ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে সফল কলকাতা সিটি কর্পোরেশন ;###;ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আজ ভিডিও কনফারেন্স করবেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ;###;জনপ্রতিনিধি পেশাজীবী শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে

সামাজিক আন্দোলন চাই ॥ ডেঙ্গু নির্মূলে সচেতনতার তাগিদ

প্রকাশিত: ১০:২২, ৫ আগস্ট ২০১৯

সামাজিক আন্দোলন চাই ॥ ডেঙ্গু নির্মূলে সচেতনতার তাগিদ

রাজন ভট্টাচার্য ॥ প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সরকারী হিসেবে সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত প্রায় ২৩ হাজার। মৃত্যু ঘটেছে ১৮ জনের। বেসরকারী হিসেবে মৃতের সংখ্যা চল্লিশের বেশি। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গত ১৯ বছরের মধ্যে এবারই ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। রাজনৈতিক নেতা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ভাষায় মহামারী আকারে ছড়িয়েছে এ রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশাবাহিত এ রোগ নির্মূলে প্রধান করণীয় হলো সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি। এজন্য সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশজুড়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ, সকল পেশাজীবী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। বছরব্যাপী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চালাতে হবে নজরদারি। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে পার্শ্ববর্তী কলকাতা নগরীতে মশাবাহিত এ রোগ থেকে সবাইকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা মাঠে নামলে দেশজুড়ে জাগরণ সৃষ্টি হবে। বাসাবাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থান পরিষ্কার করার মধ্য দিয়ে সকলের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব। এতে আতঙ্কও অনেকটা কমে আসবে। সেই সঙ্গে মশা মারার কার্যকর ওষুধ ছিটানো হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের বছরজুড়ে নজরদারি ও জনসচেতনতার সৃষ্টির মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্মূল আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে রয়েছে। তাই কলকাতার মতো আমাদের দেশেও বছরব্যাপী এডিস মশা নিধনে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সরকারী সব বেসরকারী হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। রাজনৈতিক নেতাসহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯ বছরে তখন আমাদের ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নির্মূলের কথা তখন আক্রান্তের ভয়াবহতায় ভুগতে হচ্ছে। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন বিদেশী বিশেষজ্ঞদের এনে পরামর্শ নিতে হচ্ছে। অথচ প্রতিবছরই ডেঙ্গুতে কমবেশি আক্রন্তের খবর ছিল। এবার বেশি আক্রান্ত হতে পারে এমন সতর্কবার্তাও দেয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে। কিন্তু এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। মশা নির্মূলে কোনরকম প্রস্তুতি না থাকায় ডেঙ্গু এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদেশে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাজ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ এমএইচ লেনিন চৌধুরী বলেন, মেয়রদের খামখেয়ালির কারণে সারাদেশে এ রোগের বিস্তার ঘটছে। গোটা দেশ আজ ডেঙ্গুর ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যাও গোপন করা হচ্ছে। তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে মশার জীবাণু ও লার্ভা ধ্বংসের কার্যকর ওষুধ আমদানির দাবি জানিয়ে জনপ্রতিনিধি-সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মশার স্থান পরিষ্কার করারও আহ্বান জানান। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আবু সাঈদ বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা ও ব্যক্তি ডেঙ্গু নির্মূলে তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যদি সারাদেশের এডিস মশার প্রজননস্থলগুলো সময়মত ধ্বংস করত তাহলে এ মশার বংশ বিস্তার নষ্ট হয়ে যেত। পোলিও খাওয়ানোর আদলে তিনি দেশে ডেঙ্গু নিধনের কিট ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। সম্ভাব্য সব স্থান পরিষ্কারের পরামর্শ ॥ বাসাবাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রজননের সম্ভাব্য সকল স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার আহ্বান জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত জমে থাকা পরিচ্ছন্ন পানিতে এ মশার জন্ম। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ বর্ষার মৌসুমেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। এবারও তাই হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ রোগে যত আক্রান্ত হয়েছে জুলাইয়ে এই সংখ্যা অন্তত ১৪ গুণ। তারা বলছেন, ড্রেন কিংবা নালানর্দমায় এডিসের জন্ম হয় না। অথচ দৃশ্যমান বাস্তবতা হলো ময়লা পানি, ড্রেন, খাল কিংবা খোলা রাস্তায় মশা মারার অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে খুব একটা অভিযান হচ্ছে না। নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি সম্ভাব্য সব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর জোর দিয়ে তারা বলেন, এই অভিযানে সকল স্তরের মানুষকে যুক্ত করতে হবে। স্কাউট, বিএনসিসিসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এক করে দুর্যোগ মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন তারা। অবহেলার কারণে ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এর ব্যর্থতা সবাইকে নিতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দোষারোপের খেলার (ব্লেম গেমের) আশ্রয় নিয়েছে। সমস্যা এখন দুটি, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ও মশা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি বলেন, ডেঙ্গুকে মহামারী বললেই কি নতুন কিছু যোগ হবে? মোটেই না। আমরা চাই এটা নির্মূল হোক। আমরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য মহামারী ব্যবহার করব না। চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করছেন। কিন্তু সেখানেও কিছু গাফিলতি আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর যে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তা ঢাকা কেন্দ্রিক। কিন্তু ডেঙ্গু রোগটি সারাদেশে ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রথম কাজ হবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের এ রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করা। ঈদের সময় অসংখ্য মানুষ বাড়িতে যাবে। তাদের সঙ্গেও কিন্তু ডেঙ্গু রোগের বাহক সারাদেশে ছড়াবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চে যাত্রার আগে কেন মশা নিধন করা হবে না! এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। মশা নিধনে জনগণকে নিয়ে এখনো আমরা এগোতে পারিনি। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা-গ্রামে মশক নিধন অভিযান শুরু করতে হবে। প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সরকার, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র-যুবক, তরুণ-তরুণী ও শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবী ব্রিগেড গঠন করা জরুরী। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সারাদেশকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা ঘোষণা করুন। জাতির অস্তিত্বের স্বার্থে আজকে সবাইকে এক কাতারে শামিল করুন। মশা নিধনে দ্রুততম সময়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করুন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কলকাতা যেভাবে সফল ॥ সম্প্রতি বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেশী কলকাতা নগরীর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, কলকাতা শহরে ডেঙ্গু গত কয়েকবছর ধরেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি। বেশি অর্থও বিনিয়োগ করতে হয়নি। কলকাতায় একটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মশাবাহিত এ রোগ থেকে সবাইকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কলকাতা সিটি কর্পোরেশন বলছে, সারাবছর ধরে তারা নিবিড় নজরদারি চালায়, যাতে কোথাও জল জমে না থাকে। এজন্য বহু কর্মী যেমন রয়েছে, তেমনই এবার এ কাজে আকাশে উড়ানো হবে ড্রোনও। এছাড়া শহরের প্রতিটি হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা পরীক্ষাগারে রোগীদের কী কী রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে, কী ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, তার প্রতিদিনের হিসাব রাখা হয়। যাতে ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যায়। তবে একটা সময় ছিল বর্ষা শুরু হলে কলকাতা কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নামত। কিন্তু ততদিনে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ত শহরের নানা অঞ্চলে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা সিটি কর্পোরেশন সারাবছর ধরেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ শুরু করেছে। কলকাতার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ জানান, তারা কয়েকটা স্তরে বছরভর নজরদারি চালান। প্রথমত, ১৪৪ ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই ২০ থেকে ২৫ জন করে কর্মী আছে, যাদের মধ্যে একদল প্রচারের কাজ চালায়, অন্যদল জল জমছে কিনা তার ওপর নজর রাখে। এর ওপরে আছে ষোলোটি ব্যুরোর (জোন) প্রতিটির জন্য একটা করে র‌্যাপিড এ্যাকশন টিম। তাতে ৮ থেকে ১০ জন সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে, গাড়িও থাকে তাদের কাছে। কোন জায়গায় ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেলে তারা সেখানে পৌঁছে অতি দ্রুত এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। তিনি বলেন, ‘নজরদারি চললেও এখনও অনেক বহুতল বা সরকারী ভবনের আনাচে-কানাচে জল জমে থাকতে দেখা যায় যেগুলো ডেঙ্গুর রোগবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাই জন্মানোর আদর্শ স্থান। তাই কর্পোরেশনের কর্মীরা যেসব জায়গায় জল জমে থাকতে দেখছে, সেই ভবনগুলোর ওপরে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করার জন্য আইন বদল করা হয়েছে। আবার জল পরিষ্কার করে দেয়ার খরচ বাবদ বিল, বাড়ির বার্ষিক করের বিলের সঙ্গে পাঠিয়ে দিচ্ছে কর্পোরেশন। নজরদারি আরও ভাল করে চালানোর জন্য এবার আকাশে ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে, যা থেকে মশা মারার তেলও ছড়ানো যাবে। রোগ চিহ্নিতকরণ আর চিকিৎসার ব্যবস্থাও গড়ে উঠেছে কর্পোরেশনের ১৪৪ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে অতীন ঘোষ আরও বলেন, ভারতের বেশিরভাগ ল্যাবরেটরিই এখনও বেসরকারী। তাদের কাছ থেকে ঠিকমতো তথ্য কখনই পাওয়া যায় না। তাই বোঝা যাচ্ছিল না যে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এই সমস্যা কাটানোর জন্য ১৪৪টি ওয়ার্ডেই একজন করে কর্মী রেখেছি, যার একমাত্র কাজ হলো ওই এলাকায় যত হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেখানে একটা খাতা নিয়ে হাজির হবেন। কত রোগীর রক্ত পরীক্ষা হলো, কী কী পরীক্ষা হলো, পরীক্ষার ফল কী, সেগুলো নোট করে আনবেন তারা। সঙ্গে সঙ্গেই সেই তথ্য অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছে যায় বরোভিত্তিক মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ টিমের কাছে।’ এত ব্যবস্থা নেয়ার পরেও কলকাতা শহরে ডেঙ্গু যে হয় না, বা তা থেকে যে মৃত্যু হচ্ছে না, তা নয়। শহরের বেশ কয়েকটি নামী হাসপাতাল থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক তথ্যেই তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কর্পোরেশন ডেঙ্গুতে মৃত্যু তথ্য চেপে যায় বলে অভিযোগ ওঠে নানা মহল থেকে। তাছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জনপ্রতিনিধি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের সেখানে কাজে লাগানো হয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অতীন ঘোষের বক্তব্য হলো, ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে কিনা, সেটা বলার কোন অধিকারই নেই কর্পোরেশনের। সরকারের একটা ডেথ অডিট কমিটি আছে। কারও ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে, এটা জানা গেলে সব তথ্য ওই কমিটির কাছে পাঠাতে হয়। সেখানে শহরের নানা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেন মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে, নাকি অন্য কোন কারণে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে যে কোনভাবে আমরা সহায়তা দিতে রাজি। ওখানকার কোন পৌরসভা যদি আমাদের কাছে সাহায্য চায়, তাহলে আমরা গিয়ে হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়ে আসতে পারি কীভাবে বছরব্যাপী আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজটা করি। এই ধারাবাহিকতায় ঢাকা উত্তর সিটির পক্ষ থেকে অতীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজ বেলা আড়াইটায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন।
×