ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে চরম রাজনৈতিক সঙ্কট ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ৩০ জুন ২০১৯

দেশে চরম রাজনৈতিক সঙ্কট ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে চরম রাজনৈতিক এবং সামাজিক সঙ্কট বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। আাড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি দল পরিচালনা ও ভবিষ্যত আন্দোলন কর্মসূচী নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদলের সঙ্কট নিরসনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদল নিয়ে বিএনপির যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রয়েছেন তারাই এর সমাধান নিয়ে পরে জানাবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি ৪ সপ্তাহের মধ্যে কর্মসূচী দেয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপির আগের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সে বিষয়ে অগ্রগতি কি জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা নিয়ে আমার কাজ করছি। ৪ সপ্তাহের মধ্যেই কর্মসূচী দেব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠক। জিয়াউর রহমানের কবর সরানো প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, তিনি এ ধরনের কথা প্রায়ই বলেন। আমারা মনে করি, তাদের যে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা, এসব কথা তারই বহিঃপ্রকাশ। এটা কোন রাজনৈতিক চিন্তা বলে আমরা মনে করি না। ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ক্রমে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকার জনগণের অধিকার হরণ করেছে। তাই রাষ্ট্রের ওপর তাদের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ মনে করেন, দেশের চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে গণতন্ত্রের জন্য যিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, সেই খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কারণে বন্দীদের মুক্তি এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনই একমাত্র পথ। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বরগুনায় ২৬ জুন প্রকাশ্যে রিফাত হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানো হয়। সাম্প্রতিককালে এ ধরনের হত্যাকান্ড বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার ব্যর্থতা ও উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি। বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক চলে প্রায় আড়াইঘণ্টা। এ সময় ছাত্রদলের বিরাজমান সমস্যা ছাড়াও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য করণীয়, বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ও নতুন অর্থবছরের বাজেটসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেসলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
×