নিজস্ব সংবাদদাতা,পার্বতীপুর, ২ মে ॥ ৫০ ইটভাঁটির বিষাক্ত গ্যাসে পার্বতীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইরি ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সদ্য প্রস্ফুটিত আমের মুকুলের । চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডিপুর গ্রামের মোকারম (মোকারম সুপার ব্রিক্স ) ও হামিদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবলু সর্দারের খলিলপুর মৌজার খলিলপুর গ্রামের ভাই ভাই ইটভাঁটি ক্ষতির কারণ উল্লেখ করে প্রতিকারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে নারায়ণচন্দ্র দাস ও আশরাফুজ্জামান বৃহস্পতিবার সকালে পার্বতীপুরের ইউএনও ও প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেন। দুপুরে হামিদপুর ইউনিয়নের খলিলপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামের বাবলু সর্দারের ভাই ভাই ইটভাঁটিতে গেলে কয়েক শত ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জড়ো হয়ে ইরি আবাদ,আমের মুকুল, বিভিন্ন কাঠ ও ফলদবৃক্ষসহ পরিবেশের ক্ষতির বর্ণনা দেন। চেখে পড়ে সবুজ সমারোহে ইটভাঁটির বিষাক্ত গ্যাসের আস্তরণ পড়ে তামাটে আকার ধারণ করেছে। এই ইটভাঁটি ছাড়াও অখিল সর্দারের ৩ ভাই ব্রিক্স, মোস্তাকিমের ভাই ভাই ব্রিক্স, মতিয়ার রহমানের বসুন্ধরা ব্রিক্স, মেজবার ৫ স্টার ব্রিক্স,খাদেমুল ইসলামের আদর্শ ব্রিক্সসহ ২১ ইটভাঁটি গড়ে উঠেছে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, আমরা বুঝতে পারি না এতটুকু এলাকায় নিয়মবিধি অনুসরণ না করে কিভাবে এত ইটভাঁটি গড়ে উঠেছে? শুধুই ফসলের ক্ষতি হয়নি, পরিবেশ দূষণের কারণে এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যে অনেক মানুষ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নে গেলে অনুরূপ দৃশ্য চোখে পড়ে। যোগাযোগ করলে পার্বতীপুরের ইউএনও রেহানুল হক আজ বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছেন যে, ইটভাঁটির মালিকরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আদালতের ভুয়া রায় তৈরি করে ইটভাঁটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে তাদের (ইটভাঁটির মালিক) স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করতে বলেছেন। এ ছাড়াও পরিবেশ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইটভাঁটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে তাদের জরিমানা করেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগও এলাকা পরিদর্শন করবে বলে জানা যায়।