ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তেইশ সালের ডিজিটাল সমৃদ্ধি ভরসা কেবল শেখ হাসিনায়

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

তেইশ সালের ডিজিটাল সমৃদ্ধি ভরসা কেবল শেখ হাসিনায়

একাদশ জাতীয় সংসদকে বিবেচনায় নিয়ে অতি সংক্ষেপে আমরা একটু ভাবতে পারি এই সংসদের শেষ সময়ে অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরটা কেমন হতে পারে। বিষয়টি অন্য যে কোন আলোচ্যসূচীর চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, বিদ্যমান সাধারণ বিশ্বটা ডিজিটাল বিশ্ব হচ্ছে এবং আমরা এমন একটি রূপান্তরমুখী বিশ্বে আলাদা হয়ে থাকতে পারি না। আমরা শিল্পযুগ মিস করেছি। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব মিস করে সেই একই ভুল আমরা আবারও করতে পারি না। আমাদের জন্য এটিও গর্ব করে স্মরণ করার বিষয় যে, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরা এই রূপান্তরের ঘোষণায় নেতৃত্ব¡ দিয়ে আসছি। আমাদের আগে বিশ্বের কোন দেশ পুরো দেশটাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বদলে দেয়ার কথা ভাবেনি। আমাদের পরে ২০০৯ সালে ব্রিটেন ও ২০১৪ সালে ভারত আমাদের পথ অনুসরণ করে। আমাদের সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি ও জীবনধারায় কৃষিযুগের পশ্চাৎপদতার বদলে দুনিয়াকে ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দেয়া। আমাদের জন্য স্বপ্ন হচ্ছে মুজিববর্ষ ২০২০, ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষ ২০২১, এসডিজি বর্ষ ২০৩০, উন্নত বাংলাদেশ বর্ষ ২০৪১, স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৭১ ও ২১০০ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনার রূপকল্প বাস্তবায়ন করা। আমাদের আঁকতে হচ্ছে এমন একটি পথনকশা যাতে আমরা আমাদের ২১, ৩০, ৪১, ৭১ ও ২১০০ সালের রূপকল্পকে বাস্তবায়ন করার বিবরণ পেতে পারি। এখনকার সময়ে অবস্থান করে ২০-২১, ৩০, ৪১, ৭১ বা ২১০০ সালের অবস্থাটি যে কারও জন্য আন্দাজ করা একদমই দুরূহ। এমনকি ২১ সালে আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করব সেটিও অনুমান করা কঠিন। তবুও আমরা কিছু মৌলিক ও কৌশলগত বিষয় চিহ্নিত করে একটি কর্মপরিকল্পনার প্রাথমিক রূপরেখা তৈরির কথা ভাবতে পারি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর সবই পরিবর্তনশীল। ফলে আমাদের ২০-২১, ৩০, ৪১, ৭১ বা ২১০০ সালের বিশ্বটাকে কল্পনা করে এখন কিছু কাজের কথা ভাবতে পারি, যা সময় সময় নবায়ন করতে হবে। যেসব মৌলিক উপাদান আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে সেগুলোর মাঝে রয়েছে দেশের সকল মানুষের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তি, ডিজিটাল যুগের দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা ও ডিজিটাল শিল্পখাতের বিকাশ। আমরা মনে করি, এর ফলে আমাদের জনগণ একটি ডিজিটাল জীবনধারায় বসবাস করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ যে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, ডিজিটাল অর্থনীতি, সৃজনশীল সমাজ বা মেধাভিত্তিক শিল্পযুগ গড়ে তোলার প্লাটফরম রচনা করবে সেটিরও আমরা লক্ষ্য স্থির করতে পারি। আমরা দেশটিকে ডিজিটাল অর্থনীতি, সৃজনশীল অর্থনীতি, মেধাভিত্তিক শিল্পযুগ বা সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অন্তত পাঁচটি সময়কালের ধাপগুলো সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। এ কথাটি খুব স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর দেশটিতে সব স্তরে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটতে শুরু করে। তৃণমূলের সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বোচ্চ স্তর অবধি এই বিপ্লব এখন বহমান। একাদশ সংসদের পঞ্চবার্ষিক সময়টাকে তাই অতীতের সব ভাবনাকে অতিক্রম করে আমাদের সামনে চলার পথ তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর এক দশকে আমাদের যে অর্জন তার সঙ্গে ২০-২১, ৩০, ৪১, ৭১ বা ২১০০ সালের স্বপ্নকে রূপরেখায় পরিণত করে আমরা আমাদের একাদশ সংসদের সময়কালের গন্তব্যটা স্থির করতে পারি। এই সময়ের বিশ্বসভ্যতার রূপান্তর, বিগত সময়কালে আমাদের নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে আগামী দিনের প্রযুক্তিকে বিবেচনায় রেখে সামনে চলতে হবে। বস্তুত, ২০০৮ সালের ঘোষণা এবং ২০০৯ সাল থেকে এক দশক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অনবদ্য প্রচেষ্টাকে বিবেচনায় রেখে ডিজিটাল রূপান্তরে বিপুল কর্মযজ্ঞ আয়োজিত হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। সমগ্র দেশে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ, ৪-জির প্রবর্তন, ৫-জির পরীক্ষা, জনগণের হাতে সরকারী সেবা পৌঁছানো তথা সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও রফতানির ক্ষেত্রে ডিজিটাল শিল্পের বিকাশ এবং জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তলাহীন ঝুড়ির দেশ বা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পেছনে পড়া দেশ এখন বহু ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখায়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে আমাদের এই নীতিমালা অসাধারণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা বিবেচনায় রেখেছি যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তনশীল। সেজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে এদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা যায় সে বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এছাড়া সরকারের রূপকল্প-২০২১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ (এসডিজি) ও রূপকল্প-২০৪১, ৭১, ২১০০-এর লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং বৈশ্বিক পরিবর্তনশীলতাকে ধারণ করতেই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে আমরা ব্যবহার করব। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলব আমরা। প্রথমেই আমরা একটু তাকিয়ে দেখতে পারি গত দশ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন কেমনটা ছিল। একবাক্যে আমরা এটি বলতে পারি যে, ২০২১ সালে গড়ে তোলার ডিজিটাল বাংলাদেশ তিন বছর আগেই সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। মোবাইলের যুগটা ৩-জি প্রযুক্তির পর ৪-জিতে পৌঁছাল। এমনকি ৫-জি প্রযুক্তি পরীক্ষাও করা হলো। মোবাইল প্রযুক্তিকে আরও সুরক্ষিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধিত হচ্ছে। কাগজের সিম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়েছে। এরই মাঝে ৫ হাজার ৭৩৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং ৮২০০ ই-পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তৃণমূলের জনগণকে অন্তত ৩০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৩৮০০ ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আরও ৭৭২টি ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক্স নেটওয়ার্কে যুক্ত করার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়, হাওড়, দ¦ীপ ও ছিটমহল এলাকাকে ফাইবার অপটিক্স নেটওয়ার্কে আনার চেষ্টা চলছে। দেশে মোবাইল সিম গ্রাহক ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার। ইন্টারনেট গ্রাহক ৯ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল ‘তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পাশাপাশি স্মার্টকার্ড প্রদান করা হয়েছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং ডিজিটাল অপরাধ রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে। এটি দিয়ে টিভি চ্যানেলসমূহ সেবা দিতে শুরু করেছে। লার্নিং আর্নিং, শি পাওয়ার, হাইটেক পার্ক, বিসিসি, এসইআইপি ও এলআইসিটির সহায়তায় প্রশিক্ষণ দিয়ে লাখ লাখ যুবক-যুবতীকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদে পরিণত করা হয়েছে। মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলারের রফতানি এখন এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ডিজিটাল শিল্প খাতকে কর সহায়তা ও নগদ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রফতানি শুরু হয়েছে। ই-কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন, জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৮ ও জাতীয় টেলিকম নীতিমালা ২০১৮ নবায়ন, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি গাইডলাইন, সিগনিফিকেন্ট মার্কেট প্লেয়ার গাইডলাইন, কোয়ালিটি অব সার্ভিস গাইডলাইন প্রণীত হয়েছে। টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এবার আমরা তাকাতে পারি ২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রার দিকে আলোচিত প্রেক্ষিতের একদম সহজ, স্বাভাবিক ও সরল লক্ষ্যমাত্রাটি বস্তুত সম্ভাব্য প্রযুক্তি পরিবর্তনের ব্যাপকতাকে বিবেচনায় তেমনভাবে নেয়া হয়নি। বরং ভাবা হচ্ছে যে, বিদ্যমান প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে ২৩ সালে আমরা কোথায় পৌঁছাতে পারি। এটি নির্ধারণ করতে গিয়ে কোন উচ্চাভিলাষ বা অতি কল্পনা মাথায় রাখা হয়নি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২০ সালের মুজিববর্ষ, ২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। আপাতত এর বাইরে কল্পনাও করতে পারছি না। তবে এটি আমরা উপলব্ধি করি যে, ৪১, ৭১ ও ২১০০ সালের বিষয়গুলোর সঙ্গে সময় সময় নতুন কিছু সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে। মোবাইল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় বিপ্লব হবে ২০২১-২৩ সালের মাঝে ৫-জি চালু করা। এই সময়ে দেশের প্রতিটি মানুষকে বা প্রতি ইঞ্চি মাটিকে অন্তত ৪-জির আওতায় আনতে হবে। রাজধানীসহ প্রধান শহরগুলোতে ৫-জি চালু করতে হবে। ৫-জির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রেবোটিক্স, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন, আইওটিসহ ভবিষ্যত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। ডিজিটাল পাসপোর্ট এবং ডিজিটাল ভিসাসহ পুরো ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে ডিজিটাল পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে চালু করতে হবে। সরকারের অবশিষ্ট ডিজিটাল রূপান্তর সম্পূর্ণ করা হবে। ইতোমধ্যে সরকারের ২৭৬০টি সেবাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মাঝে ১৯৬০টি সেবার ডিজিটাল রূপান্তর বাকি আছে। এই সেবাসমূহের ডিজিটাল করতে হবে। এই সেবাগুলোর মাঝে ৯০০ সেবা আছে যা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো উচিত। সরকারের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং ডিজিটাল পোস্ট অফিসগুলোকে এই সেবা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জনগণ যাতে সরাসরি এসব সেবা পেতে পারে এবং বেসরকারী উদ্যোগেও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর করতে হবে। শিক্ষার সকল কনটেন্ট ডিজিটাল করতে হবে। ডিজিটাল ক্লাসরুম, ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও প্রাথমিক স্তরসহ সব স্তরের শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রাথমিক স্তরসহ সব স্তরে প্রোগ্রামিং ও তথ্যপ্রযুক্তি অবশ্যপাঠ্য করতে হবে। আর্থিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ ডিজিটাল করতে হবে। সৃজনশীল-জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং উচ্চ শিক্ষার পাঠক্রম-পাঠদানসহ পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করতে হবে। ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ রফতানি করার ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ভূমি ব্যবস্থাকে করতে হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। স্বাস্থ্যসেবাকে ডিজিটাল করতে হবে। উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এর দক্ষতা ও গুণগত মান বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল দক্ষতা ও সেবা প্রদানের সক্ষমতাসহ ডিজিটাল পণ্য ও শিল্পপণ্য রফতানির বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। মেধাসম্পদ সংরক্ষণ, মেধাশ্রম আইন প্রণয়ন ও মেধাভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি বাড়ি ও প্রতিটি মানুষকে সংযুক্তির আওতায় আনতে হবে। দ্বীপ, ছিটমহল, হাওড়, পাহাড় ও পার্বত্য অঞ্চলসহ সর্বত্র মানুষের জন্য ডিজিটাল সংযোগ প্রদান করতে হবে। টেলিকম আইন, আইএলটিডিএস নীতিমালাসহ সব নীতিমালা আপডেট ও প্রয়োজনীয় আইন, নীতিমালা গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সফটওয়্যার, সেবা ও ডিজিটাল যন্ত্রের রফতানি ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। দেশে ডিজিটাল পণ্যসহ সব উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের জন্য সব সহায়ক ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ এবং সাবমেরিন ক্যাবল-৩ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। একটি পরিচিতি নম্বরের আওতায় প্রতিটি নাগরিকের পরিচিতি নিশ্চিত করাসহ সরকারের সব সেবা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। সামরিক বাহিনী, আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষা বাহিনীসহ সকলকে ডিজিটাল সক্ষমতা প্রদান করতে হবে এবং জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ডিজিটাল যুদ্ধ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নগর ও গ্রামগুলোকে ডিজিটাল নগর এবং ডিজিটাল গ্রামে পরিণত করতে হবে। এমনকি দ্বীপ ও হাওড়কে ডিজিটাল করতে হবে। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্যসহ জীবনের সব খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল শিল্প-বাণিজ্য গড়ে তোলার জন্য সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। ই-কমার্স নীতিমালা, জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা ১৮ এবং টেলিকম নীতিমালা ১৮ বাস্তবায়ন করতে হবে। একবার ভাবুন তো, এই কাজগুলো শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ কি করতে পারবেন? সেজন্যই আসুন অন্তত আরও একবার শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী বানাই। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক
×