসমাপ্ত ড্রেনের কারণে এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আঃ হক ভূইয়া বলেন, অর্ধসমাপ্ত ড্রেনের কারণে তার পুকুরে পানি ঢুকে ৪০ হাজার টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। রানু আক্তার বলেন, বাড়ির সামনে এ ড্রেনের জমে থাকা পানিতে পড়ে ইতোমধ্যেই তিন শিশুর গুরুতর আহত হয়েছে। আব্দুর রহমান বলেন, অসংখ্য মশা-মাছি বিস্তার হচ্ছে এ ড্রেন থেকে। নান্দাইল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, ড্রেনটি নির্মাণের দায়িত্ব পান ময়মনসিংহের ঠিকাদার আঃ কদ্দুছ। কিন্তু তার লাইসেন্স দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন অন্য ঠিকাদার আব্দুল লতিফ। কি কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে মুঠোফোনে ঠিকাদার আঃ লতিফ বলেন, তিনি ছাড়াও এই কাজে আরও ঠিকাদার জড়িত রয়েছে। বৃষ্টির জন্য মাটি কাটতে পারছেন না। দ্রুত কাজ শুরু করবেন। এই বিষয়ে নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়া জানান, ওই ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বার বার তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আর কয়েক কার্যদিবস দেখার পর ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
×