ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে হারিয়ে সেমির পথে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ১০:০২, ১ জুলাই ২০১৯

 ভারতকে হারিয়ে সেমির পথে ইংল্যান্ড

মিথুন আশরাফ ॥ ইংল্যান্ড না জিতলেই বিপত্তিতে পড়ত। এমনও হতে পারত তাদের বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো! কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ত ইংলিশরা। এত চাপের মধ্যে, এত কঠিন ম্যাচের মধ্যে নিজেদের কী সুন্দরভাবে সামলে নিল ইয়ন মরগানবাহিনী। ম্যাচসেরা জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ভারতকে ৩১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও বাঁচিয়ে রাখল স্বাগতিকরা। তিনশ’, সাড়ে তিনশ’ রান তো ইংল্যান্ডের কাছে কিছুই না। ডাল-ভাত! বিশ্বকাপ শুরুর আগে এমনই ভাবা হয়েছিল। সেই ইংল্যান্ডই কিনা আড়াইশ’ রানই করতে পারছিল না। রান করতে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল। তাতে সেমিফাইনালের আগেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনাতেও পড়ে যায়! অবশেষে ভারতের বিপক্ষে রবিবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে এসে ব্যাটিং ছন্দে ফিরেছে ইংলিশরা। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির (১১১ রান) সঙ্গে বেন স্টোকসের ঝড়ো (৫৪ বলে ৭৯ রান) ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩৩৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। রান আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু মোহাম্মদ শামির (৫/৬৯) ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও জাসপ্রিত বুমরার (১/৪৪) নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা সম্ভব হয়নি। ভারতের সামনে জিততে ৩৩৮ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। এই রান করতে গিয়ে এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মার (১০২) ও বিরাট কোহলির (৬৬) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও জিততে পারেনি ভারত। ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩০৬ রান করে ভারত। পেসার লিয়াম প্লানকেট (৩/৫৫) দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতকে ডুবিয়ে দেন। ইংল্যান্ড যে রান করে, তাতেই ভারতের সামনে চাপ তৈরি হয়। সেই চাপে লোকেশ রাহুল রানের খাতা খোলার আগেই ক্রিস ওকসের শিকারে পরিণত হন। এতটাই চাপ তৈরি হয় যে ১০ ওভারে ২৮ রান করতে পারে ভারত। চলতি বিশ্বকাপে যা পাওয়ার প্লেতে কোন দলের সর্বনিম্ন রান। এমন অবস্থা থেকে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি মিলে যেভাবে ম্যাচটাকে একটা স্থানে নিয়ে এসেছেন, তা প্রশংসার দাবিদার। দুইজন মিলে দলকে ২২ ওভারে ১০০ রানে নিয়ে যান। শুরুতে উইকেট টিকিয়ে রেখে শেষে রান তোলা। এই বিশ্বকাপের ফর্মুলাই যেন এটি হয়ে গেছে। ভারত সেই ফরমেটেই খেলে ম্যাচ। কোহলিতো আবারও হাফসেঞ্চুরি করেন। টানা পাঁচ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেন কোহলি। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের পর টানা পাঁচ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব গড়েন কোহলি। এবার চাপের মধ্যে ৫৯ বলে ৫০ রান করেন। রোহিত ও কোহলি মিলে ১০০ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন। কিন্তু সেই জুটি খুব বেশিদূর আর এগিয়ে যেতে পারেনি। যখন জুটির রান ১৩৮ হয়, দলের রান ১৪৬ হয়, তখন লিয়াম প্লানকেটের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান কোহলি (৬৬)। ব্র্যাক থ্রু এনে দেন প্লানকেট। সেই সঙ্গে ভারত শিবিরে অস্বস্তি যুক্ত হয়ে যায়। ভরসা থাকে রোহিতের ওপরই। ১০৬ বলে এবার বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিতও। দলকেও ভরসা দেন। শচিন টেন্ডুলকার (৪৯ সেঞ্চুরি) ও বিরাট কোহলির (৪১ সেঞ্চুরি) পর ভারতের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারে ২৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন রোহিত। এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরিও করেন। তার ব্যাটে চড়েই জয়ের আশা দেখতে থাকে ভারত। সেই আশা একটু পরেই হতাশায় ডুবে যায়। যখন ওকসের করা অফ সাইডের একটু বাইরে উপরে ওঠা বলটি রোহিতের (১০৯ বলে ১০২ রান) ব্যাটে ছোয়া লেগে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে জমা হয়। হতাশা নেমে আসে গ্যালারিজুড়েও! ভারতের আশাও যেন শেষ হতে দেখতে পাওয়া যায়। ঋষভ পন্থকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে। বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। যেই ইনজুরিতে শিখর ধাওয়ানের বিশ্বকাপ শেষ হলো, পন্থকে নেয়া হলো। কিন্তু একাদশে পন্থকে দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে খেলার সুযোগ পেলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো খেলতে পারলেন না। ভারত শুরুটা মন্থর করে। কঠিনভাবেই শুরু হয়। ১০ ওভারে ২৮ রান নেয়ার পর ২০ ওভারে গিয়ে ৮৩ করে ভারত। কিন্তু এরপরই রানের গতি বাড়ায় ভারত। রোহিত আর কোহলি মিলে রানের চাকা সচল করেন। ২১ থেকে ৪০ ওভারে গিয়ে ১৫১ রান করে ভারত। কিন্তু এর মধ্যে মার্ক উডের শূন্যে ভেসে গিয়ে ধরা ক্যাচটিতে পন্থ (৩২) আউট হয়ে গেলে, বিপদে পড়ে ভারত। ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায়। হার্দিক পান্ডের সঙ্গে তখন ব্যাটিংয়ে যোগ দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যিনি ইদানীং এতটা স্লো ব্যাটিং করছেন, সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন। এদিন তো আর স্লো খেললে ৬০ বলে জয়ের জন্য যে ১০৪ রান দরকার, তা করা সম্ভব নয়। হার্দিক পান্ডে শেষমুহূর্তে চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৩ বলে ৪৫ রানের বেশি করতে পারেননি। প্লানকেট অসাধারণ বোলিং করেন। কোহলি, পন্থকে আউট করার পর পান্ডেকে আউট করে তো ইংল্যান্ডের জেতার সব রাস্তা তৈরি করে দেন প্লানকেট। ধোনি শেষদিকে ৩১ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন। কিন্তু এত বড় স্কোর অতিক্রম করে জয় পাওয়া কী আর সহজ! শেষ ১০ ওভারে তো ৭২ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত। ৩০৬ রানেই আটকে যায়। টস জিতে আর দেরি করেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। হারের গোলকধাঁধা থেকে বের হতে যে আর কোন গতি ছিল না। বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে বেন স্টোকসের মারমুখী ইনিংস, ওপেনার জেসন রয়ের (৬৬) বুদ্ধিদীপ্ত ছুটে চলা ও জো রুটের (৪৪) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরই দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে লর্ডসে প্রথম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। সেটিই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছিল। তা রবিবার অতিক্রম করে ইংল্যান্ড। ম্যাচটির আগে ইংল্যান্ড পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে নেমে যায়। তাতে ইংলিশ ক্রিকেটারদের যেন মাথা ঘুরে যায়! পাগলের মতো হয়ে যায়! যে করেই হোক, ফেভারিট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে লীগ পর্বেই বাদ পড়া যাবে না। তাই জয় লাগবে। সেই জয় পেতে মুখের লড়াইয়ে চরমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। কাউকেও ছাড় দেননি। এমনটি কখনই দেখা যায়নি, টুর্নামেন্ট চলার সময়ই উইকেট নিয়ে আইসিসিকে কোন ক্রিকেটার ধুয়ে দিচ্ছেন। তাও আবার স্বাগতিক দলের ক্রিকেটার! তাই হয়েছে। শুধু আইসিসি কেন, নিজ দেশের সমর্থক, সাবেক ক্রিকেটারদের প্রতি বিষোদগার করেছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মরগান যেমন স্বাগতিক হয়েও সেই স্বাদ পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো যেমন বলেছেন, তারা কখন ব্যর্থ হবেন, সেই অপেক্ষাতেই নাকি সবাই আছেন। তাদের জয় নাকি কেউ দেখতে পাচ্ছে না। শুধু হার চায়। সেই বেয়ারস্টোই রবিবার ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ৯০ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেন। তার সেঞ্চুরিতে ভর দিয়ে ইংল্যান্ডও বড় স্কোরই গড়েছে। ১০৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১১১ রান করেন। জেসন রয়কে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলেন বেয়ারস্টো, তখন তো মনে হয় ৪০০ রান অনায়াসেই হয়ে যাবে। ১৬তম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা হয়ে যায়। দুইজন মিলে অনায়াসেই খেলতে থাকেন। এক জাসপ্রিত বুমরাহ ছাড়া আর কোন বোলারকেই পাত্তা দেননি বেয়ারস্টো ও রয়। দেখতে দেখতে ১৫০ রানের ওপেনিং জুটিও হয়ে যায়। এবার বিশ্বকাপে ১৫০ রানের ওপেনিং জুটি হয়নি। বেয়ারস্টো ও রয় মিলে তা করে দেখান। বিশ্বকাপের সেরা ওপেনিং জুটি উপহার দেন। এর মধ্যে বেয়ারস্টো সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে যান। রয় হাফসেঞ্চুরি করে এগিয়ে যেতে থাকেন। দুইজন মিলে যখন দলকে যখন ১৬০ রানে নিয়ে যান, তখনই কুলদ্বীপ যাদবের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে আউট হন রয়। তাতে করে ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যায়। স্বস্তি ফিরে ভারত শিবিরে। এই সময় থেকে যেন ইংল্যান্ডের রানের চাকার গতিও কমে যেতে থাকে। ২০০ রানও স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে যায়। বেয়ারস্টোও সেঞ্চুরি করে ফেলে আরও সামনে এগিয়ে যান। দলের ২০৫ রান হতেই মোহাম্মদ শামি যখন বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফেরান, তখন যেন ভারত শিবিরে মহা আনন্দ যোগ হয়! সেই আনন্দ মিলিয়ে যেতে খুব বেশি সময়ও লাগেনি। ইয়ন মরগান ব্যাট হাতে নামেন আর আউট হন। ২০৭ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। যেখানে ৪০০ রান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা হয়, সেখানে ৩০০ হওয়াইতো কঠিন মনে হয়! ভারতের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচও চলে আসে। ইংল্যান্ড শিবিরে অস্বস্তির ছাপ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু জো রুটের সঙ্গে বেন স্টোকস যোগ হতেই যেন আবার ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরে যায়। দুইজন মিলে দলকে ২৭৭ রানে নিয়ে যান। যখন জুটি দরকার ছিল। ঠিক তখনই রুট-স্টোকস ব্যাট হাতে হাল ধরেন। রুট চলে যাওয়ার পর জস বাটলার (২০) নেমে একটু ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৩০০ রানেও যায় ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকস (৭) আসেন আর ফিরেন। বেয়ারস্টো, মরগান, রুট, বাটলার, ওকসকে সাজঘরে ফেরান শামি। ধারাবাহিক বোলিং ত্রাস ছড়িয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শামি। তাতে করে ইংল্যান্ডের যে রান হু হু করে বাড়তে থাকে, তাতে খানিক লাগামও টানা যায়। যেখানে ১৬০ রানে ১ উইকেট পড়ে, সেখানে ২০৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর ১১৪ রানেই পরের চারটি উইকেট পড়ে। প্রথম ও শেষ উইকেটটি বাদ দিয়ে মাঝখানের পাঁচটি উইকেটই শামির দখলে থাকে। কিন্তু স্টোকসকেই আউট করা যাচ্ছিল। তাই রানের গতি কমানো যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত স্টোকসকেও আউট করা যায়। জাসপ্রিত বুমরাহ আউট করে দেন স্টোকসকে। কিন্তু ততক্ষণে ইংল্যান্ডের রান ৩৩৬ রানে চলে যায়। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে স্টোকস আউট হন। এরপর আর ১ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে স্টোকসের ব্যাটিং ঝড়ে ৮৬ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ইংল্যান্ড। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালতো খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। বিশ্বকাপে ভারত বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৮ রান দেন তিনি। তাতে ভারতের সামনে জিততে টার্গেট দাঁড় হয় ৩৩৮ রান। এই টার্গেট নিয়ে জিততে হলে ভারতকে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে হতো। বিশ্বকাপে আর আগে যে কোন দল ৩২৮ রানের টার্গেটের বেশি নিয়ে জিততে পারেনি। গেরুয়া জার্সি পড়ে খেলতে নামা ভারতও পারল না। সেমিফাইনালে ওঠার আশা ভালভাবে থাকার আশায় ইংল্যান্ডের হার কামনা করেছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমর্থকরা। ভারত ও ইংল্যান্ডের ম্যাচই মনে হয় প্রথম যে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেটপ্রেমীরা এক যোগে ভারতের সমর্থন করেছেন। আর ভারত সমর্থকরা তো তাদের দেশকে সমর্থন করবেনই। তিন দেশ এই এক চাহিদায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল! কিন্তু ভারত সমর্থকদের মন ভরাতে পারল না। অপরাজিত থাকার তকমাও গা থেকে দূর হলো। এই ম্যাচ হারে ১১ পয়েন্টেই থাকল ভারত। তবে ইংল্যান্ড আবার ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর স্থানে উঠে গেল। ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও বাঁচিয়ে রাখল।
×