ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতালের বেডে রোগীকে ধর্ষণ, অভিযোগ অস্বীকার ডাক্তারের

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

 হাসপাতালের বেডে রোগীকে ধর্ষণ,  অভিযোগ অস্বীকার ডাক্তারের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার হাসপাতালের বেডে হাত-পা বেঁধে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানীতে। ভিকটিম তেরো বছরের শিশু। দক্ষিণখানের একটি ক্লিনিকে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিম শিশুটিকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ঢাকা মেডিক্যালে শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উত্তরখান এলাকায় থাকি। আমার মেয়ের জ্বর হলে ২৩ এপ্রিল তাকে দক্ষিণখানের চালাবোন দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ তাকে দেখেন। প্রেসক্রিপশনে ‘সিডিল’ লিখে সেটা আনতে আমাকে পাঠান। আমি এক থেকে দেড় ঘণ্টা ওষুধটি খুঁজে বের করে সিডিল নিয়ে ক্লিনিকে যাই। চিকিৎসা শেষে মেয়েকে পরে বাসায় নেয়া হয়। কদিন পর জানতে পারি ওই লম্পট আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিন্তু পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ আমার মেয়েকে ভয় দেখানোয় এতদিন সে কিছু বলেনি। শুক্রবার সে আমাদের কাছে সবকিছু খুলে বলে। জানায়, সেদিন ওষুধের জন্য আমি বাইরে গেলে, এই সুযোগে বিজয় তাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সম্পর্কে অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ বলছেন অন্য কথা। তার ভাষ্যমতে, ‘মেয়েটি আমার ক্লিনিকে এসেছিল, তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। এছাড়া অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আমি দায়িত্ববোধ থেকে মেয়েটিকে চিকিৎসা দিয়েছি। এছাড়া তার পরিবারের সবাই চিকিৎসার জন্য আমার কাছে আসে। ওই মেয়ের ফুফুর কাছ থেকে আমরা জমি কিনেছিলাম। এই জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ। এই বিরোধের কারণে তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি করেন চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল গণি সাবু বলেন, রাতেই মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এরপর বিজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য রাত বারোটায় ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×