ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসূতির গর্ভের সন্তানের মাথা কাটলেন চিকিৎসক

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৩ জুলাই ২০১৯

 প্রসূতির গর্ভের সন্তানের মাথা কাটলেন  চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর কিংস হাসপাতালে এক প্রসূতির সিজার করার সময় গর্ভের সন্তানের মাথা কেটে ফেলেছেন ডাঃ আতিকুর রহমান। ঘটনার দুইদিন পর শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যশোর সদরের সতীঘাটা পান্থাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী নাজনীন নাহার বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তি হন ডাঃ আতিকুর রহমানের মালিকানাধীন কিংস হাসপাতালে। শিশুটির পিতা ইকরাম হোসেন জানান, ‘ভর্তির পরপরই কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ডাঃ আতিকুর রহমান তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় গর্ভে থাকা শিশুটির মাথায় অপারেশন কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের পোঁচ লাগে। মাথার তালুতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।’ প্রসূতির স্বজনরা ভূমিষ্ট শিশুর মাথায় রক্ত দেখে একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলে, ডাঃ আতিক তাদের ধমক দিয়ে বলেন, এটা কিছু না, সামান্য ব্যাপার। ওই অবস্থায় দুইদিন তার হাসপাতালে রেখে দেন শিশুটিকে। শিশুর অবস্থা অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০টায় তাকে যশোর আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যশোর আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, শিশুটির মাথা কাটা রয়েছে। কি কারণে কাটা হয়েছে, তা জানি না। এ বিষয়ে ডাঃ আতিকুর রহমান জানান, এটা তেমন কোন বড় ঘটনা না। এটা অপারেশনের সময় হতেই পারে। প্রসঙ্গত, ডাঃ আতিকুর রহমান গাইনী বিশেষজ্ঞ নন। তিনি ছিলেন যশোর আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসার। রাজশাহীতে অবহেলায় শিশুর মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা অবহেলায় তিশা খাতুন (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। তিশা উপজেলার পৌর এলাকার পালোপাড়া গ্রামের মানিকের মেয়ে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, সামান্য জ্বর নিয়ে শিশুটিকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকের নির্দেশনায় দায়িত্বরত একজন নার্স শিশুটিকে একটি ইঞ্জেকশন পুশ করে। ইঞ্জেকশনটি দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিশুটির শরীরে প্রচন্ড খিঁচুনি ওঠে। এক পর্যায়ে শিশুটির শরীর নিস্তেজ হয়ে সেখানেই মারা যায়। পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে তিনি নিজেই ফোর্স নিয়ে সেখানে যান। পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
×