স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইংরেজী পঞ্জিকায় ১৯৮১ সালের ১৭ মে। সেদিন আকাশও কেঁদে উঠেছিল অঝোর ধারায়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নিতে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল রাজপথে। পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে এদিন স্বদেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে উদ্্যাপিত হলো বিশেষ দিনটি। আলোচনা ও আবৃত্তিতে সাজানো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ কামালসহ অনেকে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোন প্রতিবন্ধকতাই রুখতে পারেনি শেখ হাসিনাকে। তার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বাঙালীর সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বলেই আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এ কারণেই হয়তো পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট তিনি ঢাকায় ছিলেন না। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলোর বাস্তবায়ন ঘটছে। এছাড়া ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসবও রুখে দিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে জাতির সামনে। তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা বাহিনী সব সময় কাজ করছে। আমরা যদি জনগণের নিরাপত্তাই দিতে না পারি তাহলে কিসের উন্নতি করলাম। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই জনগণের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
অন্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি দেখে বিদেশীরাও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্তের পাশাপাশি বিদ্যুত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। উত্তরোত্তর বাড়ছে জিডিপি ও মাথাপিছু আয়।