ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলার কায়সার হামিদ কারাগারে

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

ফুটবলার কায়সার হামিদ কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিতর্কিত এমএলএম প্রতিষ্ঠান নিউওয়ে মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শামসুদ্দিন এ ফুটবলারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন। আইনজীবী মোঃ আবু সাঈদ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়। শুনানিতে আইনজীবী বলেন, এ মামলার বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে। এ টাকা বিষয়ের আসামি কিছু জানেন না। যদি এ মামলা বিষয়ে আগে থেকে জানতেন তাহলে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিতেন। শুনানির সময় কায়সার হামিদের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা হামিদ লোপা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে কায়সার হামিদকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল। বনানী থানার দুটি মামলাই ২০১৩ সালের। মামলাগুলোর একটির বাদী রাজধানীর বাড্ডার জনৈক জালাল উদ্দিন এবং অপরটির বাদী একই এলাকার মোঃ আবু বক্কর (সালাম)। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলাগুলো দায়ের হয়। এরপর মামলাগুলোকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল মামলাগুলো থানায় এজাহারভুক্ত হয়। মামলাগুলোয় কায়সার হামিদ প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি হিসেবে ২ নম্বর আসামি। মামলাটিতে আরও ৯ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সনজিত কুমার দাস, ট্রেজারার তরিক উল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সামসুদোহা তৌফিক, যুগ্ম সম্পাদক তাজিম আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ সদস্য মনির হোসেন, আতাউর রহমান, মোশারফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও মোঃ বাদল। আসামিদের মধ্যে মনির হোসেন জামিনে রয়েছেন এবং অপর আসামিরা পলাতক। মামলায় বাদী জালালের অভিযোগ এক লাখ টাকায় বছরে সম পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আসামিরা আসল ও লভ্যাংশ কোন টাকাই প্রদান করেননি। একইভাবে আবু বক্করের অভিযোগ তিনি একই লভ্যাংশে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেও আসামিরা আসল ও লভ্যাংশ কোন টাকাই প্রদান করে আত্মসাত করেছেন।
×