ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে ॥ আমু

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৬ আগস্ট ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে ॥ আমু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের সব কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সবসময়ে সজাগ থাকতে হবে। অপর উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল শুধু দেশে নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক নেতার ছেলেদের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হয়েও কখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত পৃথক দুটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানম-ি ৩২ নম্বরে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে আমির হোসেন আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালী জাতি যেন বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯ বার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহ তাঁর আয়ু বাড়িয়ে ১৬ কোটি মানুষের আয়ু বাড়িয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হচ্ছে। এর ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। স্বেছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছারের সভাপতিত্বে সভায় বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সকল মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা চায় না বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। তাই তারা সবসময়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালী জাতি যেন বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ কামালের মধ্যে কোন অহমিকা ছিল না- তোফায়েল ॥ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ কামালের মধ্যে কোন অহমিকাবোধ ছিল না। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত। দাম্ভিকতা ছিল তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ। পরোপকারী ও বন্ধুবৎসল শেখ কামালের আচরণে মুগ্ধ হতো সবাই। তাই শেখ কামাল শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক নেতার ছেলেদের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। কারণ প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হলেও কখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ৬৯-এ পাকিস্তানী সামরিক জান্তা সরকার ধর্মীয় উগ্রতার পরিচয় দিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ করে। শেখ কামাল তখন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীদের সংগঠিত করেন এবং রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি খ্যাতিমান শিল্পী জাহিদুর রহিমকে দিয়ে বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে গাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সন্তান তিনি, জন্ম থেকেই তাঁর ধমনিতে ছিল নেতৃত্বগুণ আর জাতীয়তাবোধের চেতনা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বিশ্ব কবির গান গেয়ে অহিংস প্রতিবাদের অসাধারণ উদাহরণ রেখেছেন। যোগ্যতা, দক্ষতা আর দেশপ্রেমের অসামান্য স্ফূরণে শেখ কামাল অল্পদিনেই বদলে দিয়েছিলেন সদ্য স্বাধীন একটা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্র। শুধু ক্রীড়াই নয়, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সব শাখাতেই ছিল তাঁর মুন্সীয়ানা ও অসামান্য সংঠকের ভূমিকা। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, শেখ কামাল হলেন বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত যুবক। তারুণ্যের দীপ্ত উদাহরণ, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা আমাদের যুব সমাজকে যেভাবে দেখতে চাই, শেখ কামাল যেন তারই প্রতীক। শেখ কামাল একজন আদর্শ সন্তান। পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববান। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শেখ কামালের আদর্শে আলোকিত হওয়া আজ সময়ের দাবি। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
×