ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাতা মেরামত

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ৩ আগস্ট ২০১৯

 ছাতা মেরামত

গাইবান্ধায় বর্ষাকালে রাস্তার ধারে সারিবদ্ধভাবে বসে যায় ছাতা মেরামত করার কারিগররা। ছাতা মেরামতের এই কারবারকে তারা নিজেরাই বলে এটা বর্ষাকালের অস্থায়ী কারবার। বিশেষ করে লেপ তোষক সেলাইয়ের ধুনকর, জুতা-স্যান্ডেল মেরামতকারী রবিদাস সম্প্রদায়ের লোকজনসহ অন্যান্য পেশার লোকজনও আষাঢ় মাসের বর্ষাকালে বৃষ্টি শুরু হলেই এই পেশাতে ঝুঁকে পড়ে। কেননা বৃষ্টির মৌসুম না এলে সাধারণত মানুষ ছাতা ব্যবহার করেন না। বৃষ্টি শুরু হলেই প্রয়োজন পড়ে বাড়িতে রাখা পুরনো ছাতাটির। সঙ্গত কারণেই প্রায় প্রতিটি পরিবারেই দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ মাস অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা ছাতাটি মেরামত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় বর্ষায়। ফলে বর্ষা এলেই ছাতা মেরামতের কারিগরদের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এজন্য সুযোগ বুঝে ছাতার কারিগররা বেশি দামে মেরামত ও ছাতা সারাইয়ের কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। আর এ কারণেই তারা অন্য পেশা ছেড়ে এসে অস্থায়ী এবং লাভজনক এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে গাইবান্ধা শহরের মূল কেন্দ্র স্টেশন রোড সংলগ্ন রাস্তার পাশে কাচারী বাজার এলাকায় বর্ষার এ সময়ে ছাতা সারাইয়ের রমরমা কারবারে সম্পৃক্ত থাকে। ওরা যখন ছাতা সারাইয়ে ব্যস্ত, ছাতার মালিক তখন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে। এই এলাকায় একসঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন ছাতা মেরামতকারী সারিবদ্ধভাবে বসে কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে আবার অনেকে অস্থায়ী, কখনও কাজে আবার কখনও করে না। তবে স্থায়ীভাবে যারা প্রতিবছর একই এলাকায় এই কাজটি করে আসছে, তারা হলো শহরের ভিএইড রোডের জালাল মিয়া, বানিয়ারজান এলাকার সাইফুল ইসলাম, বোর্ডবাজার এলাকার শফি মিয়া, পূর্বকোমরনই মিয়াপাড়ার আকাশ মিয়া ও রায়হান। এছাড়া ধুনকর সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামও এ এলাকায় ছাতা মেরামতের কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। এদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে যেহেতু লেপ, তোষক সেলাইসহ শ্রমজীবী মানুষদের কাজের অভাব থাকে, সেজন্য বিকল্প পেশা হিসেবে তারা ছাতা সারাইয়ের কাজটি শিখে নিয়েছে যাতে অভাবের সময়টিতে তারা এই কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। - আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা থেকে
×