ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৫-এর নিচে

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

সমুদ্র হক ॥ হিমালয় পাদদেশীয় দেশের উত্তরাঞ্চলে এবারের শীতের মতিগতি বুঝে ওঠা বেশ কঠিন। সকালে শৈত্যপ্রবাহের শীতলতা। দুপুরের মধ্যেই কমে গিয়ে টানা রোদ। গোধূলী পেরিয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে কিছুটা শীত। যা টেনে নিয়ে যায় মধ্যরাতের পর অনেকটা সময়। লেপ চরাতে হয় গভীর রাতের পর। ভোরের আকাশের লাল আভায় কুয়াশাপাত হয়। শীত অনুভূত হয়। এই কুয়াশা কেটে যেতেও সময় নেয় না। সকাল ৮টার পর রোদ। দশটার পর টানা রোদ। দুপুরে পৌষের শীতের সেই রেশ আর থাকে না। সকালের কম তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। দুপুরে কোট গায়ে রাখা যায় না। তারপর পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সন্ধ্যা। এই সন্ধ্যায় শীতের পোশাক কিছুটা দরকার। এভাবেই এবারের শীত মৌসুমের পৌষ কেটে যাচ্ছে। মাঘ মাস পড়তে সপ্তাহ দুয়েকেরও কম আছে। পৌষ বলে দিচ্ছে মাঘের শীতে এবারও হয়তো বাঘ পালাবে না। গত বছরও তাই ছিল। মাঘকে মনে হয়েছিল ফাল্গুনের দিন। এবারের লক্ষণ তেমনই। সর্ব উত্তরে পঞ্চগড়ে বুধবার সকালের তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিভাগের হিসেবে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামলেই তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এবারের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ টিভি চ্যানেলের পর্দায়। বাস্তবের চিত্র কুয়াশাচ্ছন্ন দিন। অনুভূত তাপ ঠকঠক করে কাঁপার মতো নয়। তবে শীত। গরম কাপড় চরাতে হয়। সকালে যে তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রী দুপুর গড়াতেই তা ঠেকে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সন্ধ্যার পর কিছুটা কমে। এই হলো একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষ প্রান্তের পৌষ। পঞ্চগড়ের এই তাপমাত্রার রেশ দিনাজপুর রংপুর হয়ে যখন বগুড়া পৌঁছে তখন পৌষ পরিবর্তীত হয় ফাল্গুনের প্রকৃতিতে। যেমন বুধবার সকালে বগুড়ার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এমন তাপমাত্রা সাধারণত থাকে ফাল্গুন মাসে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ২৯ ডিসেম্বর শনিবার বগুড়ায় সর্বনি¤œ তাপমামাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে আসে। বগুড়ায় বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় এই রিপোর্ট লেখার সময় গায়ে কোট রাখা যাচ্ছে না। মাফলার খুলতে হয়েছে। এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এগিয়ে যাচ্ছে পূর্বাঞ্চলের দিকে। তবে পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা শীত আছে। মহানগরী ঢাকার মানুষের মধ্যে এবার অবশ্য শীত অনুভূত হচ্ছে। এক তথ্য বলে, রাজধানী ঢাকায় ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরপর ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। গত তিন বছরে ভর শীত মৌসুমে ঢাকার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আবহাওয়া বিভাগের কথা- রায়ু ম-লে জেড বায়ু প্রবাহ দুর্বল থাকায় গত ক’বছর ধরে শীতের দেখা মেলে কম। শীত না পড়ার আরেকটি কারণ হলো, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। কয়েকদিন আগে কিছুটা হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির পরও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমেনি। উত্তরের বাতাস সক্রিয় হলে জলীয় বাষ্প শুষে নিলে শীত বাড়তে পারে। তবে কনকনে শীত পড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় ও চরগ্রামে ফাঁকা জায়গা হওয়ায় বাতাসের গতির প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এবং প্রকৃতিগত কারণে শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। বগুড়ার সোনাতলার রানীরপাড়া গ্রামের কৃষক সমেশ উদ্দিন জানালেন আগের মতো সেই শীত নেই। আগে যেমন শীতের তা-বে সকালে জমিতে যাওয়া যাচ্ছিল না এখন চাদর গায়ে চরিয়ে জমি তৈরির কাজ ও পরিচর্যা করা যায়। গ্রামেও শীতের পোশাকে পরিবর্তন এসেছে। গলাবদ্ধ সোয়েটার নেই। হাতমোজা দেখা যায় না। মাফলার এই রাখতে হয় এই খুলতে হয়। একটি সূত্র জানায় সাইবেরিয়া থেকে হিমালয় ছুঁয়ে যাওয়া বাতাস জেড প্রবাহ। এই জেড প্রবাহের কারণে মধ্যমাঘে ভারতীয় উপমহাদেশে নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়ে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। সেই শৈত্যপ্রবাহ বইলে তার ধরন কেমন হবে এ নিয়েও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। এদিকে বাতাসে অতিরিক্ত ধূলিকণা জমে থাকায় ধুলো মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। শীত মৌসুমে স্বাভাবিক কুয়াশার সঙ্গে ধুলো মেঘ যোগ হয়ে ঘন কুয়াশায় পরিণত হচ্ছে। তবে প্রকৃতির কারণেও ঘন কুয়াশাপাতও হয়। উত্তরবঙ্গে যে ঘন কুয়াশা তা ধুলো মেঘের কারণে হতে পারে। আকাশে কেন অধিক ধূলিকণা এই বিষয়ে ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক আবু হায়দার বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে যান্ত্রিক কৃষির অগ্রযাত্রায় ক্রপ ডাইভার্সিটির আওতায় বছরে কয়েক দফায় ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। ফসল কাটার সময় মাঠে এবং ঘরে তোলার আগে উঠানে আকাশে ধুলোর আধিক্য বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে এই ধুলো জমা হয়ে থাকে। এই ধুলো মেঘের কারণে আবহাওয়ার বৈরী আচরণের ফেরে পড়ে। নিকট অতীতে শীত মৌসুম অনেকটা সময় ধরে থাকত। বর্তমানে শীতের সময়কাল কমে এসেছে। যে করণে শৈত্যপ্রবাহ এখন আর আগের মতো নেই। কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ভারত ও নেপালে আকাশে এমন ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। ভারতের দিল্লী থেকে বিহার পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য (সেভেন সিস্টার) হয়ে ঘুন কুয়াশার আবরণটি বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এই বিস্তিৃতির কারণেও শৈত্যপ্রবাহের রূপের পালা বদল ঘটছে। সকালের শৈত্যপ্রবাহ দুপুরেই উষ্ণতায় রূপ নিচ্ছে। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ॥ স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার সকালে কুয়াশাছন্ন আকাশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের মুখ দেখা যাওয়ার পর রোদের উষ্ণতাও বাড়ে। আবারও বিকেল ৫টার পর থেকে কুয়াশা ঝড়তে থাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। অন্ধকার হয়ে পড়ে আকাশ। বুধবার সকালে মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল। এদিন ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। আকস্মিক শীতের সঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ। গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও কাহিল। শীতের তীব্রতা বাড়ায় নানান রোগ-ব্যাধি দেখা দিয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে থমকে গেছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। নি¤œ আয়ের মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঠাকুরগাঁওয়ে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, গত কয়েক দিন থেকেই ঠাকুরগাঁও ও তার আশপাশে এলাকায় মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতভর কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। আবার সকালেই সূর্য ওঠার পর দিনে শীতের তীব্রতা কমে যাচ্ছে এবং ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বিপরীতমুখী এ আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি এমন কি নিউমোনিয়া দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকেরা প্রয়োজন ছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের ঘরের বাইরে বের না হতে পরামর্শ দিচ্ছেন। চাঁপাইসহ উত্তরাঞ্চলে কনকনে শীত ॥ স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, উত্তরাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত ও ঘনকুয়াশায় জনজীবন থমকে গেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধদের চাপ বেড়েছে। গত ২ দিনে ভোরের সূর্য উঠছে ঠিকই কিন্তু কনকনে ঠা-া বাতাস ও ঘনকুয়াশাতে যেন দুপুর ১২টায় সূর্যের দেখা মিলছে। কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে খুব কম বের হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দিনমজুরদের বিশ্বরোড ও ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ঠাঁয় বসে থাকতে দেখা গেছে। দিনমজুর সালাম জানান, ঠা-া ও কুয়াশার কারণে কাজ পাচ্ছি না। কয়দিন থেকে একই অবস্থা। রিক্সাচালক মইদুল জানান, ঠা-ার কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে ঘরের বাইরে। লোক না থাকলে রোজগারও নেই। বিকেল থেকে মানুষ যে যার ঘরে ফিরে যাচ্ছে। কারণ সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কনকনে শীত পড়ছে। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। তিনদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর উপর দিয়ে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পদ্মা পাড়ের এই জনপদ। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানান, পূর্বাভাস ছিল ডিসেম্বরের শেষার্ধে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু (৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে তীব্র (৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এছাড়া মাসের শেষে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা। জানুয়ারিতে ভোগাবে ॥ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে, কোথাও কোথাও তা তীব্র আকার ধারণ করে বিঘিœত করছে জনজীবন। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসেও দুটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এ মাসে দেশে দু-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রীর মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা আট ডিগ্রীর চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রীর মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘনকুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘনকুয়াশা পরিস্থিতি কখনও কখনও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞ কমিটি দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২১ দশমিক তিন শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য বিভাগে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল, পাবনা, নওগাঁ এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
×