ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আনুষ্ঠানিকতায় ভারসাম্য

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

আনুষ্ঠানিকতায় ভারসাম্য

সংসার জীবন শুরু করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বিয়ে-শাদীর আনুষ্ঠানিকতা। যুগ যুগ ধরে সমাজে এ ধারাবাহিকতা চলে আসছে। পৃথিবীতে মানবসভ্যতার শুরু থেকেই জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রয়োজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার রীতি শুরু হয়। বিয়ের মধ্য দিয়ে মানব-মানবীর মধ্যে সংসার সমরাঙ্গনে অবিচ্ছেদ্য এক মায়াময় বন্ধন তৈরি হয়। যার ফলে মানুষের মধ্যে নতুন আত্মীয়স্বজন সৃষ্টি হয়। স্বামী স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য মা-বাবাকে ভূমিকা নিতে হয়। ছেলে বা মেয়ে বড় হলে, বিয়ের উপযুক্ত হলে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা মা-বাবার কর্তব্য। মা-বাবার অবর্তমানে অভিভাবককে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের আয়োজন করতে হয়। এর মধ্য দিয়ে দাম্পত্য জীবনে ও সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা হয়। বিয়ে অত্যন্ত আনন্দময় সামাজিক একটি অনুষ্ঠান। তাই এই অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। পাত্র পাত্রী দেখাদেখি বোঝাপড়ার মাধ্যমে পারিবারিক ও আর্থসামাজিক অবস্থানের সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকে আত্মীয়তা করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর্থিক সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা না করে বিরাট চাহিদার ও খরচের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিতান্তই বোকামি। এ থেকে যেমন অসামঞ্জস্যতা দেখা, তেমনি যৌতুকের প্রবণতা বাড়ে। আবার চাহিদা মেটাতে ধারদেনা কিংবা জমি বিক্রি করতে হয়। ফলে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। একটু ভুলের কারণে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদ ও তিক্ততায় ভরে ওঠে। সাধারণত উচ্চাভিলাস থেকে এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত আসে। অনেক সন্তান সন্ততি নিজ উদ্যোগে বিয়ে করে। মা-বাবার পছন্দকে গুরুত্ব দেয় না। আবার অনেকে মা-বাবার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে মা-বাবা তথা অভিভাবকের পছন্দ-অপছন্দ বা সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আবার মা-বাবাকেও বিয়ে দেয়ার সময় ছেলেমেয়ের পছন্দ-অপছন্দকে বিবেচনায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, আবেগ দিয়ে কখনও জীবন চলে না। এতে ক্ষণিকের ভালবাসা মিললেও পরিণামে জটিলতা বাড়ে। তাই তরুণ বয়সে আবেগে জড়াতে নেই। মা-বাবার আদর-আহ্লাদ, স্নেহ-মমতা ও আবেগ-ভালবাসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুখ। পাত্র পাত্রীর বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজনে মা-বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। লালমোহন, ভোলা থেকে
×