ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ পেসে বিপর্যস্ত অসিদের হয়ে স্মিথের লড়াই

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২ আগস্ট ২০১৯

ইংলিশ পেসে বিপর্যস্ত অসিদের হয়ে স্মিথের লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মর্যাদার এ্যাশেজ লড়াই দিয়েই ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদকালের এ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হলো। এ সময়ের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোই এর অন্তর্ভুক্ত হবে। বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টেস্ট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমদিনেই চরম বিপর্যয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক ইংল্যা- পেসারদের দাপটে টানা উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তারা। স্টিভেন স্মিথের ফিফটির পরও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছে। এ ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ফিরেছেন বল টেম্পারিং কা-ের তিন দাগী আসামি স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। আর সুযোগটা লুফে নিয়ে ‘ভদ্র’ ব্রিটিশ দর্শকরা গ্যালারিতে প্রদর্শন করেছেন শিরিশ কাগজ! ঐতিহাসিক আরেকটি ব্যাপার ছিল, প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও খেলোয়াড়দের জার্সিতে নাম ও নাম্বারের যাত্রা শুরু হয়েছে। টস জিতে টিম পেইন ব্যাটিংকেই বেছে নিয়েছেন। জার্সির পেছনে নাম ও নাম্বার নিয়ে দুই অধিনায়ক টস করতে নেমে টেস্ট ইতিহাসে নতুন এক নিয়মের আরম্ভ করেছেন। তবে ব্যানক্রফট আর ওয়ার্নার ব্যাট হাতে নামার পরই তাদের ‘লজ্জা’ দিয়েছেন ব্রিটিশ ভদ্রলোকেরা। এজবাস্টনে আগত দর্শকদের অনেকেই এ দুই ক্রিকেটারকে বারবার ‘শিরিশ কাগজ’ উঁচিয়ে দেখিয়েছেন। কারণ গত বছর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউট টেস্টে ‘শিরিশ কাগজ’ দিয়েই বল টেম্পারিং অপরাধে ওয়ার্নার-স্মিথকে ১ বছরের জন্য আর ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এই প্রথম টেস্টে ফিরেছেন তারা তিনজনই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা মর্যাদার এ্যাশেজ দিয়েই। এমন ম্যাচে এসব ঘটনাক্রমের মধ্যে স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকস ধারালো গতির তোড়ে অসি ব্যাটিং লাইনআপ কেটে কুচিকুচি করতে শুরু করেন। জেমস এ্যান্ডারসনের গতিতে বেসামাল দুই ওপেনারের জুটিতে প্রথম আঘাত হানেন ব্রড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তিনি ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ২ রানেই বিদায় ওয়ার্নার। চার ওভার পর আবারও ব্রড ‘বল টেম্পারিং’ অপরাধী ব্যানক্রফটকে (৮) সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন। স্মিথ চার নম্বরে নেমে নিজের পুরনো রূপটাই দেখিয়েছেন। কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা উসমান খাজা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, তিনি ১৩ রানেই ওকসের শিকারে পরিণত হন। মাত্র ৩৫ রানে ৩ টপঅর্ডারকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়া অসিদের বাঁচাতে স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ট্রাভিস হেড। তারা দারুণ খেলছিলেন। ৬৪ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন। কিন্তু এই জুটিতেও চিড় ধরান ওকস। ৬১ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করা সাবলীল হেডকে তিনি ফিরিয়েছেন এলবিডব্লিউ করে। এরপর ব্রড-ওকস জুটি আরও দুর্বার হয়ে ওঠেন। একে একে তারা ফিরিয়ে দেন ম্যাথু ওয়েড (১), টিম পেইন (৫), জেমস প্যাটিনসনকে (০)। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে স্মিথ তার সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেছেন আবার সংগ্রামও করেছেন একাকী। তার লড়াইয়ে অন্যদের মতোই সঙ্গী হতে পারেননি প্যাট কামিন্সও। তিনি ৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক পেসার বেন স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ইনিংসে তিনি পঞ্চম এলবিডব্লিউ! ব্যতিক্রম স্মিথ ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটি হাঁকিয়ে ১৩৯ বলে ৫ চারে ৬৬ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গী পিটার সিডল ৭ রান নিয়ে। নবম উইকেটে ৩২ রান যোগ করে লড়ে যাচ্ছেন তারা ইংলিশ পেসারদের সঙ্গে। ব্রড ৪ ও ওকস ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
×