ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে আলোচনা ॥ মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন কারা?

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

সিলেটে আলোচনা ॥ মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন কারা?

সালাম মশরুর, সিলেট অফিস ॥ নৌকায় ভোট দিয়েছেন আনন্দে। আর সেই আনন্দের ভাগ বসাতে চান মন্ত্রিত্ব পেয়ে। এমন প্রত্যাশা নিয়ে সিলেটবাসী তথা প্রবাসী সিলেটীরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মন্ত্রী পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে বৃহত্তর সিলেটের একাধিক এমপি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভাতেও যেমন আছেন সিলেটের তিন এমপিÑ আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থমন্ত্রী, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী এবং এমএ মান্নান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। ১০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। এ রকম অবস্থায় আগামী মন্ত্রিসভায় সিলেট থেকে কারা স্থান পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। বিশেষ করে নতুন কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন কিনা, কে পেতে পারেন, এসব নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই দেশী-বিদেশী সিলেটীদের। বর্তমান মন্ত্রিসভায় সিলেটের যে তিনজন আছেন তারা আগামী মন্ত্রিসভায়ও থাকছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সম্প্রতি অবসরের কথা বললেও এখন তিনি আরও এক বছর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চাইছেন। ঢাকায় সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে মুহিত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি চান অর্থমন্ত্রী হিসেবে রাখতে, তাহলে তো আমি না করতে পারব না। সেক্ষেত্রে আরও কিছুদিন আমি দায়িত্ব পালন করে যাব। অন্যদিকে নুরুল ইসলাম নাহিদ আবারও শিক্ষামন্ত্রী এবং এম এ মান্নান ফের অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এই তিনজনের কেউ যদি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন কিংবা তারা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী যদি চান, সেক্ষেত্রে নতুন কারও স্থান মন্ত্রিসভায় হতে পারে। আর নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনার সর্বাগ্রে আছেন সিলেট-১ আসন থেকে নবনির্বাচিত এমি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কানাঘুষা চলছে, আগামী মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন ড. মোমেন। এমনকি মুহিত মন্ত্রিসভায় না থাকলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও মোমেনের ওপর বর্তাতে পারে বলে কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই ড. মোমেনের স্থান হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশীরা। এদিকে, আগামী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে ঘিরেও কিছুটা আলোচনা আছে। সদ্য সম্পন্ন হওয়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এই অর্থনীতিবিদ। মনোনয়ন না পাওয়া ফরাসউদ্দিনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হতে পারে, এমনটা ধারণা করছেন কেউ কেউ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানেও চলছে আলোচনা । কে হচ্ছেন মন্ত্রী। কে কতটুকু যোগ্য তার সমালোচনাও চলছে। এক সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই অঞ্চলকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়েছিলেন। এরপর প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীও নানা উন্নয়ন করেছেন। সাইফুর রহমান ও মহসীন আলীকে হারানোর পর এবার মহাজোটের ৩ প্রার্থী জয়ী হওয়ায় ফের মন্ত্রী পাবার স্বপ্নে বিভোর মৌলভীবাজার জেলাবাসী। উন্নয়নের স্বার্থে মন্ত্রী চান এখানকার জনসাধারণ। জেলার সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে তা নিয়ে। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনটি। কারণ এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী। এবার মন্ত্রী হওয়ার আলোচনায় আছেন- মৌলভীবাজার-৪ আসনে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ। মৌলভীবাজার-১ আসনে ৪র্থ বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন। মৌলভীবাজার-৩ আসনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ। তারা সকলেই এবার মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।
×