ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:১৩, ২৬ জুলাই ২০১৯

 উবাচ

এডিস আমদানি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৭ সালে মারণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর আমদানি করেছে। তখন থেকে এই এডিস মশা ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। মশা আমদানি করে কোন সরকার? রাজনৈতিক বক্তব্যের তো একটা সীমারেখা থাকা উচিত। বিরোধিতা যদি এমন হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে রাজনৈতিক বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। মানুষ যদি কারো কথা আর বিশ্বাস না করে তাহলে ওই রাজনীতিবিদের আর রাজনীতি করার দরকার কী। দিনের পর দিন একজন বন্দী মানুষ যা ইচ্ছা তাই বলে একটি দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবার সেই রাজনৈতিক দলও এই নেতাকে সহ্য করছে। এর অর্থ কী ওই নেতাকে তারা দায়িত্ব দিয়েছে ক্রমান্বয়ে দলকে ধ্বংস করে এমন বক্তব্য দিতে। এই নেতাই বলেছে সরকার এডিস মশা ছেড়ে সারি সারি মানুষ মারছে। সম্প্রতি যেভাবে গুজব ছড়াচ্ছে তাতে এই নেতার বিরুদ্ধেও এ ধরনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেই মনে করা হয়। রোহিঙ্গা মশা স্টাফ রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গারা রাষ্ট্র হারানো এক জাতি। পরম মমতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি সারাবিশ্বে যেখানেই যাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার পর ইউরোপে কয়েক হাজার শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়া নিয়ে যেভাবে নাটকীয়তা করেছে সেখানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সেই মহানুভব নেত্রীর মন্ত্রিসভার একজন সদস্যর বক্তব্য নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মন্ত্রীদের জিহ্বা একটু সামলে চালানো উচিত কেন বারবার ভুলে যান তারা। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী আরও বলেন, এডিস মশার প্রডাকশন অনেক বেশি। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। একজন মন্ত্রীর কি উচিত রাষ্ট্রহীন একটি জনগোষ্ঠী সম্পর্কে এমন ভাষা ব্যবহার করা। উন্নত দেশ হলে অনেক কিছুই হতো এই বক্তব্য নিয়ে। কিন্তু আমাদের এখানে রোজই কেউ না কেউ এমন কথা বলে যাচ্ছেন। তাদের কিছুই হচ্ছে না। দেখা যাক ডেঙ্গু সামলে উঠতে না পারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কিছু হয় কী না। বন্যা সংলাপ স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে জাতি রক্ষায় জাতীয় সংলাপ আহ্বানের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। রাজনীতিতে ড. কামাল হোসেনকে একজন জাদুকরই বলতে হবে। বিএনপির মতো বড় একটি দল ড. কামালের কথায় নির্বাচনে চলে এল আবার এখন ড. কামালকে বিএনপি অনেকটা বিকল্প নেতাও মানছেন। ড. কামালও যতটা পারেন বিএনপিকে সামাজিক করার চেষ্টা করছেন। এই যেমন বন্যা পরিস্থিতিতে জাতীয় সংলাপ আয়োজন করতে পারলে বিএনপি রাষ্ট্রের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে জনসেবা করে যেতে পারত। কিন্তু জাতীয় সংলাপ কি এই দেশে কোন দিন সফল হয়েছে। বরাবর ব্যর্থ হওয়া চেষ্টাকে আবার কেন আকড়ে ধরতে চান ড. কামাল। দেশে ৪০টির মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশনে আরও ৭৬টি সংগঠন রাজনৈতিক দল হওয়ার আবেদন করেছিল। এর বাইরেও বহু সংগঠন রয়েছে তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল মনে করে। কিন্তু নিবন্ধন নেই এই যা। এত লোকের সঙ্গে সংলাপ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কি পানি নেমে যাবে না? তার চেয়ে শুধু কথা মালার আয়োজন করার চিন্তা বাদ দিয়ে দুর্গতদের জন্য কাজ করাই কি ভাল নয়!
×