ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আশপাশে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র নেই তো

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ৬ আগস্ট ২০১৯

আশপাশে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র নেই তো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফেসবুকের টাইম লাইনে একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ছবির বিষয়বস্তু হচ্ছে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন। মাঝখানে খুব বেশি জায়গা নেই। যেটুকু জায়গা সেখানে কার্নিসের ওপর গাদা গাদা ময়লা আর রং বেরঙের পলিথিন ফেলা হয়েছে। নিশ্চয় এখানে পাশাপাশি যারা থাকেন তারাই এই পলিথিন ফেলেছেন। এই পলিথিনকে যদি বৃষ্টির পানি জমে সেখানের সেই পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি তো এডিস মশার উৎপাদন কেন্দ্র হতে পারে। আপনার দৃষ্টির বাইরে এখানে কোন এডিস মশা বেড়ে উঠছে কিনা একবার ভেবে দেখেছেন। নগর পিতাদের দায় অনেকটা কিন্তু আপনার আমার দায়িত্বও কম না। ঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার করে মশার বংশবিস্তার রোধ করার জন্য প্রতিটি মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তো এই শহরের তিন কোটি মানুষের ৬ কোটি হাত এক সঙ্গে কাজে লাগানো সম্ভব। শিশু আর বৃদ্ধদের বাদ দিলেও এই সংখ্যা একেবারে কম না। এখন সেই সময় চলছে যখন সবার এক সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। কারও বাড়ির আশপাশে যেন এডিস মশার উৎস না থাকে সেই দায়িত্ব ব্যক্তির নিজের নিতে হবে। এককভাবে একজনকে এই উদ্যোগ নিলে হবে না। সকলকে একসঙ্গে নিতে হবে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু দেশের কোথাও কোথাও কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। ছেলের দাফন শেষ করে বাবা এসে শিয়রে বসছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়ের। এই পিতা পৃথিবীর সব থেকে কষ্ট বয়ে নিয়ে বেড়াবেন আজীবন। আবহাওয়াবিদ নাজমুল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪) সোমবার মারা গেছেন। নাজমুল এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। বিদেশ যাওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বুধবার তিনি জয়পুরহাট গিয়েছিলেন। ফিরে এসে নাজমুল বিদেশ চলে যান। আর শুক্রবার জ্বর অনুভব করেন শারমিন। মাত্র তিন দিনের মাথায় শারমিন এবং নাজমুলের জীবনের বাঁকে এত বড় পরিবর্তন আসবে কেউ কোনকালে ভাবেননি। ডেঙ্গুর প্রতিটি মৃত্যু আকস্মিক। হুট করে জ্বর এসে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গত কারণে এখন সচেতন হতে হবে সকলকে। সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে ডেঙ্গুকে।
×