ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় স্পিনিং মিলের আগুন ১৬ ঘণ্টায়ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১০ এপ্রিল ২০১৯

কুমিল্লায় স্পিনিং মিলের আগুন ১৬ ঘণ্টায়ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৯ এপ্রিল ॥ কুমিল্লা ইপিজেডের আরএন স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও দুপুর ২ টা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের কোথাও কোথাও থেমে থেমে আগুন জ¦লতে দেখা যায়। ঘটনা তদন্তে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি এবং ইপিজেড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটিসহ পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এতে কোন শ্রমিক হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান। এদিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকা-ের ফলে কুমিল্লা ইপিজেডে প্রায় অর্ধশত মিল-ফ্যাক্টরি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মরত অনেক শ্রমিক-কর্মচারী। কুমিল্লা ইপিজেডের জিএম বলছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। প্রতিটি মিল-ফ্যাক্টরিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সরেজমিন পরিদর্শনকালে আরএন স্পিনিং মিলসের শ্রমিক আজাদ, বাপ্পী, জাহাঙ্গীর, জীবনসহ অন্য শ্রমিকরা জানান, প্রথমে মিলের এক্রিলিক সেকশনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর কটন সেকশনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে জেলার বুড়িচং, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রামসহ কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে আরও ৭ ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর প্রাণপন চেষ্টা চালায়। এতে আরএন স্পিনিং মিলটির উৎপাদন শাখার এক্রিলিক ও কটন সেকশন আগুনে পুড়ে ল-ভ- হয়ে গেলেও আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায় প্রতিষ্ঠানটির ২ বড় গোডাউন ও পাওয়ার সেকশন। এদিকে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেপজার ডিজিএম (গোয়েন্দা) মেজর রিয়াজ আহমেদ, প্রকৌশল বিভাগের সদস্য মোঃ ফারুক আলম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
×