ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৫ এপ্রিল ২০১৯

উবাচ

দ্বন্দ্ব নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ আশির দশকে দেশটা এরশাদময় ছিল। টেলিভিশন বলতে এক বিটিভি। রাতে খবর শুরু হতো এরশাদ এবং রওশনকে দিয়ে। রোজ যারা খবর দেখতেন তারা বুঝতেন এইচএম এরশাদের রওশন ছাড়া আর কেউ নেই কিচ্ছু নেই। এতকাল পরে এসে এরশাদ প্রমাণ করলেন আসলেই রওশনই সব কিছু। তিনি সবার উর্ধে। ভাই জিএম কাদেরকে দলের কা-ারি মনোনীত করেছিলেন এরশাদ। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই এরশাদ ভাইকে সরিয়ে আবার স্ত্রীর কাছেই ফিরিয়ে দিলেন সবকিছু। এ নিয়ে জিএম কাদের অবশ্য মুখ খোলেননি। কিন্তু বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জিএম কাদেরের অনুসারীরা প্রতিবাদ করছিলেন। জিএম কাদেরকে আবার আগের পদে বহাল করার দাবি জানাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু তাই কী আর হয়! ভালবাসার যে নজির বহুদিন আগে আগ্রাবাসী দেখেছিল এখন তা দেখছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি বলছে এরশাদ যতই সকাল-বিকাল মত বদলাক জিএম কাদেরের আর ফেরা হচ্ছে না। ফেরা যে হচ্ছে না তা স্পষ্ট হয়েছে রওশন এরশাদের কথায়। সম্প্রতি তিনি পদ হারানো জিএম কাদেরকে পাশে রেখে এক অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোন দ্বিধা-বিভক্তি নেই। কোন দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টির সবাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। আসলেই কি তাই! রেস্ট নিতে হবে তো স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্রাম নিতে নাকি দলের সব পদ ত্যাগ করেছেন বিএনপির এক নেতা। তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। তবে দল ত্যাগ করার ঘটনা নাকি ভিন্ন। তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফুল আর মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে। দেখা হলেও যে ব্যবহার তিনি পেয়েছেন তাতে বিএনপির কোন পদে থাকার সাধ নাকি ঘুচে গেছে। যেখানে দলের এক নেতা জেলখানা থেকে ফিরলে মহাসচিবের নিজের দেখা করতে যাওয়ার কথা। সেখানে বেচারা আসলেন কিন্তু এমন মধুর ব্যবহার পেলেন যে পদ ছেড়ে দিলেন। মোবাশ্বের আলম বলছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। তিনি বলেন, ভাই অনেক কষ্ট। ১৫টির মতো মামলা। জেল খেটেছি অনেকবার। সবশেষ চার মাস জেল খেটে নির্বাচনের পর মুক্তি পেয়েছি। একটু রেস্ট নিতে হবে তো। বেইমান স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোকাব্বির খানকে যারা ভোট দিয়েছেন তারা কেন দিয়েছেন! মোকাব্বির খান সংসদে গিয়ে তাদের কথা বলবেন। তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করবেন এইতো। এখন মোকাব্বির খান যদি সংসদেই না যান তাহলে তিনি কি করে আবার ভোট চাইতে যাবেন! সাধারণ মানুষ যদি প্রশ্ন করেন এর আগে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠালাম কি করেছেন আমাদের জন্য। সংসদেইতো যাননি। তাহলে কেন আপনাকে আবার ভোট দেব। মোকাব্বির সংসদে না গেলে তার এলাকার সকল মানুষ তাকে বেইমান বলতেন। এখন মোকাব্বির যখন সংসদে গেছেন তখনও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন মোকাব্বির বেইমান। ফখরুল বলেছেন, এরা বেইমান। জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছে, প্রতারণা করেছে। এটা নিজের দলের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে এবং ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রতারণা। ঐক্যফ্রন্টের সকলে জয়লাভ না করলে মোকাব্বির সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না এমন কোন কথা ছিল নাকি। আর জনগণতো তাকে সংসদে যেতেই ভোট দিল। আর যে দল এবং জোট সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে বলে শপথ নেয়া যাবে না সেই দল এবং জোট ভবিষ্যতে নেতা খুঁজে পাবে কি করে!
×