ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতদের সম্পর্কে কাদের

সংসদে যোগ না দিলে ব্যর্থতার বৃত্তেই তাদের আটকে থাকতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

 সংসদে যোগ না দিলে ব্যর্থতার বৃত্তেই তাদের আটকে থাকতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের শপথ না নেয়া এবং পুনর্নির্বাচন দাবিকে বিরোধী দল সুলভ দৃশ্যপট হিসেবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবারও ভুলের চোরাবালিতে আটকাবে। নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের চমক থাকতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কেন যেন মনে হয় বিশাল একটা চমক আসবে।’ শুক্রবার ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাদের দাবি নিছকই বিরোধী দল সুলভ। নির্বাচন পরবর্তী যে দৃশ্যপট, হেরে গেলে যে দৃশ্যপট জন্ম নেয়- সেই দৃশ্যপটই আমরা বার বার দেখি। এটা এক সময় থেমে যাবে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে উন্নয়নের পক্ষে, আমাদের নেত্রীর ব্যক্তিগত সততা ও ক্যারিশমার পক্ষে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত এমপিদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের পক্ষ থেকে, সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ করেছি, তাদের অনুরোধ করছি- জনগণের রায়কে অসম্মান করা উচিত নয়। জনগণ যে রায় দিয়েছে, যেটুকু রায় দিয়েছে এটা তাদের সম্মান করা উচিত। নইলে তাদের ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকতে হবে। গতবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যে ভুল করেছে সে ভুলের চোরাবালিতে তারা এখনও আটকে আছে। এবার যদি একই ভুল করে, কিছু আসনে জয় লাভ করেও যদি তারা সংসদে যোগ না দেয়। তবে তাদের ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে থাকতে হবে। শপথ নিয়ে অধিবেশনে যদি না আসে, যে জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে তাদের পক্ষে কথা বলতে যদি তারা সংসদে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়- তাহলে এই ব্যর্থতা আর ভুলের চোরাবালিতে তাদেরকে আবারো আটকে থাকতে হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈঠক করলে অসুবিধা কোথায়? তারা তো বৈঠক করতেই পারে। আমেরিকান এ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে বৈঠক করলে কি আকাশ ভেঙ্গে পড়বে আমাদের ওপর? নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের চমক থাকতে পারে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কেন যেন মনে হয় বিশাল একটা চমক আসবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের পথ চলা। তবে বিশাল জয়ের সঙ্গে বিশাল চমকও থাকতে পারে। তবে ক্যাবিনেটে কে কে থাকছে আমি ঠিক তা বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় বিপুল বিজয় তো বিপুল প্রত্যাশা। জনগণেরও এখানে একটা প্রত্যাশা রয়েছে। আর মন্ত্রিসভার বিষয়টা সম্পূর্ণই নেত্রীর বিষয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর এরিয়া, এখানে অন্য কারোর প্রবেশের সুযোগ নেই। ‘হাসিনা ম্যাজিকে’ আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এই নির্বাচনে বিজয়ের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে হাসিনা ম্যাজিক। এটাই হলো বাস্তবতা। এটা আমাদের লিডারের প্রতি জনগণের সমর্থন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন, তাঁর রাজনীতি, তাঁর স্বচ্ছতা, তাঁর সততা, তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতার প্রতি জনগণের সমর্থন। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ সুনামের ধারায় থাকুক, সেটিই চাই। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংগ্রাম, গৌরবের সেই ইতিহাস ঐতিহ্যকে চেতনায় ধারণ করে ছাত্রলীগ আজকে সময়ের চাহিদা পূরণে দায়িত্ব পালন করবে। ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখার জন্য। সেখানে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের শক্তিতে কাজে লাগাবে। ছাত্রলীগ তারুণ্যের প্রতীক, এনার্জির প্রতীক।
×