ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি ভ্যাট আদায়

প্রকাশিত: ১০:১০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 বাণিজ্যমেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি ভ্যাট আদায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে এ বছর। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতবারের চেয়ে বেশিতো অবশ্যই সেইসঙ্গে নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। শনিবার মেলার শেষ দিন হওয়ায় রবিবার বিভিন্ন স্টল থেকে সংগৃহীত ভ্যাটের চালান যাচাই করে এই তথ্য জানায় ঢাকা পশ্চিমের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার ড. মইনুল হক। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর মেলা থেকে মোট ভ্যাট সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭.০১ কোটি টাকা। জানা গেছে, হাতিল ও ওয়াল্টনসহ ১০ প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যাদের বিশেষ সম্মাননাও দেয়া হবে। গত নয় জানুয়ারি শুরু হওয়া বাণিজ্যমেলা সমাপ্তি হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এ বছর একদিন মেলার সময় বৃদ্ধি করা হয়। মেলার শুরুতেই দিনে গড়ে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়ে আসছিল। মেলার শেষ সপ্তাহে ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেট মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ তৎপরতা চালু করে। এতে ভ্যাট সংগ্রহে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। কমিশনার ড. মইনুল হক বলেন, আমাদের টিম ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩টি দল গঠন করে এই তদারকি করে আসছে। যার ফল হিসেবে ভাল আদায়ও হয়েছে। এসব দল মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন স্টলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট আইন পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করে এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এতে ব্যাপক সাড়া দেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, তবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ ওঠায় এবং যথাযথ ভ্যাট চালান ইস্যু না করায় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় অভিযুক্তদের বিভিন্ন অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জানা গেছে, গত বছর ২০১৮ সালের বাণিজ্যমেলা থেকে ভ্যাট আহরণের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। আর চলতি বছর মেলায় ৬ কোটি টাকার ভ্যাট সংগ্রহ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, মেলায় অংশ নেয়া অধিকাংশ পণ্যে ৫% ব্যাবসায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য। আইন অনুসারে প্রতিটি পণ্য ও সেবা ক্রয়ে সময় ভ্যাট চালান ইস্যু করা বাধ্যতামূলক। এদিকে এ বছর বাণিজ্যমেলায় সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে পশ্চিম ভ্যাট কার্যালয়। এগুলো হলো- হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসক্যোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, আরএফএল ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড-ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই ১০টি সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলেও জানা গেছে।
×