ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ার্টার ফাইনালে এমান্ডা এনিসিমোভা

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

  কোয়ার্টার ফাইনালে এমান্ডা এনিসিমোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্ল্যারো ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন এমান্ডা এনিসিমোভা। শুক্রবার রাতে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ১৭ বছরের এই তরুণী কঠিন লড়াইয়ের পর ৬-২, ১-৬ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন মারিয়া ক্যামিলা ওসোরিও সেরানোকে। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরানোর অবস্থান ৪৩৮ নম্বরে। তথাপি টুর্নামেন্টে ফেবারিট হিসেবে কোর্টে নামেন তিনি। কেননা কলম্বিয়া যে তার দেশ। স্বাগতিক দেশের খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের সমর্থন পান মারিয়া সেরানো। কিন্তু স্বাগতিক সমর্থকদের হৃদয়কে ভেঙ্গে চুরমার করে দেন ষষ্ঠ বাছাই হিসেবে এই টুর্নামেন্টে খেলতে নামা এনিসিমোভা। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট লড়াই করে প্রতিপক্ষকে পরাজয়ের লজ্জা উপহার দেন বর্তমানে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ৭৬ নম্বরে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। এই জয়ের পর দারুণ খুশি এনিসিমোভা। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই ম্যাচটা কঠিন ছিল। কারও বিপক্ষে তার নিজের দেশের মাটিতে খেলা সত্যিই খুব কঠিন। তবে আমি খুব খুশি যে তার বিপক্ষে লড়াই করে ম্যাচটা জিতেছি। এমন ম্যাচ জিতে মানসিকভাবে আমি খুব শক্তিশালী। ওসোরিও সেরানো অসাধারণ মাপের এক খেলোয়াড়। ম্যাচে হেরে গেলেও তার প্রতি আমার অগাধ সম্মান। তবে এই ম্যাচ জয়ের পর আমি সত্যিই খুব খুশি।’ কলম্বিয়ার বোগোটার এই টুর্নামেন্টে আরেকটি ম্যাচ জিতলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডব্লিউটিএ ট্যুর ফাইনালের টিকেট কাটবেন এনিসিমোভা। এর আগে গত বছর জাপানের হিরোশিমার ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। সেবার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে হেরে যান নিউজার্সির এই খেলোয়াড়। এবার কী আছে তার ভাগ্যে? সেমির বাধা পার হতে পারবেন কী তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়? সেই পথে বড় বাধা ব্রাজিলের বিয়াত্রিজ হাদ্দাদ মাইয়া। কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে যিনি ৬-৭ (৬), ৬-২ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা সারা সোরিবেস তোর্মোকে। হাদ্দাদ মাইয়ার বিপক্ষে এর আগে কখনই মুখোমুখি হননি এনিসিমোভা। সেই ম্যাচের আগে তার অনুভূতিটা কেমন? এ বিষয়ে আমেরিকান তারকা বলেন, ‘এখানে আমি খুব ভাল খেলছি। আগের ম্যাচগুলোতে যেমন খেলেছি পরের ম্যাচগুলোতেই সেই পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই আমি।’ টুর্নামেন্টের আরেক সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন ১১তম বাছাই লারা অরুয়াবারেনা এবং এ্যাস্ট্রা শর্মা। স্প্যানিশ টেনিস তারকা লারা অরুয়াবারেনা ২০১২ সালে এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তাছাড়া ফাইনাল খেলেছেন তিনবার। এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ৬-৪ এবং ৬-২ গেমে পরাজিত করেন স্লোভেনিয়ার তামারা জিদানসেককে। আরেক ম্যাচে শর্মা ৬-১ এবং ৭-৫ গেমে ইতালির সারা ইরানিকে পরাজিত করে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন টেনিস বিশ্বকে। টেনিস বিশ্বে একটা সময় রাজত্ব করেছেন সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভা, পেত্রা কেভিতোভা, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, ভেনাস উইলিয়ামস এবং ক্যারোলিন ওজনিয়াকির মতো তারকারা। তবে কালক্রমে তারা এখন নিষ্প্রভ। তাদের বাজে সময়টাতে যেন জ্বলে উঠছেন বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে জাপানের নাওমি ওসাকা, রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ, চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভা, অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টি, সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্লোয়ানে স্টিফেন্স, মেডিসন কেইস অন্যতম। তরুণ এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের এই তালিকায় এবার যোগ হলেন এামান্ডা এনিসিমোভাও।
×