ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চন্দনা-বারাশিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন ॥ হুমকিতে সেতু

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

  চন্দনা-বারাশিয়া নদী থেকে   বালু উত্তোলন ॥  হুমকিতে সেতু

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, ২৮ এপ্রিল ॥ ফরিদপুরের বোয়ালামারীতে নির্মাণাধীন একটি সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় ক্ষতির মুখে রয়েছে সেতুটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করে সেতুর কাজে ব্যবহার করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার সোতাশী পেশকার মসজিদের পশ্চিম পাশে চন্দনা-বারাশিয়া নদীর ওপর ২ কোটি ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫ টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ফরিদপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি নেয়া হলেও মূলত কাজ করছেন বোয়ালমারী পৌর মেয়র মোজাফফর হোসেন মিয়া (বাবলু)। সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণাধীন সেতুর ১শ’ গজের মধ্যে নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া নির্মাণাধীন সেতুটির অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বালু উত্তোলন করার কাজে নিয়োজিত ড্রেজার মালিক পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের কলারন গ্রামের মোঃ কবির মোল্লা জানান, ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনি এ বালু উত্তোলনের কাজ করছেন। তিনি বলেন, পৌর মেয়র মোজাফফর হোসেন মিয়ার কাছ থেকে চুক্তিতে সংযোগ সড়কের গর্ত ভরাটের কাজটি নিয়েছেন। এ ছাড়া নদীর পশ্চিম পাশ দিয়ে ঠাকুরপুর-সাতৈর পাকা সড়ক রয়েছে। ওই সড়কটিও ঝুঁকিতে রয়েছে বালু তোলার কারণে। উপজেলার বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ, সেতু নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। পৌর মেয়র মোজাফফর হোসেন মিয়া জানান, ব্রিজের কাজের জন্য বালু তোলা হয়েছিল। এখন আর বালু তোলা হচ্ছে না। তাছাড়া বালু তোলার জন্য সেতুর কোন ক্ষতি হবে না। বোয়ালমারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একে এম জহিরুল হক বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া আমার কাছ থেকে কেউ কোন অনুমতিও নেয়নি। লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।
×