ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

আল-আমিন তোপে বিশাল জয় প্রাইম ব্যাংকের

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৬ এপ্রিল ২০১৯

আল-আমিন তোপে বিশাল জয় প্রাইম ব্যাংকের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পেসার আল-আমিন হোসেন এমন গতির ঝড়ই তুললেন, তাতে তছনছ হয়ে গেল বিকেএসপির ইনিংস। ৫ উইকেট নেয়া আল-আমিনের বোলিং তোপে ৫০ রানেই গুটিয়ে গেল বিকেএসপি। তাতে করে ১৭২ রানের বিশাল জয়ও তুলে নিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের নবম রাউন্ডের খেলায় বিকেএসপিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলটি ব্রাদার্সকে ৯ রানে হারায়। দেলোয়ার হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বড় স্কোরের ম্যাচে, চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২ উইকেটে হারায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক-বিকেএসপি ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ প্রাইম ব্যাংকের জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুপার লীগে খেলার আশা উজ্জ্বল করে রাখতে হলে জয় খুব দরকার ছিল। সেই জয়টি মিললও। কিন্তু বিকেএসপির অবস্থা এতটা খারাপ হবে তা বোঝা যায়নি। আল-আমিন এমনই বোলিং নৈপুণ্য দেখালেন, তাতে উড়ে গেল বিকেএসপি। আগে ব্যাটিং করে ভারতের দেরাদুনের অভিমন্যু ঈশ্বরনের ৯২ রানের সঙ্গে নাহিদুল ইসলামের ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২২২ রান করে প্রাইম ব্যাংক। জবাব দিতে নেমে এমনই অবস্থা হয় বিকেএসপির, একজন ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন (১৫) শুধু দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। আল-আমিন (৫/২০) এমনই গতির ঝড় তোলেন, তাতে ২২ ওভারে ৫০ রান করতেই গুটিয়ে যায় বিকেএসপি। আল-আমিন তোপে কি করুণ দশা হয় বিকেএসপির। এই জয় পেয়ে ৯ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে ১৪ পয়েন্ট পায় প্রাইম ব্যাংক। তাতে সুপার লীগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক ইনিংস- ২২২/৮; ৫০ ওভার (ঈশ্বরন ৯২, নাহিদুল ৫০, বিজয় ২৩, আল-আমিন ১৭; মুরাদ ২/৩৫)। বিকেএসপি ইনিংস- ৫০/১০; ২২ ওভার (ইমন ১৫, কাইয়ুম ৭, ফাহাদ ৫; আল-আমিন ৫/২০, নাঈম ২/৬)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ১৭২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আল-আমিন হোসেন (প্রাইম ব্যাংক)। গাজী গ্রুপ-ব্রাদার্স ম্যাচ, বিকেএসপি ॥ হারলেই সুপার লীগে খেলার আশা ফিকে হয়ে যেত। কিন্তু ব্রাদার্সের সঙ্গে ঠিকই জিতল গাজী গ্রুপ। তাতে করে সুপার লীগে খেলার আশায় থাকল দলটি। আগে ব্যাটিং করে ২০৬ রানের বেশি করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান কামরান গুলাম (৮১) যদি হাল না ধরতেন, তাহলে গাজী গ্রুপ হেরে যেতে পারত। ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ রান করে যে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ, ২০০ রানের উর্ধে স্কোরবোর্ডে যোগ করার পেছনে কামরানই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সাজেদুল ইসলামের (৪/৫৪) ঘূর্ণিতে খুব বেশি রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে না পারলেও গাজী গ্রুপই শেষ হাসি হাসে। যদিও ব্রাদার্স জয়ের কাছেই চলে গিয়েছিল। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৭২ রানের ইনিংসে ১৯৭ রানেও চলে যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে ৪৮.৫ ওভারে অলআউটও হয় ব্রাদার্স। নাসুম আহমেদের (৫/৪৯) দুর্দান্ত স্পিন দ্যুতির সঙ্গে সঞ্জিত সাহার (৩/৪৫) বোলিং ঝলকানি শেষ পর্যন্ত গাজী গ্রুপের জয় মিলে যায়। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ ইনিংস- ২০৬/১০; ৪৯.৪ ওভার (কামরান ৮১, মেহেদী ৪৮, শামসুল ২২; সাজেদুল ৪/৫৪)। ব্রাদার্স ইনিংস- ১৯৭/১০; ৪৮.৫ ওভার (জুনায়েদ ৭২, ফজলে মাহমুদ ৩১, ইয়াসির ৩০; নাসুম ৫/৪৯)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাসুম আহমেদ (গাজী গ্রুপ)। মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচ, মিরপুর ॥ মোহামেডান ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ম্যাচটি দুর্দান্তভাবে জমে ওঠে। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় ম্যাচটি। আগে ব্যাটিং করে লিটন কুমার দাসের ৮৪, রকিবুল হাসানের ৭৪, ৫০ রান করে করা দুই ব্যাটসম্যান অভিষেক মিত্র ও ইরফান শুকুরের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সোহাগ গাজীর ৪৫ রানে ৪৯.৩ ওভারে ৩২৪ রান করে অলআউট হয় মোহামেডান। বিশাল স্কোর গড়ে মোহামেডান। মোহামেডানের ইনিংস শেষ হতেই শাইনপুকুরের হারের সম্ভাবনা ভাবা হয়। কিন্তু আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৯৭, ভারতের দিল্লীর উন্মুক্ত চাদের ৪৯ ও অমিত হাসানের ৪৩ রানে শাইনপুকুরও দুর্দান্ত জবাব দেয়। এ ব্যাটসম্যানরা আউট হওয়ার পর বল হাতে ৫ উইকেট নেয়া দেলোয়ার হোসেন ব্যাট হাতেও যখন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করতে থাকেন তখন শাইনপুকুরের জয়ের আশা জেগে যায়। শেষ পর্যন্ত শাইনপুকুরই জিতে। যখন ১২ বলে জিততে ২৩ রান দরকার পড়ে তখন দেলোয়ার তিন ছক্কা হাঁকিয়েই খেলাটাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। ২৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান করে আউটও হন। তবে শেষে ৬ বলে জিততে ৫ রান লাগে শাইনপুকুরের। অপরাজিত ৩৪ রান করা সোহরাওয়ার্দী শুভ তা নিয়ে ফেলেন। জিতে যায় শাইনপুকুর। ২ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান করে জিতে শাইনপুকুর। স্কোর ॥ মোহামেডান ইনিংস- ৩২৪/১০; ৪৯.৩ ওভার (লিটন ৮৪, রকিবুল ৭৪, অভিষেক মিত্র ৫০, ইরফান ৫০, সোহাগ ৪৫; দেলোয়ার ৫/৪৬)। শাইনপুকুর ইনিংস- ৩২৫/৮; ৪৯.৪ ওভার (আফিফ ৯৭, চাদ ৪৯, অমিত ৪৩, সোহরাওয়ার্দী ৩৪*, দেলোয়ার ৩৪; সোহাগ ২/৪০)। ফল ॥ শাইনপুকুর ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ দেলোয়ার হোসেন (শাইনপুকুর)।
×