ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯৪ রানের ব্যবধানে জিতেও পাকিস্তানের বিদায়

সাকিবের বীরত্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১০:২০, ৬ জুলাই ২০১৯

সাকিবের  বীরত্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ বাংলাদেশের

জাহিদুল আলম জয় ॥ সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও বিশ্বমঞ্চ কাঁপিয়ে দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুক্রবার রাতে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লন্ডনের লর্ডসে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হারলেও সাকিব ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৪ রান করার পথে আরও কয়েকটি গৌরবময় রেকর্ড গড়েছেন অবিশ্বাস্য সাকিব। যে কারণে পাকিস্তানের করা ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৪৪.১ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হলেও ব্যথাটা ভোলা গেছে! সুযোগ ছিল, এই ম্যাচ জিতে পঞ্চম স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করার। কিন্তু বাজে হারে সেটা সম্ভব হয়নি। উল্টো ১০ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হয়েছে টাইগারদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেলেও কাগজে-কলমে স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটা ছিল প্রায় অসম্ভব। অবশেষে সেটাই হয়েছে। পাকিস্তান ৩১৫ রান করার পর তাদের সেমিফাইনালে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অলআউট করতে হতো মাত্র ৭ রানে! তাহলেই কেবল রানরেটে নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেরা চারে খেলতে পারত ১৯৯২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই অলৌকিক এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি পাকিরা। ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের ১.৫ ওভারে ৮ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। আর তখনই বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। যে কারণে বড় ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েও একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকি ক্রিকেটারদের। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের সমান ১১ পয়েন্ট পেয়েও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় সেমিতে খেলা হলো না সরফরাজ আহমেদের দলের। অন্যদিকে রানরেটে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে উঠে গেছে কিউইরা। আর আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের। তবে শাহিন শাহ-বাবর-ইমামরা হয়ত সান্তনা খুঁজে নেবেন বাজেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করার পরও পাঁচ নম্বরে থেকে মিশন শেষ করতে পেরে। ৩১৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই খাবি খেতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। একবার জীবন পেয়েও সৌম্য ২২ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান। তখন বাংলাদেশের রান ৫.৫ ওভারে ২৬। অমার্জনীয় ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেননি তামিম। দলীয় ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। তার আগে চট্টলার তারকা ২১ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেন! সতীর্থদের এই যাওয়া-আসার মাঝে আবারও একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন বিস্ময় জাগানিয়া পারফরমেন্স প্রদর্শন করা সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যতক্ষণ উইইকেট ছিলেন ততক্ষণ লড়াই করেছেন দাপটের সাথে; ছিল টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু দলীয় ১৫৪ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আউট হয়ে গেলে সব আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। সাকিবের আগেই সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস। বিশ্বসেরা তারকা বিদায় নেয়ার পর বাকিরা শুধু নিয়মরক্ষা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে যথারীতি সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব। তিনি খেলেন ৭৭ বলে ৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। এছাড়া লিটন ৩২, মাহমুদুল্লাহ ২৯ ও সৌম্য করেন ২২ রান। পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। মূলত তার আগুনঝড়া পেসের কাছেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শাহিন শাহ ৯.১ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটাই সেরা বোলিং। সঙ্গতকারণে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। এছাড়া সাদাব খান ২টি এবং মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। বাজে এই হারের মাঝেও সাকিবের কীর্তি জ্বলজ্বল করে জ্বলবে চিরকাল। রানের চূড়ায় উঠে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছেন বাংলাদেশের অহংকার। বিশ্বকাপের এক আসরেই ৬০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এবারের আসরে ব্যাট হাতে আট ম্যাচে সাকিব করেছেন ৬০৬ রান। গড় ৮৬.৫৭। এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে ছয়শ রানের মাইলফলক কেউ ছুঁতে পারেননি। অর্থাৎ সাকিব আবারও সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান করার ক্ষেত্রে সাকিবের আগে আছেন শুধু দু’জন। ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে শচীন ১১ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৬৭৩ রান। ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৬টি হাফ সেঞ্চুরি ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের। গড় ছিল ৬১.১৮। আর ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ১০ ইনিংস ব্যাট করে হেইডেন করেন ৬৫৯ রান। ৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান অসি তারকা। গড় ছিল ৭৩.২২। শচীন ও হেইডেনকে টপকে যাওয়া না হলেও এক বিশ্বকাপে ৬০০ প্লাস রানের গৌরবের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছেন সাকিব। সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে ২টি শতক ও ৫টি অর্ধশতকের সাহায্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৬০৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র ম্যাচে তিনি অর্ধশতকের আগে আউট হন। কিন্তু সেই ইনিংসটিও ছিল ৪১ রানের। এমন অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা ক্রিকেট ইতিহাসে আর কোন ব্যাটসম্যানেরই নেই। যে কারণে প্রত্যাশামতো বিশ্বকাপ শেষ করতে না পারলেও সাকিবের বীরত্বে গর্বিত গোটা বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ব্যাট করতে নেমে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পায় পাকিরা। এক পর্যায়ে মাত্র ২ উইকেটে হারিয়ে ২৪৬ রান করে ফেলে পাকিস্তান। তখনও বাকি ছিল ৮ ওভার ২ বল। যে কারণে পাকিদের সাড়ে তিনশ’র মতো রান করার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শেষ পাওয়ার প্লেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানের একটার পর একটা উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। এতে নেতৃত্ব দেন তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষ ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারালেও পাকিস্তান তুলে নেয় ৮৫ রান। এর মধ্যে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এর ফলে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট দখলের রেকর্ড গড়েছেন কার্টার মাস্টার। চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়লেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা পাকিস্তানের তেমন ভাল হয়নি। বাংলাদেশী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশ চাপে ছিলেন দুই পাকি ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং উদ্বোধন করান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দেন মিরাজ। প্রথম ৭ ওভারে পাকিস্তান করে মাত্র ২৩ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। নিজের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে পয়েন্টে ফখর জামানকে (১৩) মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে তুলেন ইমাম-উল-হক আর ওয়ান ডাউনে নামা বাবর আজম। ১৫৭ রানের এই জুটিটি ভাঙ্গেন সাইফুদ্দিন। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন টাইগার পেসার। ৯৮ বলে ১১ বাউন্ডারিতে বাবর করেন ৯৬ রানে। তখন পাকিদের ঝুলিতে জমা হয়েছে ৩২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮০ রান। শতরান না পেলেও অনন্য রেকর্ড গড়েন বাবর। পাকিস্তানের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াদাদকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। মিয়াদাদ রেকর্ডটি গড়েছিলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপে। পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ওই আসরে দলের হয়ে ৯ ম্যাচে ৪৩৭ রান করেছিলেন মিয়াদাদ। ২৬ বছর পর রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন বাবর আজম। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে ডানহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন ৪৭৪ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ইমাম আর মোহাম্মদ হাফিজ যোগ করেন আরও ৬৬ রান। তবে দলীয় ২৪৬ রানে ইমাম আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিরা। আউট হওয়ার আগে ইমাম তুলে নেন সেঞ্চুরি। নিজের শতরান পূরণ করার এক বল পরেই মোস্তাফিজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে হিটউইকেট হন পাকিস্তানী ওপেনার। সাত বাউন্ডিরেতে ১০০ রান করতে তিনি খেলেন সমান ১০০ বল। পরের ওভারে মেহেদি মিরাজ তুলে নেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান হাফিজকে (২৭)। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে সাকিবের সহজ ক্যাচ হন তিনি। তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৮ রান। এরপর এক পর্যায়ে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগলেও ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমাদ ওয়াসিমের দারুণ ইনিংসে সেটা হয়নি। মূলত তার ২৬ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে তিনশ’ রান অতিক্রম করে পাকিরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে সরফরাজ আহমেদের দল। ভারতের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মোস্তাফিজ টাইগারদের সেরা বোলার। বেশ কয়েকটি রেকর্ডসহ তিনি ৫ উইকেট কব্জা করেন। কিন্তু উইকেটগুলো নিতে ১০ ওভারে তিনি খরচ করেন ৭৫ রান। অনেকের মতে, মোস্তাফিজ এই সাফল্য ইনিংসের শুরুর দিকে পেলে বাংলাদেশ আরও ভাল করত। এছাড়া সাইফুদ্দিন ৭৭ রানে ৩ ও মেহেদি মিরাজ ৩০ রানে ১ উইকেট লাভ করেন। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে লর্ডসে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের। আর মাইলফলকের ম্যাচটির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে নিজের শেষ ম্যাচটা বল হাতে রাঙ্গাতে পারেননি ম্যাশ। সাত ওভার বোলিং করে ৪৬ রান খরচায় একটি উইকেটও পাননি তিনি। সবমিলিয়ে পুরো বিশ্বকাপে সুপার ফ্লপ ছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। অবিশ্বাস্যভাবে আট ম্যাচ খেলে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তবে ম্যাশ ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচটিসহ পুরো বিশ্বকাপে বল হাতে রাঙ্গিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। পাকিদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। ৫৪ ম্যাচের ৫৩ ইনিংসে বল করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মোস্তাফিজ। এর আগে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ড ছিল বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের। ১০০ উইকেট পেতে রাজ্জাকের লেগেছিল ৬৯টি ওয়ানডে। শুধু তাই নয়, এশিয়ার পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেয়ারও কীর্তিও গড়েছেন মোস্তাফিজ। আর ওয়ানডে ইতিহাসে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম ১০০ উইকেট নেয়া ক্রিকেটার এখন ফিজ। মোস্তাফিজের সমান ৫৪ ম্যাচে ১০০ উইকেট নিয়ে এতদিন এককভাবে চতুর্থ স্থানে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার শেন বন্ড। সবচেয়ে কম ম্যাচে ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তিটা আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের দখলে। ১০০ উইকেট নিতে তিনি খেলেছেন মাত্র ৪৪ ম্যাচ।
×