ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ধিত চাঁদার সুফল পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ৬ আগস্ট ২০১৯

বর্ধিত চাঁদার সুফল পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ধিত চাঁদার বিরুদ্ধে বেসরকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যেই এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু সোমবার বলেছেন, বর্ধিত হারে চাঁদা কর্তনের ফলে এখন সুফল পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, কল্যাণ ট্রাস্ট বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ২ শতাংশ চাঁদার অর্থে পরিচালিত সরকারের একটি আর্থিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী ১৯৯০ সালের জুলাই মাস থেকে কল্যাণ ভাতা প্রদান করে আসছে। অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন শতভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারীদের শেষ বেতন স্কেল অনুযায়ী কল্যাণ সুবিধা প্রদান করায় কল্যাণ ট্রাস্ট চরম ফান্ড সঙ্কটের সম্মুখীন হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত মাসিক চাঁদা ২ শতাংশ হারে আদায়ে হতো প্রায় ১৮ কোটি টাকা এবং কল্যাণ সুবিধার মাসিক জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪০ কোটি টাকা (নতুন জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী)। এ হিসাবে প্রতিমাসে ঘাটতি প্রায় ২২ কোটি টাকা এবং বার্ষিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় দুই শ’ ৬৪ কোটি টাকা। শুধু ফান্ড সঙ্কটের কারণে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের হাজার হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন ছিল উল্লেখ করে কল্যাণ ট্রাস্ট সদস্য সচিব বলেছেন, যা নিষ্পত্তির জন্য শিক্ষকগণের ২ শতাংশ চাঁদার অর্থের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। এ সঙ্কট দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শিক্ষকদের মানোন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বমোট তিন শ’ ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করে।
×