ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে রূপগঞ্জকে হারাল শেখ জামাল, জয় পেল প্রাইম দোলেশ্বর

সুপার লীগেও মোহামেডানকে হারাল আবাহনী

প্রকাশিত: ১২:১৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

সুপার লীগেও মোহামেডানকে হারাল আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবাহনীর সঙ্গে খেলা মানেই এখন মোহামেডানের হার। বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সুপার লীগেও যেমন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪৫ রানে হারিয়ে দিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। লীগপর্বেও মোহামেডানকে হারায় আবাহনী। ম্যাচটি দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৪ রান করার পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সৈকত। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এখনও শীর্ষে আছে। তবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে রূপগঞ্জের পয়েন্টের লাগাম টেনে ধরেছে। একইদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ, বিকেএসপি মোহামেডানের বিপক্ষে জেতা খুব জরুরী ছিল আবাহনীর। শিরোপা জেতার রেসে নিজেদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখতে জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবাহনী জিতলও। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে যখন ৩০৪ রান করে আবাহনী তখনই আসলে জেতার সম্ভাবনা জেগে যায়। ম্যাচটিতে আসলে সবার মনোযোগ তৈরি হয় অন্যদিকে। বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হয় মঙ্গলবার। যারা দলে সুযোগ পান বেশিরভাগই এবার আবাহনীর ক্রিকেটার। দলে সুযোগ পাওয়ার পর তারা জ্বলেও ওঠেন। সৈকত যেমন অপরাজিত ৫৪ রান করেন। ম্যাচটিতে সৈকতের আগে সাব্বির রহমান রূম্মন করেন ৬৪ রান। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৫৬ রান। এমনকি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ৪১ রানের ইনিংস উপহার দেন। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যেন উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। মোহামেডানকে আবার ৪৬.৩ ওভারেই অলআউট করে দেয় আবাহনী। ২৫৯ রান করতে পারে মোহামেডান। রকিবুল হাসান (৯৬) ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। মোহাম্মদ আশরাফুল ৬৮ রান করেন। বল হাতে সৈকত ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩টি করে উইকেট নেন। আবাহনীর সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে ১৭ রানের বেশি করতে না পারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেন। এই জয়টি পেয়ে শিরোপা প্রত্যাশায় আরেকটু এগিয়ে গেল আবাহনী। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস- ৩০৪/৭; ৫০ ওভার (সাব্বির ৬৪, মিঠুন ৫৬, সৈকত ৫৪*, সাইফউদ্দিন ৪১; শফিউল ৩/৬৩)। মোহামেডান ইনিংস- ২৫৯/১০; ৪৬.৩ ওভার (রকিবুল ৯৬, আশরাফুল ৬৮; সৈকত ৩/৩৬, মাশরাফি ৩/৪০)। ফল ॥ আবাহনী ৪৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (আবাহনী)। শেখ জামাল-রূপগঞ্জ ম্যাচ, ফতুল্লা রূপগঞ্জ ভালই উড়ছিল। দলটি পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার শেখ জামাল লাগাম টেনে ধরল। দলটিকে হারিয়ে দিল। এখন রূপগঞ্জ ও আবাহনীর মধ্যে পয়েন্ট পার্থক্য থাকল ২। রূপগঞ্জ ২২ পয়েন্ট, আবাহনী ২০ পয়েন্ট পেল। শেখ জামালের জয়েই তা সম্ভব হলো। আগে ব্যাটিং করে রূপগঞ্জ ৪৯.৩ ওভারে ১৭১ রান করে গুটিয়ে যায়। মোহাম্মদ নাঈম ৫৮ রান করেন। খালেদ আহমেদ ৪ উইকেট শিকার করে নেন। জবাব দিতে গিয়ে ইলিয়াস সানির (৫৮) অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৩ ওভারে ১৭২ রান করে জিতে শেখ জামাল। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ ইনিংস- ১৭১/১০; ৪৯.৩ ওভার (নাঈম ৫৮, ঋষি ২৩; খালেদ ৪/৩১)। শেখ জামাল ইনিংস- ১৭২/৬; ৪৮.৩ ওভার (ইলিয়াস ৫৮, তানভির ৪৩*; নাবিল ৩/২৭)। ফল ॥ শেখ জামাল ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ইলিয়াস সানি (শেখ জামাল)। দোলেশ্বর-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ, মিরপুর লীগের শিরোপা প্রত্যাশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে টানা জিতে যেতে হবে। দোলেশ্বর তাই করেছে বুধবার। প্রাইম ব্যাংককে সহজেই হারিয়েছে। আগে ব্যাটিং করে ৪৮.১ ওভারে ১৬৯ রান করতেই গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। অলক কাপালী ৬১ রান করেছেন। দোলেশ্বরের ফরহাদ রেজা (৪/২২) তার বোলিং ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। জবাব দিতে নেমে সাইফ হাসানের ৫৫ ও ফরহাদ রেজার অপরাজিত ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩.৪ ওভারে ১৭২ রান করে জিতে যায় দোলেশ্বর। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক ইনিংস- ১৬৯/১০; ৪৮.১ ওভার (কাপালী ৬১, আল-আমিন ৩২; ফরহাদ ৪/২২, তাইবুর ২/১০)। দোলেশ্বর ইনিংস- ১৭২/৩; ৪৩.৪ ওভার (সাইফ ৫৫, ফরহাদ ৪১*, মার্শাল ২৫*)। ফল ॥ দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ফরহাদ রেজা (দোলেশ্বর)।
×