ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্প বাঁচাতে ছবি আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি

ভাল সিনেমার অভাবে দেশের প্রেক্ষাগৃহ একে একে বন্ধ হচ্ছে

প্রকাশিত: ১০:৩০, ১০ আগস্ট ২০১৯

 ভাল সিনেমার অভাবে দেশের প্রেক্ষাগৃহ একে একে বন্ধ হচ্ছে

গৌতম পান্ডে ॥ ‘দেশে এখন নতুন সিনেমা তেমন হচ্ছে না। নেই হৃদয়ছোঁয়া গল্পের ছবি। অভিনয় সাউন্ড মেকিং সব কিছুতেই যেন চিড় ধরেছে আমাদের সিনেমায়। কোন কিছুই এখন আর মানুষকে সিনেমা হলে টানে না। কলকাতার ‘বিবাহ অভিযান’ ছবির কথা শুনে পরিবারসহ হলে এসেছি’। রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলে সপরিবারে সিনেমা দেখতে এসে কথাগুলো বললেন যাত্রাবাড়ীর ইমদাদ হোসেন। হল বাঁচলে সিনেমা শিল্প বাঁচবে, দর্শক ছাড়া হল বাঁচবে না, দর্শক হলে আনতে হলে ভাল সিনেমা লাগবে। ভাল সিনেমা দূরের কথা আমাদের এখন সিনামাই নেই। প্রদর্শকরা বলছেন, দর্শকের অভাবে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেরা হল। দর্শকদের সিনেহলমুখী করার কোন উদ্যোগ নেই। দর্শকদের হলে ফেরাতে প্রয়োজন ভাল সিনেমা। এক্ষেত্রে আমাদনিকৃত সিনেমার প্রতি অবশ্যই জোর দিতে হবে। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী পুরনো বাংলা সিনেমা এনে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। নতুন বাংলা ও হিন্দি সিনেমা এক সঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। সিনেমা শিল্প বাঁচানোর আর কোন পথ নেই। হলে দর্শক থাকলে বাংলাদেশের প্রযোজকরাও সিনেমা বানাতে আগ্রহী হবেন। আমদানিকৃত সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তখন দেশেই তৈরি হবে ভাল সিনেমা। এভাবেই সিনেমা শিল্পের সঙ্কট উত্তোরণ হতে পারে। সম্প্রতি মধুমিত, স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড, শ্যামলী, চিত্রামহল, এশিয়া, পূরবী, আনন্দ, শাহীন, সেনা অডিটোরিয়াম, বিজিবি, রাজমনি, পুনম’সহ দেশের ৫৩ প্রেক্ষাগৃহে চলছে আমদানি করা ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘বিবাহ অভিযান’। হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেমন দর্শক টানতে পারেনি এ সিনেমা। কারণ ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। পুরনো ছবি-অনেকের দেখা হয়ে গেছে ইউটিউব বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে। ফলে আমদানি করা ছবি প্রদর্শনের লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থার জন্য সিনেমার প্রযোজক পরিচালকরা অবশ্য দায়ী করছেন প্রদর্শকদের। প্রদর্শকদের স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই ধ্বংস হচ্ছে সিনেমা শিল্প। তারা তাদের পছন্দের সিনেমা ছাড়া চালাতে চায় না। চালালেও অর্থ পাওয়া যায় না। হলের সংস্কার করে না। প্রদর্শকরা বলছেন, যেনতেন সিনেমা চালালে আমাদের খরচই ওঠে না। প্রযোজকদের টাকা দেব কোত্থেকে? এখন মূলত চলছে একে অপরের দোষারোপের সংস্কৃতি। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নতুন সিনেমা সঙ্কটে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি কিছুদিন আগে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দেয়। যার ফলে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি হয় দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে। পরে এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আশ্বাসে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেয়া হয়, ভারতে একটি দেশী ছবি রফতানির বিপরীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কলকাতার একটি ছবি আমদানি করা যাবে। দীর্ঘসূত্রতার প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে জমা ছবির ছাড়পত্র ১০ দিনের মধ্যে দেয়ার দাবি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তথ্যমন্ত্রী। যাতে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি পাওয়ার দুই-তিন মাস পর যেন এখানে আনতে না হয়, কাছাকাছি সময়ে এলে সেগুলো যেন সিনেমা হলে দর্শক দেখতে পারে। কিন্তু চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির এখনকার ভাষ্য এই নির্দেশ এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। ভারতে রিলিজড হওয়ার প্রায় দুই তিন মাস পরেই এখানে রিলিজ হচ্ছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখান উদ্দিন নওশাদ বলেন, প্রথমে চলল ভারতীয় ছবি ‘কিডন্যাপ’, পরে চলল ‘শেষ থেকে শুরু’ আর এখন চলছে ‘বিবাহ অভিযান’। এসব ছবির কোনটিতেই দর্শক নেই। ভারতে মুক্তি পাওয়ার এক দেড় মাস পরে ছবি আসে। আগে যেমন ছবি রিপিট করা হতো, এখন ওগুলো ইউটিউবে দিয়ে দেয়া হয়। দর্শকরা আর এইসব ছবি দেখতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে হল বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তারপরও আমি মনে করি হলগুলো তো ছবি পাচ্ছে। এসব ছবি যদি কলকাতা আর আমাদের দেশে একসঙ্গে রিলিজড হয় তাহলে এখন যে ব্যবসা হচ্ছে তার চেয়ে অবশ্যই ভাল ব্যবসা হবে। হিন্দী ছবির বেলায়ও তাই। একসঙ্গে রিলিজ হতে হবে। তবেই হলে দর্শক আসবে। হলে দর্শক এলে একদিকে যেমন হল বাঁচবে তেমনি বাঁচবে সিনেমা শিল্পও। তিনি বলেন, এখনতো আমাদের দেশে কোন ছবিই নেই। ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি ভাল ব্যবসা করেছে, তারপরে আর কোন ছবিই আসেনি। আমাদের ব্যবসাটা খুব খারাপ যাচ্ছে। আমরা অধিকাংশ হল মালিক কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি। আমরা যদি না বাঁচতে পারি তাহলে ঢাকার বাইরের হলগুলো তো মরার পথে। সরকার আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছে, যদি এই আশ্বাস পূরণ করে তাহলে হয়ত শিল্পটা বাঁচবে। আমাদের প্রডিউসাররা তো বুঝেই গেছে যে বাংলা ছবি চলে না। হিন্দী ছবি দিয়ে দেখুক যদি না চলে তখন অন্য কথা। এখন তো দেখছি হলিউডের ছবি যেগুলো সিনেপ্লেক্সে চলছে, ওগুলো মোটামুটি ভাল ব্যবসা করছে। আমরা এখন হলিউডের ছবির দিকে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা ওই ধরনের মেশিন লাগাব। বেস্ট সাউন্ড দেব। যখন হলিউডের ছবি চালাব তখন বাংলা সিলেকটেড ছবি চালাব। আমরা অনেকটা লাইফ সাপোর্টে আছি। হলিউডের ছবি যদি পারমিশন ছাড়া চালানো যায় তবে ভারতীয় ছবিতে অসুবিধা কোথায়? ভারত থেকে আর্ট ফিল্মগুলো এলেও তো ভাল ব্যবসা করবে। হলিউডের জন্য এক নিয়ম আর ভারতীয় ছবির জন্য আরেক নিয়ম কেন? নওশাদ বলেন, ঢাকার বাইরে যেসব হল খুব প্রাইম এলাকায় আছে ওদের আশ্বাস দিয়ে রাখছি। কিছু একটা হবে। যদি তারা হল একবার ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে তো আর বানাবে না। যদি ছবি না আসে তাহলে কিভাবে হল চলবে। আমার মতে একেবারে ওপেন করে দেয়া উচিত। আমাদের দেশে ভারতীয় বিজ্ঞাপন বাংলা করে চলছে, তাহলে ছবির ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়? সিনেমা শিল্পকে যদি বাঁচাতে হয়, মধ্যবিত্তদের যদি হলে টানতে হয় তাহলে দেশী ছবির পাশাপাশি অন্য সব দেশের ছবি ওপেন করে দেয়া উচিত। মধ্যবিত্তরা হলে এলেই এই শিল্প চাঙ্গা হবে। মার্কেট খুলে দিয়ে সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত। শিল্প বাঁচলে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। তখন এই দেশে ভাল ছবিও তৈরি হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, সাপটা চুক্তির আওতায় চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি হচ্ছে। সার্কভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র আমদানি হতে পারে আবার রফতানিও। এই আইনটি বিদ্যমান। এ আইনের উদ্দেশ্যটা ছিল খুব মহৎ। এটার উদ্দেশ্য ছিল সার্কভুক্ত দেশে দেশে আমাদের সংস্কৃতি জানবে এবং অন্যদেশের সংস্কৃতির সঙ্গেও আমরা পরিচিত হব। এটা যখন পুরোপুরি বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করেছে তখন সেই মহৎ উদ্দেশ্যটা আর নেই। যারা এটা আমদানি-রফতানি কমিটিতে আছেন বিষয়টা তাদের দেখা উচিত। আমরা বিষয়গুলো দেখব, আমাদের উদ্দেশ্য যেন ব্যাহত না হয়। কো-প্রডাকশনের একটা নীতিমালা আছে-ওদিকে আমরা বিশেষ নজর দিতে পারি। আরেকটা দিক হচ্ছে সমসাময়িক রিলিজ সিস্টেম চালু করতে হবে। আমরা আমদানি-রফতানি বা কো প্রডাকশন যাই করি না কেন রিলিজটা হতে হবে সমসাময়িক। তা না হলে কোন ছবিতে ব্যবসা করতে পারবে না। যত ছবি আসছে সবগুলো লস। এসব ছবিতে কোন দর্শক নেই। কারণ হচ্ছে এগুলো তিন-চার মাস আগে রিলিজ করা ছবি। এখন তো ডিজিটাল যুগ। এসময় ছবি রিলিজ হলে নানা মাধ্যমে চলে আসে। সবাই এগুলো দেখে ফেলে। দেখা ছবি এনে লাভ নেই, শুধু শুধু টাকা অপচয়। এগুলো নিয়ে বসতে হবে। দেশের সিনেমার এমন দৈন্যঅবস্থা কেন? সারাবিশ্ব চলচ্চিত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা ভগ্নদশা। এমন প্রশ্ন ঘুরে ফিরে সবার মুখে। একে একে বন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল। ১৪শ’ হলের মধ্যে বর্তমানে আছে ১৭০। বাকি হল মালিকদের মুখেও বিদায়ের সুর। কোন কোন জেলা শহরে সিনেমা হলই বিলুপ্ত। লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে প্রযোজকরা সিনেমায় টাকা লগ্নি করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। চলচ্চিত্রের এই করুণ পরিণতির জন্য প্রযোজক-পরিচালকরা দায়ী করছে হল মালিকদের। অন্যদিকে হল মালিকরা অভিযোগ তুলছেন মানহীন ছবিতে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আবার চলচ্চিত্র শিল্পীরা ছবি প্রদর্শনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেকে আবার বলছেন, এর দায় সরকারের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে খরা চলছে। পরিচালক সমিতির সভাপতি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বাংলাদেশের সিনেমার দৈন্য অবস্থার জন্য হল মালিকরাই বেশি দায়ী। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা সেই প্রযোজকরা সিনেমা বানাতে আগ্রহী হচ্ছে না। হল মালিকরা শুধুমাত্র শাকিব খানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি চালাতে চায় না। তারা সিনেমা ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তারা ভারতীয় ছবি আমদানির জন্য পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। হল সংস্কার, গাড়ি রাখার জায়গাসহ দর্শক আকর্ষণের কোন কিছুই করতে চায় না তারা। কোন এক সময়ে নতুন ছবি রিলিজ হলে হল মালিকরাই নিজ উদ্যোগে প্রচার বা পোস্টার লাগাত। এখন তারা প্রযোজকদের ওপর সঁপে দেয়। সিনেমা হচ্ছে না বললেই তো আর হবে না। দশ বছরের ব্যবসাসফল ছবি ‘আয়নাবাজি’। অভিযোগ আছে এখনও হল মালিকদের কাছে ওদের টাকা পাওনা রয়েছে। এমন বৈষম্য থাকলে নতুন সিনেমা বানাতে প্রযোজকরা কি আগ্রহ দেখাবে? এ বৈষম্য দূর হওয়া আবশ্যক। সিনেমা হলে ই-টিকেটের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রযোজদের ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার দিতে হবে, এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। চলচ্চিত্র পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম প্রায় একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, এক কথায় বলতে গেলে আমাদের চলচ্চিত্র ভালর দিকে যাচ্ছে। ভাল কিছু ছবি যে হচ্ছে না এটা বলা যাবে না। সিনেমা প্রদর্শনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হল সঙ্কট। হল নেই, ছোট পরিসরের মানসম্মত ভাল হল তৈরি করতে হবে। দর্শক ভাল পরিবেশে সিনেমা দেখতে চায়। এজন্য সরকারী উদ্যোগতো বটেই, ব্যক্তি উদ্যোগেও হল তৈরি করতে হবে। আর ই-টিকেটিং চালু করতে হবে। প্রযোজকরা সিনেমা বানিয়ে লগ্নির টাকা ফেরত পান না প্রদর্শকদের কারণে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে আমাদের চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কীভাবে এই শিল্পটাকে আরও উন্নত করা যায়। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক আহ্বায়ক সেন্সর বোর্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন দিলু বলেন, আমাদের সিনেমায় যাচ্ছেতাই অবস্থা চলছে। একে অপরে দোষারোপ ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। আমি তো সেন্সর বোর্ডের সদস্য। যেসব ছবি আসছে আমার মনে হয় তার বেশিরভাগ মানহীন। নেই ভাল গল্প, সংলাপ, অভিনয় মেকিং। আকাশ সংস্কৃতির যুগে ঘরে বসে বিশ্বের ভাল ভাল ছবি দেখা যায়, সেখানে কষ্ট করে হলে গিয়ে বাজে ছবি দর্শক কেন দেখবে? তার ওপর হল মালিকদের ঔদাসীন্য। কিছুদিন আগে যৌথ প্রযোজনায় কিছু ছবি হচ্ছিল, তাও এত এত নিয়ম-নীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেল। দুই-তিন বছর পরে একটি ভাল ছবি হলে এলে কি আর দেশের সিনেমা বাঁচবে? সবার মিলিত চেষ্টা ছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল। অনেকে মনে করছেন, চলচ্চিত্র শুধু আর্ট নয় ইন্ডাস্ট্রিও। আধুনিক বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে ক্রিকেট, ফুটবল ও গার্মেন্টস খাতের মতোই তার প্রণোদনা প্রয়োজন।
×