ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীনগরে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ও পুল

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১ আগস্ট ২০১৯

শ্রীনগরে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ও পুল

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে পুঠিমারা খালের ওপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ও কাঠের পুলের কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার ষোলঘর ও হাঁসাড়া ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী মঞ্জুরের বাড়ির সামনে পুঠিমারা খালের ওপরে ৬০ ফুট দীর্ঘ ওই বাঁশের সাঁকোটির একটি অংশ খুলে নিয়েছেন আড়িয়ল বিলের মাটি দস্যুরা। তাদের বাল্কহেড চলাচলের সুবিধায় সিন্ডিকেট মহলটির কারসাজিতে সাঁকোটি থেকে একটি সিঁড়ি উধাও করে দিয়েছে। এতে করে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সাঁকো পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে একই খালের পশ্চিম হাঁসাড়ার রতন খান ও পূর্ব হাঁসাড়ার সিরাজুল ইসলামের বাড়ির সামনে জরাজীর্ণ কাঠের পুলটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পরে দুর্ঘটনা ঘটে মানুষজনের জানমালের ক্ষতির কারণ হতে পারে। সরজমিনে জানা যায়, ষোলঘর ও হাঁসাড়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী পুঠিমারা খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটি বর্ষার এ সময়ের জন্য দুই পারের মানুষের পারাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় সাঁকোটি অনেকাংশ পানিতে ডুবে গেছে। হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা বাসের সাঁকোটি দুই ইউনিয়নের মানুষের সেতু উল্লেখ করলেও ভুল হবে না। কারণ খালের দুই প্রান্তে রয়েছে স্থানীয় স্কুল, মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে দৈনিক প্রয়োজনে যেতে হয় দুই ইউনিয়নবাসীর। এ সময় স্থানীয়রা বলেন, বাশের সাঁকোটি দুই পারের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বাল্কহেড সিন্ডিকেট মহলের লোকেরা তাদের সুবিধামতো সাঁকোর একটি অংশ অদৃশ্য করে দিয়েছে! হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে একই খালে হাঁসাড়ার অংশে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুল দেখা গেছে। ওই ইউনিয়নের খাল পারের মানুষের পারাপারের জন্য পুলটি খুই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় স্থানীয় নাসিম, আলাল শেখ, আব্দুল হকসহ অনেকে জানান, পুঠিমারা, লস্করপুর, আলমপুর গ্রাম ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওই পুলটি দিয়ে তাদের পারাপার হতে হয়। এ সময় লক্ষ্য করা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলটির ৫০০ মিটার দূরত্বে একই খালের ওপর আলী খার বাড়ির সামনে আরেকটি জরাজীর্ণ কাঠের পুলের সংস্কার কাজ চলছে। ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুল ইসলামের কাছে পুঠিমারা খালের ওপর বাঁশের সাঁকোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাঁকোটির বর্তমান অবস্থান সমন্ধে আমি অবগত নই।
×