ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিএস সচিবের তথ্য

ষষ্ঠ জনশুমারিতে প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত বিদেশীরা গণনায় আসছে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১১ জুলাই ২০১৯

ষষ্ঠ জনশুমারিতে প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত  বিদেশীরা গণনায় আসছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রবাসে বসবাস করা বাংলাদেশীদের পাশাপাশি দেশে অবস্থানরত বিদেশীদেরও জনশুমারিতে গণনার আওতায় আনবে সরকার। আগামী ২০২১ সালে শুরু হতে যাওয়া ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনায় (আদম শুমারি) তাদের হিসাবের আওতায় আনা হবে। বুধবার নগরীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে যুগোপযোগী জনশুমারি ও গৃহগণনা হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বিবিএস সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। সৌরেন্দ্র নাথ বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার ও বাহরাইনে বাস করেন বহু বাংলাদেশী। এসব প্রবাসীদের গণনার আওতায় আনা হবে। একইভাবে বাংলাদেশে নানা প্রকল্পে ভারত, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক কর্মরত। তাদেরও আনা হবে গণনার আওতায়। সচিব বলেন, ষষ্ঠ জনশুমারিতে কেউ বাদ যাবে না। প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী সবাইকে গণনা করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২১ সালের ১৭ মার্চ রাত ১২টাকে শুমারি মুহূর্ত ধরে পরবর্তী সাতদিন জনশুমারি ও গৃহগণনা করা হবে। ২০২১ সালে মাঠপর্যায়ে মূল শুমারির তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনার ৩৬৫ দিনের কাউন্ট ডাউন শুরু করা হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে পরবর্তী জনশুমারি বাস্তবায়নের জন্য মূল শুমারি প্রশ্নপত্র এবং মূল শুমারি পরবর্তী আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক কাজ শুরু হয়েছে। বিবিএস সচিব আরও বলেন, ‘পপুলেশন এ্যান্ড হাউজিং সেনশাস-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে ডিজিটাল জনশুমারি করা হবে। এ পদ্ধতিতে দেশের একটি খানাও (পরিবার) বাদ যাবে না। স্যাটেলাইট ইমেজ দেখে সারাদেশে চার লাখ গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন। শিক্ষিত বেকারদের এ প্রকল্পে সুযোগ দেয়া হবে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, শিক্ষিত বেকারদের জনশুমারি প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। এর আগে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের জনশুমারির কাজে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তবে এবার তাদের অংশ নেয়ার যোগ থাকছে না। সাতদিনে চার কোটি খানার (পরিবার) তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন গণনাকারী ১০০টি খানার তথ্য সংগ্রহ করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস বলেন, এই শুমারির ফলের ওপর নির্ভর করে অন্য শুমারির সঠিক ফল। যেমন, যদি জনসংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে মাথাপিছু আয় কমে যাবে। এজন্য জনশুমারিটি সঠিকভাবে করতে হবে। বিবিএস মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেন, এসডিজি অভীষ্টের ১৬টি সূচকের তথ্য সরাসরি এবং ৯৭টি সূচকের ডিনোমিনেটর এই শুমারি হতে পাওয়া যাবে। তাছাড়া শুমারি পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে বিশদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। ইউএনএফপিএর পিপিআর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালক মাহাবুব-ই আলম বলেন, ২০১৯ সাল ইউএনএফপিএর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ বছরেই সংস্থাটি ৫০ বছর পূর্তি পালন করছে। এসডিজিতে তথ্য গ্যাপ যা আছে তা এই শুমারির মধ্য দিয়ে অনেকটা পূরণ হবে। প্রকল্পের পরিচালক জাহিদুল হক সরদার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় আদমশুমারি। আগামী ২০২১ সালে হতে যাচ্ছে ষষ্ঠবারের মতো জনশুমারি ও গৃহগণনা। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন অনুযায়ী এখন আর আদমশুমারি বলা হবে না। কর্মশালার এসময় অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×