ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভৈরবে মা-মেয়ে ও ছেলের লাশ দাফন

উত্তরখানে বাড়ি করার পরিকল্পনাই কি কাল হয়ে দাঁড়াল?

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১৫ মে ২০১৯

উত্তরখানে বাড়ি করার পরিকল্পনাই কি কাল হয়ে দাঁড়াল?

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১৪ মে ॥ ঢাকার উত্তরখান এলাকার ভাড়া বাসায় নিহত মা জাহানারা বেগম মুক্তা, ছেলে কাজী মুহিব হাসান রসি ও প্রতিবন্ধী মেয়ে আফিয়া সুলতানা মীমের লাশ ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে ভৈরবে আনা হয়। ভৈরব উপজেলার পৌর এলাকার জগন্নাথপুরে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাদের স্থানীয় লক্ষ্মীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঢাকা থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে তিনটি মরদেহ জগন্নাথপুর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী একনজর দেখতে লাশের পাশে ছুটে আসেন। এলাকাবাসী নৃশংস হত্যাকা-ের বিচার দাবি করেছে। এদিকে ঢাকার উত্তরখান এলাকায় ভৈরবের এ পরিবারের সকল সদস্য তিনজন (মা-মেয়ে ও ছেলে)কে দুর্বৃত্তরা কি কারণে খুন করতে পারে তা নিয়ে ভৈরবে চলছে আলোচনা। পরিবারটি ঘুরে দাঁড়াতে অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম করে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ভৈরব ছেড়ে ঢাকার উত্তরখান এলাকায় যায়। তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল তাদের পিতা মারা যাওয়ার আগে উত্তরখান এলাকায় কয়েক কাঠা জমি ক্রয় করেন। সেখানে ঘর তোলার জন্য তাদের ভৈরব থেকে ঢাকায় চলে যাওয়া। কিন্তু বাড়ি করার পরিকল্পনাই কি তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো, নাকি ঈদের পর ভৈরবের পৈত্রিক বাড়ির জায়গা নিয়ে দেন দরবার করে জমি উদ্ধারের আশ্বাস অথবা স্বামীর পেনশনের ৪০ লাখ টাকা দুই বছরেও তুলতে না পারার পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। এমন নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর। তাদের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তদন্ত করে তবে খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে। প্রতিবেশীরা জানান, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ইকবালের ভাইদের সঙ্গে জাহানারার বিরোধ থাকায় ভৈরবের বাড়িতে তাদের কোন থাকার ঘর ছিল না। তাই তারা বাড়িতে খুব একটা আসতেন না। তবে গত দুই মাস আগে বাড়ির পাশের এক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতে শুরু করেন জাহানারা বেগম মুক্তা।
×