ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘চুরি যাওয়া’ হৃদয় ফিরে পেতে-

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

‘চুরি যাওয়া’ হৃদয় ফিরে পেতে-

হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন এক যুবক। থানার কর্তব্যরত অফিসারের কাছে গিয়ে তিনি বললেন, ‘স্যার, আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি হয়ে গিয়েছে! খুঁজে দিতে হবে।’ অফিসার অভিযোগ লেখার ডায়েরিটা বের করে ‘কী হারিয়েছে। কোথা থেকে হারিয়েছে’ ইত্যাদি জানতে চান ওই যুবকের কাছে। কিন্তু যে উত্তর অভিযোগকারীর কাছ থেকে এলো, তা শুনেই হতবাক ওই পুলিশ অফিসার! ওই যুবক বলেন, ‘স্যার, আমার হৃদয় চুরি হয়ে গিয়েছে! একটি মেয়ে চুরি করেছে সেই হৃদয়। সেই হৃদয় ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে আপনাদেরই!’ এমন অভিযোগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। ফলে যুবকের কথার কী উত্তর দেবেন ভেবেই পাচ্ছিলেন না তিনি। অভিযোগটাই বা কী করে দায়ের হবে? এমন হৃদয়হরণ সংক্রান্ত কোন ধারাই তো নেই ভারতীয় দণ্ডবিধিতে! তা হলে? উত্তরের খোঁজে আর বিন্দুমাত্র দেরি না করে উর্ধতন অফিসারদের কাছে ফোন করেন থানায় কর্তব্যরত ওই পুলিশ অফিসার। অভিযোগের ধরন শুনে তারাও তাজ্জব হয়ে যান। কিন্তু অভিযোগ যখন এসেছে একটা সমাধান তো বের করতেই হয়। অফিসাররাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন সমাধানের খোঁজে। নাহ! অনেক ভেবেও কোন উপায় বের করতে পারেননি অফিসাররা। শেষমেশ ঘুরেফিরে তারা সেই সিদ্ধান্তেই আসেন যে, এ ধরনের অভিযোগের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কোন ধারাই নেই। অভিযোগকারী ওই যুবককেও তা জানিয়ে দেয়া হয়। ফলে অভিযোগও দায়ের হয়নি আর। হৃদয় ফিরে পেতে এসে শেষমেশ খালি হাতেই ফিরতে হয় ওই যুবককে। ফলে ‘চুরি যাওয়া হৃদয়’ আর উদ্ধারও হয়নি। ঘটনাটি ভারতের নাগপুরের একটি থানার। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ভূষণকুমার উপাধ্যায় নিজে এই অদ্ভুত অভিযোগের কাহিনী শুনিয়েছেন। -ওয়েবসাইট
×