ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শুরুতেই বিদায় স্টিফেন্সের

প্রকাশিত: ১২:১১, ১ আগস্ট ২০১৯

শুরুতেই বিদায় স্টিফেন্সের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিটি ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিলেন স্লোয়ানে স্টিফেন্স এবং কোরি কোকো গাফ। মঙ্গলবার তাকে হারিয়ে রীতিমতো চমকে দেন রেবেকা পিটারন। এদিন তিনি ৬-২ এবং ৭-৫ গেমে পরাজিত করেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই এবং সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্টিফেন্সকে। দিনের আরেক ম্যাচে কাজাখস্তানের জেরিনা দিয়াস ৬-৪ এবং ৬-২ গেমে হারান উইম্বলডনে আলো ছড়ানো কোরি গাফকে। ২৬ বছর বয়স স্টিফেন্সের। গত কয়েক মৌসুম ধরেই বিশ্ব টেনিসের আলোচিত নাম। তবে এখন পর্যন্ত তার সেরা সাফল্য ইউএস ওপেনে। ২০১৭ সালে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপার দেখা পান তিনি। সেই ম্যাচের ফাইনালে তিনি দাঁড়াতেই দেননি স্বদেশী প্রতিপক্ষ ম্যাডিসন কেইসকে। মাত্র ১ ঘণ্টায় ম্যাচ জিতে নিয়েছিলেন স্টিফেন্স। ইউএস ওপেন দিয়ে জীবনে প্রথমবার কোন গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হন স্টিফেন্স। প্রতিপক্ষ রানার্সআপ ম্যাডিসনেরও এটাই ছিল প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল। এর আগে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন স্টিফেন্স। যা ছিল এতদিন তার সেরা পারফর্মেন্স। তবে পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি আমেরিকান তারকা। কিন্তু ইউএস ওপেন জয়ের পর তাকে বলা হচ্ছিল সেরেনার উত্তরসূরি। অথচ কোর্টে সেই পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তবে গত এপ্রিলে ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার জজি এ্যাল্টিডোরের সঙ্গে আংটি বদল করেন ইউএস ওপেন জয়ী সেøায়ানে স্টিফেন্স। ২০১৫ সালে সান্ডারল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকারের দল টরেন্টো এফসিতে যোগ দেন জর্জি। দলটির হয়ে দারুণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন তিনি, ১১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬০ গোল। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অভিষেকের পর ১১০টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪১টি। তবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ত্রিনিদাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের হারের পর দলটির জার্সিতে আর দেখা যায়নি তাকে। এদিকে উইম্বলডনের শিরোপা জয়ী সিমোনা হ্যালেপ আসন্ন উহান ওপেনে খেলার ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে টানা ছয়বার এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক শীর্ষ তারকা হ্যালেপ বলেন, ‘টানা ছয় বছর উহান ওপেনে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি আমি। এই টুর্নামেন্ট সবসময়ই বিশেষ যতœ নেয় আমাদের। তাছাড়া এখানকার সমর্থকরাও দুর্দান্ত।’ হ্যালেপের এমন ঘোষণায় আয়োজক কর্তৃপক্ষও খুব খুশি।
×