ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইস্তানবুলে ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা মারটিচের

প্রকাশিত: ১২:২২, ১ মে ২০১৯

ইস্তানবুলে ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা মারটিচের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রোয়েশিয়ার তরুণী টেনিস তারকা পেত্রা মারটিচ ক্যারিয়ারের প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা হাতে তুলেছেন। ইস্তানবুল কাপের ফাইনালে তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের ১৯ বছর বয়সী তরুণী মারকেতা ভনদ্রুসোভাকে হারিয়ে দেন। এক ঘণ্টা ৪৯ মিনিটের লড়াইয়ের পর ২৮ বছর বয়সী মারটিচ জয় পান ১-৬, ৬-৪, ৬-১ সেটে। এ নিয়ে মারটিচের বিরুদ্ধে চারবার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই পরাজয় দেখলেন ভনদ্রুসোভা। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪০ নম্বরে থাকা মারটিচ সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত খেলছেন। বিশেষ করে এবার চার্লস্টন ওপেনে সেমিফাইনাল খেলে তিনি সবার নজর কাড়েন। এ কারণেই র‌্যাঙ্কিংয়েও দ্রুত উঠে আসছেন ওপরের দিকে। ইস্তানবুলেও সেই ফর্মটা ধরে রেখে দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন। কখনও ডব্লিউটিএ শিরোপা না জেতার আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ পেয়ে যান ফাইনালে উঠে। চেনা প্রতিপক্ষ ভনদ্রুসোভা, তাই আত্মবিশ্বাসটাও অনেক বেশি ছিল তার। অবশ্য মারটিচ কোন ডব্লিউটিএ না জিতলেও ভনদ্রুসোভা একটি জিতেছেন। এমনকি গত ফেব্রুয়ারিতে অল্পের জন্য হাঙ্গেরিয়ান ওপেনটা হাতছাড়া হয়েছে ফাইনালে হেরে। কিন্তু মারটিচের বিপক্ষে আগের তিন লড়াইয়েই হারটা তাকে আগেই কিছুটা পেছনে ফেলে দিয়েছিল। তবে দুর্দান্ত শুরু করেন তিনি। প্রথম সেটেই এগিয়ে যান ৫-০ গেমের ব্যবধানে। ফলে সেটটা আর রক্ষা করতে পারেননি মারটিচ। হেরে যান ৬-১ ব্যবধানে। ইস্তানবুলের দর্শকরা অবশ্য প্রথম থেকেই মারটিচের পক্ষে চিৎকার করে যাচ্ছিল। আর এতেই নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পান তিনি। পরের সেটে জিতে সমতা ফেরান ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণী তৃতীয় সেটে আর ভনদ্রুসোভাকে পাত্তাই দেননি তিনি। শিরোপা জয়ের পর মারটিচ বলেন, ‘আপনারা আমার হয়ে চিৎকার করে গেছেন, যখন আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে আমার কোন সুযোগই নেই জেতার। কিন্তু আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস ধরে রেখেছেন এবং সেটাই আমাকে সহায়তা করেছে ম্যাচে বিজয়ী হিসেবে বেরিয়ে আসার জন্য।’ ভনদ্রুসোভা শুরুটা ভাল করলেও শেষ দুই সেটে অনেক ভুল করেছেন। ম্যাচে তার করা ৩৭টি আনফোর্সড এররের মধ্যে ২৯টিই শেষ দুই সেটে। আর তারই মাসুল দিতে হয়েছে পরাজিত হয়ে। তবে আবারও নতুন করে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখার রসদ পেয়ে গেছেন মারটিচ। দুই বছর আগে তিনি পিঠের অব্যাহত ইনজুরিতে ভাবতে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ারে ইতি টানার বিষয়টি নিয়ে। এখন ইস্তানবুলের জয়টা তাকে অনেক অনুপ্রাণিত করবে সন্দেহাতীতভাবেই। ইতোমধ্যেই র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নতিটা ঊর্ধ্বগতির। ইস্তানবুলের শিরোপা তাকে ৩২ নম্বরে তুলে আনবে। এর মাধ্যমে আরও বেশি উজ্জীবিত হয়েই পরবর্তী আসরে নামতে পারবেন মারটিচ।
×