ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামালকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ড. কামালকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস

বিভাষ বাড়ৈ/রাজন ভট্টাচার্য ॥ সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনকে হত্যার মিশনে নেমেছে বিএনপি! ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের খুব কাছের এক ব্যক্তি এবং সাতজন পাকিস্তানী কিলার বাংলাদেশে ঢুকছে। ড. কামালকে হত্যা করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছেÑ ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরাম মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে সিলেটের স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের টেলিফোন আলাপে হত্যার এ ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁসের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। হত্যার এ পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে ড. কামালের নিরাপত্তায় সক্রিয় হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান হত্যা মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই কাজের জন্য দুবাইয়ে অবস্থানরত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহায়তা নিচ্ছেন তারেক। নির্বাচনের ফল নিজেদের দিকে যাচ্ছে না এমন আভাস পাওয়া গেলেই ভাড়া করা কিলারদের মাধ্যমে ড. কামালকে হত্যা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারকে চাপে ফেলতেই এমন ভয়ঙ্কর পলিটিক্যাল কিলিংয়ের মিশন হাতে নিয়েছেন তারেক। গত মাসে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক দুবাই থেকে আসা তিন কিলারের বক্তব্যেও হত্যা পরিকল্পনার সত্যতা মিলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে মতিঝিলে ড. কামালের অফিসে তার সঙ্গে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাত করে পুলিশ কর্মকর্তারা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ড. কামাল নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেছেন, পুলিশ আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাকে তারা নিরাপত্তা দিতে চায়। ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে ফ্রন্টের নেতাদেরই একটি টেলিফোন আলাপে তথ্য মেলে বুধবার সকালে। সকাল নয়টার দিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে শওকত নামে সিলেটের স্থানীয় এক রাজনীতিবিদ জনৈক শওকতের আলাপেই বেরিয়ে আসে, শেষ চেষ্টা হিসেবে লন্ডনে এই হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। কথোপকথনে শোনা যায়, শওকত নামের ওই ব্যক্তি মোস্তফা মহসিন মন্টুকে ড. কামালের নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির যদি টাকা পয়সায় কাজ না হয় তাহলে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য ড. কামাল হোসনকে হত্যা করা হতে পারে।’ ড. কামালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শওকত কল করে বলেন, ‘মন্টু ভাই আমি শওকত বলছিলাম’। মোস্তফা মোহসিন মন্টু : হ্যাঁ শওকত কেমন আছো? শওকত : আছি ভাল, আপনি কেমন আছেন। আমি একটা ইমপোর্টেন্ট খবর দেয়ার জন্য আপনাকে ফোন করলাম। আপনি ড. কামাল হোসেনকে যে কোনভাবে কোন নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যান। মহসিন মন্টু: আচ্ছা। শওকত: কারণ, ওনার (ড. কামাল হোসেন) ওপরে এজেন্ট আছে। সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য যদি টাকা পয়সায় কাজ না হয় বিএনপির, তাহলে তাদের লাস্ট চেষ্টা হলো যে ড. কামাল হোসনকে হত্যা করা। ড. কামাল হোসেন বিএনপির কেউ না। ওনাকে (ড. কামাল) মারলে তারা (বিএনপি) রাজনৈতিক ফায়দা লুটবে। মহসিন মন্টু: হুম। শওকত: আমি লন্ডন থেকে খবর পেয়েছি, তারেক রহমানের খুব ক্লোজ আমাদের লন্ডনী, আপনি জানেন যে লন্ডনে বিএনপির সব নেতাকর্মী হচ্ছে সিলেটের। সে তারেক রহমানের খুব কাছের এবং দুবাই থেকে অলরেডি সাতজন পাকিস্তানি কিলার বাংলাদেশে ডুকেছে। লাস্ট মোমেন্টে তারা চেষ্টা করবে, ইভেন ইলেকশনের আগের দিন হলেও ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করা। আপনি... আমি ডিসি, ডিবিকে বলছি... আপনাদের কালকে অপমান করেছে ড. কামাল হোসেন, ওই অজুহাতে আপনার ওনাকে নিয়ে আসেন, কারণ ওনাকে সেভ করা হচ্ছে এখন আপনাদের দায়িত্ব। মহসিন মন্টু: ওরা (ডিসি, ডিবি) কোথায় নিয়ে যাবে। শওকত: ওরা (ডিসি, ডিবি) নিয়ে সেভ কাস্টডিতে রাখবে। মহসিন মন্টু: ওনাকে (ড. কামাল) কাস্টডিতে নিয়ে নিরাপত্তা দিলে তো। শওকত: বাইরে থাকলে ওনার লাইফ রিস্ক। মহসিন মন্টু: ওরা কি গ্রাউন্ডে নিয়ে যাবে। শওকত: গ্রাউন্ডতো ব্যাপার না এখানে মন্টু ভাই। মহসিন মন্টু: নিরাপত্তা তো বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ছিল না, জাতীয় চারনেতার জেলখানার ভেতরে ছিল। আমাদের হেফাজতে কি মানুষ মরে না। শওকত: তা তো মরে, কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য যদি কেউ করে তাহলে এখন। ফোন পেয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে ড. কামালের কাছে ছুটে যান মন্টু। জানতে চাইলে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, উদ্বিগ্ন হয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে বিষয়টি আমি ড. কামাল স্যারকে জানাই। যেটা তাৎক্ষণিক করার দরকার ছিল, তা করেছি। তবে জনৈক শওকতকে আমি চিনিও না, জানিও না। কখনও দেখিওনি। ফোনালাপের মধ্যে নিজের অংশের কথার বিষয়ে স্বীকার করে গণফোরামের মহাসচিব বলেন, ‘জি, কথা যেহেতু হয়েছে। অস্বীকারের কিছু নেই। সেখানে আমার কথা ছিল। কে এই শওকত? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি সামনাসামনি আসেন। বলব। ওকে (শওকতকে) আমি চিনিও না, জানিও না। জীবনে দেখিওনি। তিনি একটা কথা বলেছেন, আমি শুধু উত্তর দিয়েছি। কে শওকত তা আমার জানারও দরকার নাই। পুলিশের দরকার পড়লে খুঁজে বের করুক। অসুবিধা কী? যেহেতু এমন একটা ম্যাসেজ আপনাদের কাছে গেছে। ড. কামাল গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা। এমন ম্যাসেজের পর আপনারা উদ্বিগ্ন কি না- জবাবে মন্টু বলেন, যার (ড. কামাল) সম্পর্কে কথাটা আসছে, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে তার কাছে পৌঁছে গেছি এবং স্যারকে (ড. কামাল) বিষয়টি জানিয়েছি। সে ব্যাপারে ওনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের যেটা বলা দরকার, সেটা বলেছি, যেটা করা দরকার করেছি। তিনি দাবি করে বলেন, ‘আপনি যাই বলেন না কেন, নিরাপত্তার বিষয় তো? এগুলো বের করে কোন লাভ হবে না। আমরা কোন অসামাজিক, অবাস্তব কথা বলিও না। আমরা যাই বলি, সঠিক কথাই বলি। ভাইরাল করবেন না, এর গ্যারান্টিটা কোথায়? ভাইরাল করতে চান তো করেন, কিচ্ছু বলব না। শুধু বলব এই রেকর্ড ফাঁস কে করেছে? প্রশ্ন করুন, খুঁজুন। এক প্রশ্নে মন্টু বলেন, ‘আমি তো বললাম, শওকত নামের একজন কথা বলেছে। সে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। সে আমাকে যা বলেছে, সে কথাগুলোর উত্তর আমি দিয়েছি, যে বাংলাদেশের মানুষ কেউ নিরাপদ না এবং যার সম্পর্কে বলেছেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে জানিয়ে আসছি এবং আমার যেটা করার সেটাও করে আসছি। বিষয়টি শুনে ড. কামাল কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি তাকেই জিজ্ঞাসা করুন। এদিকে জানা গেছে, গত এক মাস আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ড. কামালতে হত্যা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনার একটি তথ্য আসে। যার সূত্র ধরে আগেই কাজ শুরু করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পর্যায়ে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় দুবাই থেকে আসা তিন কিলার। যাদের বক্তব্যে মেলে হত্যা পরিকল্পনার সত্যতা। ওই কিলাররাই বলেছেন, ভাড়া করা কিলারদের মাধ্যমে ড. কামালকে হত্যা করে নির্বাচনের পূর্বেই দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারকে চাপে ফেলতে এমন ভয়ংকর পলিটিক্যাল কিলিংয়ের মিশন হাতে নিয়েছেন তারেক। জানা গেছে, গত ৫ নবেম্বর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি বাড়িতে গোপন বৈঠককালে পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত দুবাই নিবাসী তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশী পিস্তল, গুলি ও তিনটি অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং ডিভাইস ও ড. কামালের তিনটি ছবি জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটককৃতরা হলেন, জাদরান মালিক, মাওলানা হাকিম ও নাজিবুল্লাহ গালিব। আটককৃতদের কাছ থেকে জব্দকৃত অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলো দেখে হতবাক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ এরকম অত্যাধুনিক ডিভাইস পূর্বে বাংলাদেশে দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রুপটির প্রধান জাদরান মালিক জানান, তারা ঢাকার স্থানীয় ফাইভ স্টার গ্রুপের সঙ্গে মিলে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামালকে হত্যা করার জন্য দুবাই থেকে এসেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জাদরান আরও জানান, ড. কামালকে হত্যা করতে তাদের স্থানীয় ফাইভ স্টার গ্রুপের একাধিক সদস্য সাহায্য করবেন। ড. কামালকে হত্যা করলে তারেক রহমান রাজনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন। ড. কামালকে হত্যা করতে পারলে বর্তমান সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলতে সক্ষম হবেন তারেক রহমান, তাই ড. কামালকে হত্যা করতে চান। হত্যার জন্য দুবাই ও পাকিস্তারের কিলারদের ভাড়া করার বিষয়েও তথ্য দিয়েছে আটক কিলাররা। তারা বলেছেন, তারেক রহমানের শর্ত ছিল ড. কামালের হত্যাকা-ের মিশনে বিএনপি বা জামায়াতের কোন নেতার সাহায্য নেয়া যাবে না। তাই আমরা দুবাই থেকে ঢাকার কিলারগ্যাং নামে পরিচিত ফাইভ স্টার গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিশন সফল করার জন্য বাংলাদেশে আসি। কথা ছিল ফাইভ স্টার গ্রুপ আমাদের সহায়তা করবে। ড. কামালকে হত্যা করার জন্য উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ নির্ধারণ করতে আমরা এরই মধ্যে কয়েকদিন তাকে ফলো করি। আমরা ৬ নবেম্বর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ড. কামালকে অতর্কিত হামলা করে হত্যার মিশনটি ফাইনাল করি। মিশনটি সফল হলে সরকারের ওপর ড. কামালের হত্যার দায় চাপিয়ে দিতে পারত বিএনপি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিএনপিকে বাঁচাতে ড. কামালকে বলি দিতে চেয়েছিলেন তারেক রহমান। বিএনপিকে ড. কামালের পাতানো জাল থেকে উদ্ধার করতে তাকে হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনরোষের মুখে ফেলে সরকারকে এক মাস আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন তারেক রহমান। এমন এক পরিস্থিতিতে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ। এজন্য কামাল হোসেন যেভাবে চাইবেন, পুলিশ তাকে সেভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেবে। বুধবার দুপুরে মতিঝিলে ড. কামালের অফিসে তার সঙ্গে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল এসব কথা বলেন। পুলিশ কেন এসেছে? জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, তারা বলেছেন-আপনার নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যদি আপনার নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়, সেটা আমাদের জানালে আমরা সেভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। আপনি যদি বাড়িতে গাড়িতে যেতে নিরাপত্তা চান, তাহলে সেই নিরাপত্তাও আমরা দিতে পারি। বলেছেন, আমরা আপনার নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। আপনি নিরাপত্তা চাইলে আমরা দেব। ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কারণ উনার আসা কথা ছিল। কিন্তু একটা জায়গায় আটকে পড়েছে। বলেছেন, পরে আমি আসব। দুপুর ১২টার পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর চেম্বারে সাক্ষাত করেন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশের কয়েকজন সদস্য। প্রায় ঘণ্টাখানেক তিনি সেখানে ছিলেন। সাক্ষাত শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের ডিসি আনোয়ার হোসেন অবশ্য বলেছেন, নিয়মিত দায়িত্বের (রেগুলার ডিউটি) অংশ হিসেবে আমরা এসেছি। ওনার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কামাল হোসেনের কোন পর্যবেক্ষণ (অবজারভেশন) আছে কিনা, এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। ভোটের তিন দিন আগে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার অফিসে পুলিশ যাওয়ার খবরে উৎসুক জনতা ওই ভবনের নিচে ভিড় করে। ছুটে যান সংবাদকর্মীরাও। পুলিশ চলে যাওয়ার পর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, উনি (আনোয়ার) পুলিশ কমিশনারের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। পুলিশ কমিশনার দেখা করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু যানজটে আসতে পারেননি। উপকমিশনার তখন জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমাদের সভাপতির নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কোনো ব্যবস্থা দরকার আছে কি না। আমাদের সভাপতি বলেছেন, তার প্রয়োজন নেই। তবে পুলিশ যদি মনে করে, তাহলে দিতে পারে। অফিসে এসে খোঁজ খবর নেয়ায় পুলিশকে কামাল ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলেও জানান মন্টু।
×