ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

ঝলক

গাড়িতে থাকবে না স্টিয়ারিং টেসলার লোগোবছর দুয়েক বাদে নতুন মডেলের গাড়িগুলোতে থাকবে না স্টিয়ারিং হুইল। অবশ্য তার আগেই আগামী বছর থেকে এর আলামত প্রকাশ হতে শুরু করবে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাস্তা চলে যাবে রোবোট্যাক্সির দখলে। সেখানে গাড়ি চালকের দেখা মেলা কঠিন হবে। বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই আগামী পৃথিবীর এই প্রতিচ্ছবি তুলে আনলেন টেসলা ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। দেরিতে হলেও এমন প্রস্তুতি নেয়ার কথাই প্রকাশ করেছেন ইলন। জানিয়েছেন, ঘর গোছাতে তারও একটু দেরি হয়েছে। এর চেয়েও যারা দেরি করবেন তারা পিছিয়ে পড়বেন। সম্প্রতি ওয়েবকাস্ট প্রেজেন্টেশনে এমন আগ্রাসী লক্ষ্যের কথা জানানোর সময় স্বচালিত গাড়ির একটি মাইক্রোচিপ উন্মোচন করেন ইলন মাস্ক। টেক্সাসে টেসলার জন্য চিপটি তৈরি করেছে স্যামসাং। চিপটি সব ধরনের গাড়িতেই ব্যবহার করা হতে পারে।-ইয়াহু নিউজ আইসিইউতে রোগী মৃত্যুর প্রধান কারণ সুপারবাগ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে থাকা রোগীদের একটি বড় অংশের মৃত্যুর পেছনে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যাদের এই ক্ষমতার জন্য ‘সুপারবাগ’ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, আইসিইউ-তে থাকা রোগীদের বেশিরভাগের শরীরেই সুপারবাগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘আইসিইউতে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন, তারা এমনিতেই জটিল রোগী, তাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে, তাদের অনেক সমস্যা থাকতে পারে। তিনি বলেন, হয়ত তাদের মৃত্যুর অনেক কারণ থাকতে পারে কিন্তু দেখা গেছে, মারা যাওয়া রোগীদের আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়ার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। এসব আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী, আবার কখনও কখনও সবধরনের এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হতে দেখা যায়।’ ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে মোট ৯০০ রোগী ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৪০০ জন মারা যায়। এদের প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, তাদের শরীরে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ছিল। অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা এখনও চলছে। সেগুলোর ফলাফল প্রকাশিত হলে হয়ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। তবে যেসব কারণ এখন ধারণা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা হাসপাতালে থাকা উচিত, এখানে সেগুলো খুবই দুর্বল। বাংলাদেশে ঢালাওভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওভার দা কাউন্টার এ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছে।’ ২০১৫ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি তিনজন রোগীর একজন চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়াই এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে থাকেন। কোটি কোটি মুরগিতে এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো নানাভাবে মানুষের শরীরে চলে আসছে। অধ্যাপক সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রথমত, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করা দরকার। সেটা করার সহজ পদ্ধতি হলো, এ রকম ওষুধের প্যাকেটগুলো লাল রং করে ফেলা, যাতে সবাই বুঝতে পারে যে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। পশুসম্পদে, বিশেষ করে মুরগিতে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করা। কারণ এসব এ্যান্টিবায়োটিক পরিবেশে মিশে প্রতিরোধী হয়ে উঠলে তা মানুষের জীবনের জন্য অনেক ঝুঁকি তৈরি করবে। প্রতিটা হাসপাতালে সরকারের নজরদারি বা টিম করে দিতে হবে, যাতে সেখানে সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো অবশ্যই নিশ্চিত করা হয়।’ অধ্যাপক রহমান বলেন, ‘একসঙ্গে এসব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যাবে। কারণ এখানে ছোট্ট জায়গা, মানুষ বেশি, ফলে দ্রুত সংক্রমণ বা জীবাণু ছড়াতে পারে’- সতর্ক বার্তা জানালেন এই চিকিৎসক।-বিবিসি
×