ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি টাকা গ্রহণ ॥ পাঁচ হাসপাতালকে জরিমানা, জেল একজনের

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১ আগস্ট ২০১৯

ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি টাকা  গ্রহণ ॥ পাঁচ হাসপাতালকে জরিমানা, জেল একজনের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষায় বাড়তি টাকা নেয়ায় ঢাকার পাঁচ হাসপাতালকে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, ডেঙ্গুর কোন প্রকার পরীক্ষা না করেই প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেয়ার দায়ে চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৮ লাখ টাকা, পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- এবং নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা থাকায় তমা কনস্ট্রাকশনের সুপারভাইজারকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‌্যাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব জেল জরিমানা করে। বুধবার দুপুরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ইসলামী ব্যাংক স্পেশালাইজড হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়ার প্রমাণ পায় আদালত। এছাড়া ওই হাসপাতালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারক। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বুধবার ঢাকার কাওরান বাজারে শুনানি শেষে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার দায়ে সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ল্যাব সাইন্স, ধানম-ি ক্লিনিক ও গ্রীন লাইফ হাসপাতালকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়ার দায়ে ল্যাবএইড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা এবং ইবনে সিনা হাসপাতালকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে বুধবার রাতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করতে রক্তের পরীক্ষা না করেই প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেয়ার দায়ে রাজধানীর পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকার চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। দোষ স্বীকার করায় পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ভবন মালিকদের এডিস মশা নিধনে বার বার আহ্বান জানিয়েছি। তার পরেও অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ভবন মালিকরা এডিস মশার বংশ বিস্তাররোধে সচেতন না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
×