নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৫ জুন ॥ নওগাঁর রাণীনগরের বাঁশবাড়িয়া-শাহাগোলা যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তার মাঝে মাঝে ছোট-বড় খানা-খন্দে ভরপুর। দেখে মনে হবে এ যেন রাস্তা নয় একটি ধান ক্ষেত। পানি জমে পরিণত হয়েছে ছোট ছোট পুকুরে। এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর, সেখানে গ্রামীণ এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। রাণীনগর উপজেলার শেষ আর আত্রাই উপজেলার শুরু এই দুই সীমানার মাঝখানের মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে খানা-খন্দে ভরা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলাচলকারী সাধারণ মানুষের জন্য এটি যেন চরম ভোগান্তি। এই রাস্তা দিয়ে পোঁওয়াতাপাড়া, তেঘড়, বাঁশবাড়িয়া, আকনা, ঝিনা, বেড়াহাসুন, শিমুলিয়া, শাহাগোলাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এইটুকু রাস্তার অধিকাংশ স্থানে পাকা পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। শুকনো মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। বর্ষা মৌসুমে এই সব গর্তে হাঁটু পানি জমে থাকে। যার কারণে দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় গর্তে পড়ে উল্টে পড়তে হয় মানুষদের। দীর্ঘদিন যাবত এসব বড় বড় গর্তসহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় আজ রাস্তা নামের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় ভ্যানগাড়ি চালক আজাদ, রহমানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। তাই কারো নজর আমাদের ওপড় পড়ে না। এইটুক রাস্তার জন্য আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানগাড়ি চালাতে হয়। অনেকবার ভ্যান উল্টে যাত্রীসহ অনেকেরই হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে চরম বিপদে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। তাই আমরা চাই সরকার যেন এই বর্ষা মৌসুমেই এই রাস্তাটি সংস্কার করে দেবেন।
বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফু বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সকল কাগজপত্রাদি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিঞা বলেন, এই রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য ওপর মহল বরাবর প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।