ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক আটক

প্রকাশিত: ১০:২৩, ৬ জুলাই ২০১৯

 ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৫ জুলাই ॥ এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। একইসঙ্গে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে তারা। আটক শিক্ষকের নাম আবুল খায়ের বেলালী (৩২)। তিনি কেন্দুয়া পৌর সদরের বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের মা হাওয়া (আ) কওমি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার গোনাকালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালী দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়া উপজেলায় সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। তিনি বাদে আঠারবাড়ি গ্রামে মা হাওয়া (আ) কওমি মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে তিনি ওই মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে শিশুটি রক্ষা পায়। পরে শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি সম্পর্কে তাদের অভিভাবকদের জানায়। তখন গ্রামবাসী এসে ওই শিক্ষককে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেয়। এরপর তাকে কেন্দুয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এদিকে বেলালীকে আটকের পর একই মাদ্রাসার আরও এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে। তাকেও ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে সে তার অভিভাবকদের জানায়। পরে অভিভাবকরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে। কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিম দুই শিশু ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক বেলালীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ এবং অপর একটি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। বেলালীকে আটকের পর বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ সময় তারা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
×