বিচিত্র ঈদ যাপন
এই শিলপাটা ধার, ধারাবে শিলপাটা...
দুর গ্রাম থেকে ভেসে আসা এক তরুণ কণ্ঠস্বর-
ছড়িয়ে পড়ে শহুরে বাতাসে বাতাসে
পিঠে তার কালিঝুলি আঁকা স্বপ্নের থলি
সুউচ্চ চিৎকারে খুঁজে ফেরে সে ভাগ্যের গলি
সহাস্যে তুলে তরুণ চোখ, গ্রীবা ঘুরায় দারুণ উল্লাসে
ঈদের মাস খালাম্মা, একটু ধরে দিয়েন
গৃহকর্তা বড় পিঁপড়ে পরাণ দশ টাকার বেশি দিতে না চান।
কথার তীব্র চাবুক খেয়ে তবু ও পাঁচ’ টাকা দিলাম ধরে
পাঁচ’ টাকা বাড়তি পেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে
যুবকটি জীবনের নকশা এঁকে চলে কঠিন পাথরে
দশটাকার নোটের ভিতর ভেসে ওঠে সহসা
ঈদের চাঁদ, স্নেহময়ী মা ছোট ভাই-বোনের
কত না বলা কথার উচ্ছ্বাস, গোপনে উঁকি ঝুকি দিয়ে যায়
দূর গ্রামে অপেক্ষারত প্রিয়সীর ভালবাসা ছোঁয়া গোপন দীর্ঘশ্বাস।
.
ঠিকানা তোমার
সবুজের অঞ্জন দু’চোখে এঁকে
তোমাকে করবো দিশেহারা
নিয়ে যাবো সেই খঞ্জনার দেশে
যেখানে সবুজে নাচে ঢেউ আর ঢেউ
ময়ূরের লেজে ঝিরি ঝিরি
স্বপ্নের দুটি ডানা মেলে
ঘুরবো তোমায় নিরিবিলি
যুবতী ধানের শীষে শীষে
সুরের সোহাগে, জাগে ভোর সেই দেশে,
হাজার ফুলের মেলায় দূর্বা ঘাসে।
শ্যামারা ও দিয়ে যায় শিস, দূর শিরিষের বনে
ছোট নদী ঢেউ ভেঙে ভেঙে
নিয়ে যাবো সেই সাতসখী গাঁয়ে
যেখানে বাতাসে পায় ঘুম, আর ঘুম
সবুজ গালিচায় বসে দেখবো রূপের দোলা
সোনালি মাঠে।
বাবুই উড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে
অবারিত সবুজের ফাঁকে,
তোমার ঠিকানা পাবে তুমি ঠিক
কাজলা নদীর বাঁকে।
শীর্ষ সংবাদ: