ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন বন্ধুর স্বীকারোক্তি

অটোরিক্সার জন্য খুন করা হয় জয়কে

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

 অটোরিক্সার জন্য খুন করা হয়  জয়কে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ শুধু অটোরিক্সার জন্যই অটোচালক জসিম উদ্দিন ওরফে জয়কে (২০) গলাকেটে হত্যা করা হয়। এর আগে তাকে মাদক সেবন করানো হয়। নেশায় বিভোর হয়ে উঠলেই জসিমের গলায় ছুরি চালায় তার বন্ধুরা। রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রাম মাস্টারপাড়া মহল্লার আরফান আলীর ছেলে জসিম হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে এসব তথ্য জানায় শাহমখদুম থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিসহ উদ্ধারকৃত নানা আলামতও দেখানো হয় সাংবাদিকদের। গত বুধবার রাতে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলা এলাকা থেকে জসিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জসিম দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি জিডি করা হয়। এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর জসিম উদ্দিন (২০) ও সুমন আলী (২৪) নামে জসিমের দুই বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। এরা নগরীর একটি খাবারের হোটেলে কাজ করত। আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়, আটক করা হয় রাজিব হোসেন (২৪) নামে আরও এক যুবককে। শুক্রবার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শাহমখদুম থানার উপ-কমিশনার (ডিসি) হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, জসিম ও সুমন নিহত জসিমের অটোরিক্সায় চড়ে গোদাগাড়ী যায়। এরপর তারা রাজিবকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসতে বলে। রাজিব তাদের মাদক সরবরাহ করলে তারা ঘটনাস্থলে বসে সেবন করে। এরপর রাজিব চলে গেলে সুমন নেশায় বিভোর অটোচালক জসিমের পা দুটো চেপে ধরে। এ সময় আসামি জসিম তার গলায় ছুরি চালায়। তবে হঠাৎ সেখানে আবার রাজিব ফিরে এসে ঘটনাটি দেখে ফেলে। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেলে তিনজন মিলেই লাশটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে আসে। তারা জসিমের অটোরিক্সাটি নাটোরে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। সেখান থেকে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর আমচত্বর এলাকায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন শাহুসহ এলাকার লোকজন বক্তব্য দেন। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এই মানববন্ধনের পর আসামি জসিমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
×