ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু হলে করণীয়

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৬ আগস্ট ২০১৯

ডেঙ্গু হলে করণীয়

ডেঙ্গু রোগে বিচলিত বা আতঙ্কিত না হয়ে কিছু পরামর্শ ও সতর্কতা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার সরকারী তথ্য বিবরণীতে পরামর্শগুলো জানানো হয়েছে। বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালীন সতর্কতা ॥ নিচের যে কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্বর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। জ্বর কমার প্রথম দিন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি, বার বার বমি বা মুখে তরল খাবার খেতে না পারা, পেটে তীব্র ব্যথা, শরীর মুখ বেশি দুর্বল অথবা নিস্তেজ হয়ে পড়া বা হঠাৎ করে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া বা শরীর অস্বাভাবিক ঠা-া হয়ে যাওয়া। বাড়িতে চিকিৎসা ॥ পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ), স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, যেমন- খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি। জ্বর থাকাকালীন চিকিৎসা- প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। পূর্ণ বয়স্কদের জন্য- দুটি করে প্রতি ৬/৮ ঘণ্টা পরপর, বাচ্চাদের জন্য- বয়স ও ওজন অনুসারে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, জ্বর থাকাকালীন রোগী দিন-রাত সবসময় মশারির ভেতরে থাকবে। জ্বর থাকাকালীন নিম্নোক্ত ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে- ব্যথানাশক ওষুধ (এনএসএআইডি গ্রুপ যেমন- ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন) এসপিরিন/ ক্রোপিডোপ্রেল (এ্যান্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, ওয়ারফারিন (এ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, এ্যান্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া), কুসুম গরম পানি বা নরমাল তাপমাত্রার পানি দিয়ে সারা শরীর মোছা, বাড়ি ও এর আশপাশের এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল নিশ্চিহ্ন করা এবং মশার আবাসস্থলে স্প্রে করা।
×