ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মিল্টন বিশ্বাস

শেখ হাসিনা যেখানে অনন্য ও অদ্বিতীয়

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

শেখ হাসিনা যেখানে অনন্য ও অদ্বিতীয়

৭ জানুয়ারি (২০১৯) এদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক ক্ষণ’ বিস্ময় নিয়ে দেখা দিল। এদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলেন হ্যাটট্রিকসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়লেন তিনি। আর দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেল। একই দিন তাঁর শপথগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২৪ মন্ত্রী শপথ নেন। এরপর ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং সব শেষে ৩ উপমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, তারুণ্যদীপ্ত মন্ত্রিপরিষদ এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি অভিনন্দিত হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার মূল মন্ত্রে উদ্দীপ্ত। সবকিছুর শেকড় রয়েছে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের ভেতর। ॥ দুই ॥ ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মহাকালের রথের আরোহী ও অমৃতের সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম। বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও গত ১০ বছরে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ সম্ভব। তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন জনমানুষের কল্যাণে। তিনি বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় রয়েছেন। ক্ষমতাধর এশীয় নারীদের তালিকায় তিনি শীর্ষে অবস্থান করছেন। অতীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস মোকাবেলার সাফল্যেই শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা বেড়ে যায়। যার ফল হলো ৩০ ডিসেম্বরের (২০১৮) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া। এছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি, অবকাঠামো নির্মাণ, জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ দমন, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। এ পর্যন্ত কোন হামলা-হুমকি ও বাধা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। অকুতোভয় সাহসী জননন্দিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বপরিসরে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং শাসন ক্ষমতায় বিশেষত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংসদ বা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অনেক নারী রাজনীতিক এসেছেন কিন্তু তারা কেউই কোন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেননি বা ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দর্শন দাঁড় করাতে সক্ষম হননি। প্রধানমন্ত্রীত্ব না থাকলেও শেখ হাসিনা সাহসী রাজনীতিক হিসেবেই জনগণের কাছে নমস্য। কারণ, তিনি এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য তনয়া হয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন- কখনও বিরোধীদলীয় নেত্রী হয়ে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন; আবার কখনও বা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ পাঁচ বছর ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সময়। এ সময়কালের মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু (যমুনা) সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা, ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করাসহ অনেক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়। এ সময় দ্রব্যমূল্য ছিল ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ সরবরাহ এবং সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের ফলে দেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। প্রায় ২৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। প্রথম মুঠোফোন (মোবাইল) প্রযুক্তির বাজার উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এবং উল্লেখযোগ্য হারে কর সুবিধা প্রদান করা হয়। বেসরকারী খাতে টেলিভিশন চ্যানেল অপারেট করার অনুমতি প্রদান করে আকাশ সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পিতার সঙ্গে মাতার নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়। কম্পিউটার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসকরণের দ্বারা সাধারণের জন্য তথ্যপ্রযুুক্তির সুযোগ অবারিত করে দেয়া হয়। ১৯৯৬-২০০১ এর মতো ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের ফিরিস্তি এখানে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু সেই প্রয়াস না করে কেবল শেখ হাসিনার ‘ধরিত্রী কন্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সম্পর্কে এখানে কিছু বলা হলো। নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ এর ‘ডেল্টা প্ল্যানে’র কথা স্মরণ রেখেই এই আলোচনা করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ এখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর বিপর্যয় রোধে সারা বিশ্ব এখন সোচ্চার। পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য রাখতে বিশ্বের কিছু ভাল মানুষ উদ্যোগ নিচ্ছেন, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। তাঁর নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দায়িত্ব নিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে নিজস্ব অর্থায়নে গঠন করা হয় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড। শুধু তাই নয়, ফান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করা হয় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন-২০১০। গঠন করা হয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডও। গত ১০ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ ফান্ডের অর্থায়নে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে গ্রহণ করা হয়েছে ৪৬৮টি প্রকল্প। এর মধ্যে বেসরকারী সংস্থার ৭০টি প্রকল্পও রয়েছে। এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান এইড, ডেনমার্ক, ডিএফআইডি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউএসএআইডি এ ফান্ডে সর্বমোট ১৮ দশমিক ৯৫ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজমের বোর্ড সদস্য, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের সদস্য, এডাপটেশন ফান্ড বোর্ড সদস্য এবং এডাপটেশন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে। ॥ তিন ॥ সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দৃঢ়তা; গণতন্ত্র, শান্তি, সম্প্রীতি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য রূপকার আর মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ শেখ হাসিনা। দরদী নেতাটি দুঃখী মানুষের আপনজন; নির্যাতিত জনগণের সহমর্মী তথা ঘরের লোক। তিনি বলেছেন, ‘বাবার মতো আমাকে যদি জীবন উৎসর্গ করতে হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত।’ শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু তিনি। ধৈর্য ও সাহসের প্রতিমূর্তি শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন, কৃষকরত্ন, জননেত্রী- বহুমাত্রিক জ্যোতিষ্ক। তাঁকে কেন্দ্র করে, তাঁর নেতৃত্বে আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশের সবকিছু। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাস্তবতায় ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে আমেরিকার রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ ধরনের মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি তারা বিভিন্ন দেশে ও সংস্থাকে পরামর্শ দেন বাংলাদেশকে কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা না করার। তাদের বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্রের পরও বাংলাদেশ আজ বিশেষ অবস্থানে পৌঁছেছে। এ কারণে শেখ হাসিনার শাসনামলেই কিসিঞ্জারের পরবর্তী নেতৃবর্গ ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন বাংলাদেশকে বিশ্বের মডেল এবং বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মাজেনাসহ বিশে^র অনেকেই ‘এশিয়ার টাইগার’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁরা উভয়ে এ ধরনের মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের নানামুখী সাফল্য ও উন্নয়নের জন্য। আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়েছে এটা হিলারী ও মাজেনার পূর্ব-পুুরুষরা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের সাফল্যের কারণে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেক বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়ার একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ শুনানিতে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যানরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এদেশ হবে বিশ্বের অন্যতম রফতানিকারক দেশ বিশেষ করে ওষুধ শিল্প, তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি, হিমায়িত মাছ রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার টাইগার। তাঁদের মতে, কৃষি এবং শিক্ষা খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব হবে। অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে ‘নাম্বার ওয়ান উন্নয়নমুখী দেশ’ বলেছেন। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারদীপ্ত নেতৃত্বের জন্য। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ হাসিনা এক আশ্চর্য সাহসী রাজনীতিকের নাম; যাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে। তাছাড়া শেখ হাসিনাবিহীন যুদ্ধাপরাধের বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ জন্য তরুণ প্রজন্ম ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি-জামায়াত তথা ঐক্যফ্রন্টকে। আবার নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বীভৎস চিত্র গণমানুষকে আতঙ্কিত করে তোলায় তারা আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিএনপির অবরোধ-হরতাল-নাশকতার কথা মানুষ ভুলে যায়নি এখনও। অতীতে সহিংসতা আর জ্বালাও-পোড়াও করে অতীতে তারা থামাতে পারেনি যুদ্ধাপরাধের বিচার। বরং কুখ্যাত অপরাধীদের ফাঁসির রায় জনগণকে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল করে তুলেছে অনেক বেশি। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে ঐক্যফ্রন্টের বাঁচা-মরার আন্দোলনও দমে গেছে। শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, কূটনীতিক দিক থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সব বিরূপ পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে নিয়ে এসেছেন। ২০১৯ সালে তাঁর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছেন তরুণ কিন্তু অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা। কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী ও অংশীদার বানিয়ে ফেলেছেন রাশিয়া ও জাপানকে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়েছে। পূর্বমুখী কূটনীতির অংশ হিসেবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নেয়ার ফলে শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের পরই অভিনন্দন জানিয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের মডেল অন্যান্য দেশের কাছে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হয়েছেন। ॥ চার ॥ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে- এটা নিশ্চিত। তাই আওয়ামী পরিবারের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অশুভ শক্তির মোকাবেলা করতে হবে। সামনে বাধা এলে তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলায় সচেষ্ট থাকতে হবে। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা ও স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনা জীবিত রয়েছেন। তিনিই তাঁর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বসে নেই; ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর মহাকাল তাঁর নেতৃত্বকে স্মরণ করবে শ্রদ্ধাভরে। লেখক : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×