ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

কণ্ঠশীলনের স্মরণে ওয়াহিদুল হক ও কাইয়ুম চৌধুরী

প্রকাশিত: ১০:১০, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 কণ্ঠশীলনের স্মরণে ওয়াহিদুল হক ও কাইয়ুম চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারা দুজন দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা। গান নিয়ে কেটেছে একজনের সারাটি জীবন। অপরজন জীবনভর এঁকেছেন ছবি। সেই দুই কীর্তিমান হলেন ওয়াহিদুল হক ও কাইয়ুম চৌধুরী। বরেণ্য এই ব্যক্তিদ্বয়কে স্মরণ করল আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলন। তাদের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে বলা হলো কথা। সঙ্গীত পরিবেশনার সঙ্গে ছিল তাদের নিবেদিত দুটি আবৃত্তি প্রযোজনা। শনিবার সন্ধ্যায় ধানম-ির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে ‘বন্ধু রহো রহো সাথে’ শীর্ষক এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঙালী সংস্কৃতির অগ্রগণ্য দুই সংগ্রামীকে নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তানিয়া মান্নান গেয়ে শোনান দুটি গান। এরপর প্রদর্শিত হয় দুই কীর্তিমান নিয়ে নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারলেও একটি ভিডিও বার্তায় ওয়াহিদুল হক ও কাইয়ুম চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কণ্ঠশীলনের সভাপতি সন্জীদা খাতুন। ওয়াহিদুল হকের দূরদৃষ্টি এবং কাইয়ুম চৌধুরীর প্রকৃতি প্রেম নিয়ে কথা বলেন তিনি। কণ্ঠশীলনের সহ-সভাপতি ফওজিয়া মান্নানের সঞ্চালনায় ‘দেশপ্রেম’ বিষয়ে আলোচনা করেন সেলিনা হোসেন ও মামুনুর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহীদ রেজা নূর। মামুনুর রশীদ বলেন, শুধু গান নয়, বিজ্ঞান, প্রকৃতি কোন বিষয়ে ওয়াহিদ ভাইয়ের ধারণা ছিল না? সব বিষয়েই তিনি হয়ে উঠেছিলেন রেনেসাঁ মানব। সেলিনা হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্প বইয়ের প্রচ্ছদে মুক্তিযোদ্ধার মাথায় গামছা বেঁধে কাইয়ুম চৌধুরী আমাদের সাংস্কৃতিক উপাদানের মহত্তম প্রকাশ ঘটিয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় কণ্ঠশীলনের দুটি প্রযোজনা ‘একুশের প্রথম সংকলন’ ও ‘রাখব বাংলাদেশের মান’। প্রথমটি বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে এবং দ্বিতীয়টি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
×