ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে অবৈধ গরুর হাটে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৫ আগস্ট ২০১৯

  সিলেটে অবৈধ গরুর হাটে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ নগরীর বিভিন্ন এলাকার অবৈধ গরুর হাট থেকে কোটির অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আয়োজনকারীরা। নিলাম না নিয়ে বাজার স্থাপন করে রসিদ দিয়ে বাজার থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করা হয়। জেলা প্রশাসন নগরীতে মাত্র তিনটি পশুর হাটের অনুমোদন প্রদান করলেও অন্তত দশটি স্থানে পশুর হাট স্থাপন করা হয়। অবৈধ হাট নিয়ে প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা সত্ত্বেও পরবর্তীতে নির্বিকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। নগরীর চৌকিদেখী আবাসিক এলাকায় বিমানবন্দর ভিআইপি সড়কে স্থাপিত অবৈধ গরুর হাট স্থাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী ও ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা রুবেলের নেতৃত্বে এই পশুর হাট পরিচালিত হয়। রাস্তার দুই পাশে গরুর হাট স্থাপনের ফলে এলাকাবাসী ৫দিন দুর্বিষহ সময় যাপন করেন। অবৈধ গরুর হাট নিয়ে ভুক্তভোগীরা আইনের সাহায্য চাইলেও প্রশানের অসহায়ত্ব ছিল লক্ষণীয়। অবৈধ পশুর হটের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকের সংশ্লিষ্টতার কথা সর্বত্র প্রচার হয়ে যায়। সেসঙ্গে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। ভিআইপি সড়কে অবৈধ গরুর হাট বসানোরা হোতা এক যুবলীগ নেতার ক্ষমতার দাপট এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে। নগরীতে বসানো অবৈধ পশুর হাট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র আরিফ বলেন, ‘সিলেট নগরীতে সিটি কর্পোরেশন দুটি হাটের অনুমোদন দিয়েছে। এর বাইরে যত হাট আছে, সব অবৈধ। এই অবৈধ হাটের ময়লা-আবর্জনাও আমাদের পরিষ্কার করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সিসিক জেলা প্রশাসনের কাছে নগরীতে নয়টি হাটের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন মাত্র দুটি হাটের অনুমোদন দেয়। আরিফুল হক চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর না হওয়ায় এবার নগরীতে অবৈধ হাটের ছড়াছড়ি।’
×