ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের দায়িত্ব;###;এম.এইচ. উল্লাহ্

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ টিনেজ প্রেম, অভিভাবকদের কর্তব্য

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ টিনেজ প্রেম, অভিভাবকদের কর্তব্য

কোমলমতি ছেলেমেয়ের অভিভাবকদের উচিত স্কুলে যাওয়ার পরে এরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে এদিকে লক্ষ্য রাখা আর তাদের খোঁজ খবর নেয়া। এই কাজটি একা শুধু অভিভাবকদের পক্ষেই সম্ভব নয় বরং এর গুরুদায়িত্ব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার ওপর বেশি বর্তায়। অভিভাবক/শিক্ষকদের লক্ষ্য রাখতে হবে টিনএজরা স্কুলে গিয়ে কিংবা স্কুলের বাইরে কার সঙ্গে মিশে এবং কী ধরনের কর্মকা-ে লিপ্ত হয়। যদি ভাল কাজে লিপ্ত হয় অর্থাৎ পড়াশোনা, খেলাধুলায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে তাহলে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু যদি দেখা যায় যদি সে কু-সংসর্গে মিশে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে সে যাতে এই কাজটি না করতে পারে তার জন্য ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। ‘রোমিও-জুলিয়েট’ ‘কুপিড-লাভ’ কাহিনী এই এডলেসেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এর হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? অনেক বলে থাকেন -প্রেম স্বর্গীয়- স্বর্গ হতে আসে প্রেম, স্বর্গে যায় চলে। সত্যিকারের প্রেমিকের প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো যায় না- যেমন লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ। এইগুলো ব্যতিক্রমধর্মী প্রেম কিন্তু সাধারণ ছেলেমেয়েরা প্রেমের নামে উচ্ছন্নে যাবে এটা হতে দিতে পারা যায় না। তাই যে কোন উপায়ে এদেরকে এই রকম ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হোক কিংবা সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হোক কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যেন কু-সংসর্গে না মিশে সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষকদের কড়া নজর রাখতে হবে। খেলাধুলা যেমন ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, ফুটবল ইত্যাদি খেলায় তাদেরকে ব্যস্ত রাখলে তারা অন্যত্র সময় দিতে পারবে না। তাই প্রতিটি স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত এদের জন্য সর্বপ্রকার খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা। ছেলেমেয়েদের অলস সময় কাটাতে দেওয়া যাবে না- কারণ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই তাদেরকে হয় পড়াশোনা নয়ত খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখতে হবে- তবেই তাদের জীবন সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে। অযত্নে অবহেলায় অনেক ছেলেমেয়ের জীবন নষ্ট হয় একথা মনে রাখতে হবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×